দুর্গাপুর, 1 এপ্রিল : বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিলেন রানিগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ।
প্রসঙ্গত , 2011 ও 2016 এর নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে তিনি জয়লাভ করেন । এরপর আসানসোলের মেয়র হন । পরবর্তীতে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদও সামলাচ্ছেন । সেই তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বদলে বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রানিগঞ্জ থেকে প্রার্থী করেছে ঘাসফুল শিবির । আর তাপসবাবুর আসানসোল-দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ ।
প্রথমদিকে শোনা গিয়েছিল এই ঘটনায় বিব্রত তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় শিবির বদল করতে পারেন । তাপসবাবুর জামাইবাবু আবার বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া । তাই জল্পনা উঠেছিল চরমে ।
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তাপসবাবু জানিয়েছিলেন, দলের নির্দেশমত তিনি তৃণমূল প্রার্থী হয়ে রানিগঞ্জ থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন । রানিগঞ্জ বিধানসভার এই আসনটি বামেদের থেকে 2011-এর নির্বাচনে কেড়ে নেয় তৃণমূল । সেই বার তৃণমূল প্রার্থী সেখ সোহরাব জয়লাভ করেছিলেন । তারপর 2016 তে বামেরা ফের এই আসনটি নিজেদের দখলে আনে ।
বর্তমানে এই বিধানসভা কেন্দ্রে বহু সংখ্যক হিন্দী ভাষাভাষীর মানুষ থাকার জন্য এখানে বিজেপিও শক্তিশালী হয়েছে । জমজমাট ত্রিমুখী লড়াইয়ের প্রবল সম্ভাবনা এই কেন্দ্রে । এই আসন থেকেই এবার লড়বেন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় । বিরোধীরা এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেননি । এটা নিঃসন্দেহে ভোটের ময়দানে তাপসবাবুর সবচেয়ে ইতিবাচক দিক । এখন এই আসনে নতুন করে ঘাসফুল ফোটানোর বড় চ্যালেঞ্জ তাপসবাবুর ওপর ।
এদিন তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় একরকম আড়ম্বরহীন ভাবেই বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তিনি বলেন, "নিজের মন এবং মস্তিষ্ক দিয়ে বিচার করে সবাই ভোটে অংশ নিন সাধারণ মানুষের কাছে এটাই চাওয়া ।"
জমজমাট ত্রিমুখী লড়াইয়ের সাক্ষী হবে রানিগঞ্জ বিধানসভায় । শেষ হাসি কে হাসে সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী 2 মে পর্যন্ত ।