আসানসোল, 27 অগস্ট: ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের মা চন্দনা চট্টোপাধ্যায়ের (65)। শনিবার ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ এই মৃত্যুর জন্য বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকেই আঙুল তুলছেন । তাঁর দাবি, মায়ের ডেঙ্গু হয়েছে সেটা পরীক্ষা করে জানাতেই হাসপাতাল 24 ঘণ্টারও বেশি সময় অতিক্রম করে দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের মা চন্দনা চট্টোপাধ্যায় । সেখানে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা পরীক্ষার পর জানান চন্দনা চট্টোপাধ্যায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত । সেইমতো নেবুলাইজার-সহ নিউমোনিয়ার চিকিৎসা শুরু করেন চিকিৎসকেরা। তার পাশাপাশি তার ডেঙ্গি হয়েছে কি না, সে বিষয়েও পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা নেওয়া হয় । বৃহস্পতিবার ঠিক থাকলেও শুক্রবার বিকেলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় চন্দনা দেবীর । তারপর থেকে আর জ্ঞান ফেরেনি তাঁর ।
শুক্রবার রাত্রে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় যে তাঁর মা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত । ডেঙ্গুর চিকিৎসা শুরু হয়েছে । কিন্তু এই ফোন আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই শনিবার ভোররাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চন্দনা চট্টোপাধ্যায়কে মৃত বলে ঘোষণা করে । এই ঘটনার পর বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপরে ক্ষোভপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, আসানসোল দুর্গাপুরের মতো বড় শিল্পাঞ্চলে এমন একটা হাসপাতাল নেই, যেখানে দ্রুত ডেঙ্গির পরীক্ষা হয় । মায়ের ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে প্রায় 24 ঘণ্টার উপর সময় লাগিয়ে দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ অর্থাৎ সঠিক চিকিৎসাই হল না । পাশাপাশি এলাকার আবর্জনা ও নোংরা নিয়ে পৌরনিগমের পৌরসভা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি । তিনি বিষয়টি মেয়রকে ব্যক্তিগতভাবে জানাবেন বলে জানিয়েছেন ।
তবে বিষয়টি নিয়ে আসানসোল পৌরনিগমের বোরো চেয়ারম্যান শিবানন্দ বাউরি জানিয়েছেন, পৌরসভা তার কাজ ঠিকই করছে । শুধু মানুষকে সচেতন হবে হতে হবে ডেঙ্গু রোখার জন্য ।