আসানসোল, 5 জুলাই: বাম-জমানায় তৎকালীন রানিগঞ্জ পৌরসভার (বর্তমানে আসানসোল পৌরনিগম) জমিতে নির্মীয়মান মার্কেটিং কমপ্লেক্স ঘিরে বিতর্ক চলছে ৷ তা বেচে দেওয়া নিয়ে এবার অভিযোগ তুললেন বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তেওয়ারি ৷ তিনি জানান, 100 কোটি টাকার সম্পত্তি ওই নির্মীয়মান মার্কেটিং কমপ্লেক্সটি বিনা টেন্ডারে আসানসোল পৌরনিগমের চেয়ারম্যান তাঁর বন্ধুকে দিয়ে দিচ্ছে । এই অভিযোগকে 'বিভ্রান্তিকর অভিযোগ। ওনার শিক্ষা নেই' বলে বিঁধলেন চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় (BJP councillor Chaitali Tiwari alleges of selling AMC property without tender in Asansol) ৷
2006 সালে তৎকালীন বাম সরকার পরিচালিত রানিগঞ্জ পৌরসভা একটি মার্কেটিং কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা নেয় । সেইমতো শিশুবাগান এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে ওই মার্কেটিং কমপ্লেক্সের কাজও শুরু হয় । ঠিক ছিল জমি এবং চার কোটি টাকা দেবে পৌরসভা ৷ বাকি টাকা খরচ করে মার্কেটিং কমপ্লেক্সটি তৈরি করবে ওই বেসরকারি সংস্থা । মার্কেট কমপ্লেক্সটি সম্পূর্ণ হলে 40 শতাংশ পৌরসভা নেবে । এর মাঝেই জটিলতায় বেসরকারি সংস্থাটি রানিগঞ্জ পৌরসভার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা করে । 2015 সালে রানিগঞ্জ পৌরসভা আসানসোল বৃহত্তম পৌরনিগমের অন্তর্ভুক্ত হয় ৷ মামলাটি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করতে থাকেন পৌরকর্তারা ।
আরও পড়ুন: গাঁড়ুই নদী সংস্কারে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালীর
আসানসোল পৌরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বললেন, "সম্প্রতি কোর্ট অর্ডার দিয়েছে, এই মামলাটি কোর্টের বাইরে দু'পক্ষ নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করে নিক ।" তাঁর দাবি, "এই মামলা চালাতে প্রতিটি মামলার তারিখে আসানসোল পৌরনিগমের অন্ততপক্ষে ষাট হাজার টাকা খরচ হয় । সেই মতো আসানসোল পৌরনিগমের কমিশনার, ইঞ্জিনিয়ার ও পৌরকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি হয় । সেই কমিটিতে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় । যদি পৌরনিগমকে আর কোনও টাকা দিতে না হয় এবং পৌরনিগম এই সম্পত্তি নির্মাণের পর সম্পত্তির 30 শতাংশ পাবে তাহলে পৌরনিগম রাজি হবে । সেই প্রস্তাব বোর্ড মিটিংয়েই পাশ হবে ।" এদিকে বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালী তেওয়ারি মার্কেটিং কমপ্লেক্সটি বেচে দেওয়ার অভিযোগ আনেন ৷
এ প্রসঙ্গে অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমরা শুধুমাত্র একটি প্রস্তাব নিয়েছি, কমিটি সিদ্ধান্ততেই ওই প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে । এই প্রস্তাব 5 জুলাই বোর্ড মিটিংয়ে পাশ করানো হবে । কাউন্সিলররাই এক্ষেত্রে নীতি নির্ধারক । 106 জন কাউন্সিলরের সম্মিলিত মতেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে । অর্থাৎ যিনি এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বা আমার বন্ধুকে দিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন তিনি আগামিকাল এসে এটার সমর্থন বা এর বিরোধিতা করবেন । এখনও পর্যন্ত এটা প্রস্তাব আকারেই আছে । যিনি বলছেন তাঁর শিক্ষার অভাব আছে সেই কারণেই তিনি এই ধরনের মন্তব্য করছেন ।"
আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় মিলছে বাড়ি, গুজব ছড়াতেই পৌরনিগমে উপচে পড়ল ভিড়