চিত্তরঞ্জন, 6 সেপ্টেম্বর: লোকো ইঞ্জিন উৎপাদনে বারবার বিশ্বরেকর্ড করেছে চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস বা সিএলডব্লিউ । অতীতের সব রেকর্ডকে ভেঙে চলতি আর্থিক বর্ষে 540টি রেল ইঞ্জিন বানানোর টার্গেট নিয়েছে চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা । লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে বিরাট নজির সৃষ্টি হবে । শুধু তাই নয়, উৎপাদনের নিরিখে গোটা বিশ্বের কাছে সমাদৃত হবে ভারত ।
2019-20 সালেই লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেছিল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা । 402টি ইঞ্জিন বানিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছিল উৎপাদনে । কিন্তু সেখানেই থেমে থাকা নয় । এরপর থেকে নিজেদের রেকর্ড ভেঙে একের পর এক নজির স্থাপন করে চলেছে পশ্চিম বর্ধমানের এই রেল ইঞ্জিন তৈরির কারখানা ।
কারখানার জেনারেল ম্যানেজার দেবীপ্রসাদ দাস জানান, "গত আর্থিক বর্ষে 436টি রেল ইঞ্জিন প্রস্তুত হয়েছিল । এ বার রেল বোর্ড আমাদের 540টি ইঞ্জিন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে ।"
অর্থাৎ গত আর্থিক বর্ষের তুলনায় প্রায় 100-রও বেশি রেল ইঞ্জিন তৈরি করতে হবে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানাকে । দৈনিক হার ভাবতে গেলে অবাক হতে হয় । কিন্তু চলতি বছরে কারখানার রেকর্ড দেখলে বোঝা যাবে যে, যেভাবে প্রোডাকশন এগোচ্ছে তাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ বড় কোনও বিষয় নয় ৷
আরও পড়ুন: নতুন বন্দে ভারতে থাকছে ব্ল্যাক বক্সের মতো ফিচার, জানতে আঁতুড়ঘরে ইটিভি ভারত
কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আর্থিক বর্ষের শেষ দিকে মার্চ মাসে একদিনে 12টি রেল ইঞ্জিন বানিয়েছিলেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার দক্ষ শ্রমিকরা । অর্থাৎ অসম্ভব কিছুই নয় । চলতি আর্থিক বছরের উৎপাদনের পরিসংখ্যানের দিকে নজর দিলেও তাক লেগে যাবে ।
কারখানার জেনারেল ম্যানেজার দেবীপ্রসাদ দাস জানিয়েছেন, "গত এপ্রিল-মে মাসে কাজ শুরু করেই 67টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করা হয়েছে । জুন মাস থেকে সেই কাজে আরও গতি আসে । শুধু জুন মাসেই 55টি লোকোমেটিভ তৈরি হয়েছে । জুলাই মাসে তা আরও ছাপিয়ে যায় । 65টি রেল ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে জুলাইয়ে । অগস্ট মাস শেষ হওয়ার আগেই 210টি লোকোমেটিভ ইঞ্জিন প্রস্তুত করে ফেলেছে সিএলডব্লুউ ।"
একদিকে লোকো ইঞ্জিন প্রস্তুত, অন্যদিকে বন্দে ভারতের মতো দ্রুতগামী ট্রেনেরও রেল ইঞ্জিন প্রস্তুত করছে সিএলডব্লুউ । তবে উৎপাদনের গতি যতই বাড়ুক রেল ইঞ্জিন বানানোর ক্ষেত্রে সুরক্ষার দিকটি বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হয় । ইঞ্জিন নির্মাণের সব খুঁটিনাটি বিষয় পরীক্ষা করে, তবেই ইঞ্জিন পাঠানো হয় বলে দাবি করেছেন কারখানার জেনারেল ম্যানেজার দেবীপ্রসাদ দাস ।