দুর্গাপুর, 4 সেপ্টেম্বর: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রাজ্যে শিল্প আনতে উদ্যোগ নিয়েছেন তখনই শিল্পশহর দুর্গাপুরে এক বেসরকারি কারখানা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিল মালিক কর্তৃপক্ষ (Complaints of Workers Protest)। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের তরফে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না । গেট আটকে 'জঙ্গি আন্দোলন' করছেন পুরনো শ্রমিকেরা । এর ফলে কারখানা চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলে দাবি মালিকপক্ষের ।
জানা গিয়েছে, 2019 সালে এসপিএস কারখানার তিনটি ইউনিটের মধ্যে দুটি ইউনিট নিয়েছিল বেসরকারি একটি সংস্থা । সেই সময় পুরনো শ্রমিকদেরকেই কাজে বহাল করা হয়। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে 1 নম্বর ইউনিটও নেয় ওই বেসরকারি সংস্থা । কিন্তু 1 নম্বর ইউনিটের পুরনো প্রায় 126 জন শ্রমিককে কাজে ফেরানো হয়নি । ওই শ্রমিকদের নিয়োগের দাবিতেই শুরু হয়েছে আন্দোলন । এর জেরেই কাজ ওই ইউনিটে কাজও হচ্ছে না । এমতাবস্থায় দুই এবং তিন নম্বর ইউনিট বন্ধ করার হুশিয়ারি দেওয়া হল সংস্থার তরফে। শেষমেশ কারখানা বন্ধ বহু কর্মী কর্মহারা হবেন ।
আরও পড়ুন: কারখানা বন্ধের নোটিস, দুর্গাপুরে আন্দোলনে শ্রমিক এবং বামেরা
যদিও পুরনো কর্মীদের পালটা দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ে টালবাহানা করছে । তাঁদের নিয়োগের কোনও নিশ্চয়তা দিচ্ছে না । কোনওরকম জঙ্গি আন্দোলন করা হয়নি । গোটা ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা । এই প্রসঙ্গে সিপিএম ও বিজেপি একযোগে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দিকে ।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুর প্রজেক্টেস লিমিটেডকে (DPL) বাঁচাতে উদ্যোগী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধান চন্দ্র রায়ের হাত ধরে দুর্গাপুরে প্রথম রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা হয় ডিপিএল কারখানা ৷ প্রশাসনিক বৈঠকে কারাখানা কীভাবে বাঁচানো সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি জানিয়েছিলেন, ডিপিএলকে বাঁচাতে তার অব্যবহৃত জমি বিক্রি করতে হবে । পনেরো দিনের মধ্যে ডিপিএলের জমি ও আবাসন নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে রিপোর্ট দিতে বলাও হয় আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটককে । ডিপিএলকে কীভাবে বাঁচানো যায় সে নিয়েও মন্ত্রী মলয় ঘটককে দ্রুত পরিকল্পনা করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ।