ঝাড়গ্রাম, 16 নভেম্বর: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম থানায় এফআইআর (FIR Against Suvendu) দায়ের করলেন ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)। বুধবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম থানায় গিয়ে তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এসটি/এসসি আইনে (SC/ST Act) মামলা করেন ৷
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের 7 জানুয়ারি নেতাই দিবসের দিন ঝিটকার জঙ্গলে ঢোকার মুখে শুভেন্দু অধিকারীকে পুলিশ বিশাল ব্যারিকেড করে আটকে দিয়েছিল । পুলিশের ব্যারিকেডে উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার । নেতাই যেতে পারবেন না, এ কথা জানার পর উত্তেজিত হয়ে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী । পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেন বিরোধী দলনেতা । পুলিশ জানিয়েছিল, নেতাইয়ের শহীদ বেদির মঞ্চের কাছে তৃণমূলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে ৷ তাই ওখানে সেই সময় অন্য কোনও রাজনৈতিক দল কোনও কর্মসূচি করতে পারবে না । এই কথাটি শোনার পরেই শুভেন্দু বলেন, "মঞ্চে যারা বসে রয়েছে, দেবনাথ হাঁসদা, বীরবাহা হাঁসদা, তারা আমার কাছে শিশু ৷ আমার জুতোর নিচে থাকে ।" এই ঘটনার পর হাজারো বিতর্ক হলেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও মামলা করা হয়নি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে । বরং তাঁকে আটকানোর ঘটনায় হাইকোর্টে ঝাড়গ্রামের তৎকালীন পুলিশ সুপার এবং অ্যাডিশনাল এসপির বিরুদ্ধে মামলা করেন শুভেন্দু ৷
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর সুস্থতা কামনা করতে যাওয়ায় মন্ত্রীর পুত্র-সহ 17 জনের নামে মামলা
এ দিকে, দিনকয়েক আগে তৃণমূলের মন্ত্রী অখিল গিরি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন । এই মন্তব্যের জেরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি । রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে বিজেপি । অখিল গিরির এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ জানায় আদিবাসী সামাজিক সংগঠন গুলি । জঙ্গলমহল জুড়ে সোমবার পথ অবরুদ্ধ করে আদিবাসী সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল । অখিল গিরির হয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আর এই ঘটনার রেশ ধরেই রেখে ফের উঠে আসে শুভেন্দু অধিকারীর 7 জানুয়ারি করা মন্তব্য । বীরবাহা হাঁসদা সাঁওতালি ছবির একজন অভিনেত্রী ৷ তিনি একজন আদিবাসী মহিলা ৷ তাঁকে অপমানিত করার অভিযোগে বুধবার বীরবাহা নিজে ঝাড়গ্রাম থানায় গিয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এসসি এসটি আইনে মামলা করেছেন ।
এ দিন বীরবাহা বলেন, "বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা এবং আমাকে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, আমাদের তিনি পায়ের তলায় জুতোর নিচে রাখেন । আমরা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বলে তিনি এই কথা বলেছেন । কোনও ভদ্র শিক্ষিত মানুষ এই ধরনের কথা বলতে পারেন বলে আমার মনে হয় না । একজন আদিবাসী মানুষের নামে এই কথা বলতে পারেন না ৷ তাই আমি প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং তাঁর নামে ঝাড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি এসটি এসটি আইনে ।"