দুর্গাপুর, 20 সেপ্টেম্বর: কোরোনা আতঙ্ককে পাত্তা না দিয়েই পুলিশি ঘেরাটোপে দুর্গাপুরে শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের বিরাট বাইক র্যালি আয়োজিত হল আজ । এই পরিস্থিতিতেও এমন বাইক র্যালির অনুমোদন নিয়ে সরব বিরোধী দলগুলি। মুখে মাস্ক ছাড়াই অনেকেই এই বাইক র্যালিতে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে ।
পশ্চিম বর্ধমানের INTTUC-র সভাপতি তথা দুর্গাপুর পশ্চিমের কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের নেতৃত্বে দেশের লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বিক্রি করে দেওয়া, বাংলার প্রতি বঞ্চনাসহ একগুচ্ছ অভিযোগকে সামনে রেখে এই বাইক র্যালি আয়োজিত হয় । দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত গ্যামনব্রিজ থেকে একটি বাইক র্যালি অঙ্গদপুর রাতুড়িয়া শিল্পতালুক, মায়া বাজার হয়ে সিটিসেন্টার চতুরঙ্গ মাঠে এসে শেষ হয় । পশ্চিম বর্ধমান জেলা INTTUC সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল বলেন, "মমতা বন্দোপধ্যায়ের স্বপ্নের সোনার বাংলার প্রতি বঞ্চনা করছে মোদি ,অমিত শাহরা । দেশের সঙ্গে সঙ্গে দুর্গাপুরের একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার । এরই প্রতিবাদে রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে দুর্গাপুরেও এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করল INTTUC।"
দুর্গাপুর পশ্চিমের কংগ্রেস বিধায়ক BJP বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির উদ্দেশে বলেন, "পতাকার রং ভুলে গিয়ে এক হয়ে এখন এক মঞ্চে কেন্দ্রের জনবিরোধী সিদ্ধান্তগুলির প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।" রবিবারের এই বাইক র্যালিতে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়র পরিষদ রুমা পাড়িয়াল, অঙ্কিতা চৌধুরি, ধর্মেন্দ্র যাদবসহ দুর্গাপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতিরা অংশ নিয়েছিলেন । INTTUC-র এই বাইক র্যালি নিয়ে সরব বিরোধীরা ।
CPI(M)-এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, "এরাজ্যে পুলিশ, প্রশাসন বলে কিছু নেই । সব TMC-র । কোরোনাকেও এখন TMC-র লোকরা তাঁদের নেত্রীর কথায় নিয়ন্ত্রণ করছেন । তাই যা খুশি করছে । 21-এর নির্বাচন আসুক । বুঝে যাবেন এই বাইক র্যালিতে থাকা লোকজনদের চমকানি ধমকানির ভয় এবং কাজ হারানোর ভয় ছিল ।"
পশ্চিম বর্ধমানের BJP সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, "পুলিশ এখন একচোখে দেখতে পায় । বিরোধীদের জন্য পুলিশ সর্বশক্তি প্রয়োগ করে মিছিল মিটিং বন্ধ, মিথ্যা মামলা করবে । আর TMC হলে গার্ড অব অনার দিয়ে বেআইনি সব কাজ করাবে ।"
কোরোনা আতঙ্কে জেরবার যখন গোটা রাজ্য ঠিক সেই সময় এই বিরাট বাইক মিছিল প্রশ্নচিহ্নের মুখে ঠেলে দিল শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনকে । যদিও শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের নেতার কথায়, " কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে হবে সবাইকে । তা না হলে কারখানা বন্ধের যে আতঙ্ক তাড়া করছে মানুষকে তা আরও বেশি কুফলদায়ক হয়ে উঠবে ।"