আসানসোল, 2 নভেম্বর: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মন্ত্রীত্ব খারিজের দাবিতে আসানসোলে বিজেপির আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। আসানসোল বাজার এলাকার প্রাণ কেন্দ্র হটন রোড মোড়ে বিজেপির নেতা-কর্মীরা অবরোধ শুরু করে ৷ এরপর মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। আর তারপরেই পুলিশের সঙ্গে রীতিমত ধ্বস্তাধস্তি বেঁধে যায় বিজেপির নেতা-কর্মীদের। ধাক্কা দেওয়া হয় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সেন্ট্রাল) দেবরাজ দাসকেও।
বৃহস্পতিবার আসানসোলের গির্জা মোড় থেকে মিছিল শুরু করে বিজেপি নেতা-কর্মীরা। জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই মিছিল হয়। মূলত বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মন্ত্রিত্ব খারিজের দাবিতেই এদিনের মিছিল সংগঠিত করে হটন রোড মোড়ে অবরোধ করার কর্মসূচি ছিল বিজেপির। হটন রোড মোড়ে গিয়ে অবরোধ শুরু করে বিজেপি এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে পুলিশ তাদের অনুরোধ করলেও বিজেপি কর্মীরা রাস্তা ছেড়ে সরে যায়নি। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল দাহ করতে চায় বিজেপি। আর তাতেই বাঁধে গন্ডগোল। বিজেপির অভিযোগ, কুশপুতুল দাহ করতে বাধা দেয় পুলিশ। আর তখনই পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে বিজেপির কর্মীদের। রীতিমত রাস্তার মাঝে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি কর্মী এবং পুলিশ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার এসিপি সেন্ট্রাল দেবরাজ দাস। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা তাকেও ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয়। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে ধৈর্যের পরীক্ষা দেওয়া হয় এবং শেষ পর্যন্ত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরানো হয়। এই আন্দোলনের শেষে যোগদান করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। অগ্নিমিত্র বলেন, "মমতার পুলিশ আমাদের বাধা দিয়েছে। অথচ এই পুলিশরা যখন বাড়িতে যায় তখন তাদের ছেলে-মেয়েরা তাদের জিজ্ঞেস করে না যে, তৃণমূল আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে যখন বিজেপি আন্দোলন করতে নামছে পুলিশ তাদের বাধা দিচ্ছে কেন ?"
আরও পড়ুন: মনরেগায় কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে মিথ্যা প্রচার চলছে, অভিযোগ মমতার
বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, "নির্লজ্জের মত এখনও তৃণমূল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মন্ত্রিসভার সদস্য করে রেখেছে। আমরা অবিলম্বে তার বরখাস্ত চাইছি।" এজন্য অবরোধের জেরে কর্মব্যস্ত শহর আসানসোল স্তব্ধ হয়ে পড়ে বেশ কিছু করার জন্য যদিও পুলিশি তৎপরতায় অবরোধ ছড়ালে ধীরে ধীরে যানজট কমে আসে।