আসানসোল, 29 অক্টোবর : সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী 16 নভেম্বর থেকেই রাজ্য স্কুল খোলার কথা ৷ শুরু হবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস ৷ কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকার ফলে বহু স্কুল চত্বরে আগাছা জন্মেছে। কিছু স্কুল রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। আর সেই সমস্ত স্কুলকে ফের আগের চেহারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্কুলগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার ১৪৩টি স্কুলকে ৩ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
করোনা আবহে প্রায় দু'বছরের ধরে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের স্কুলগুলি। চলছে অনলাইন পঠন-পাঠন ৷ মাঝে কিছু সময়ের জন্য স্কুল খুললেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আর এই স্কুল বন্ধ থাকা অবস্থায় রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে বহু স্কুলের ক্ষতি হয়েছে । কিছু স্কুলে শিক্ষকদের উদ্যোগে স্কুল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হলেও, বেশির ভাগ স্কুল ধুলো, জঞ্জালে ভরে আছে। আগাছায় ভরে গিয়েছে বহু স্কুল। স্কুল ভবনেরও ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি, পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৌচাগার, ইলেকট্রিসিটি সিস্টেমও বহু স্কুলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে।
আরও পড়ুন : School Reopen : খুলছে স্কুল, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে নির্দেশিকা জারি শিক্ষা দফতরের
সেই কারণেই রাজ্যের শিক্ষা দফতর থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল স্কুল খোলার জন্য বিদ্যালয়গুলিকে প্রস্তুত করতে কত খরচ হবে? সেই মতো বিভিন্ন স্কুল তাদের খরচের তালিকা পাঠিয়েছিল। সব দিক বিচার করে রাজ্য সরকার স্কুলগুলির সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই অনুদান মঞ্জুর করেছে। অনেক স্কুলেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষা সমিতির সভাপতি রাজীব মুখোপাধ্যায় বলেন, "সেপ্টেম্বর মাসেই মোটামুটি ভাবনা চিন্তা শুরু হয় স্কুল খোলা নিয়ে। তখনই বিভিন্ন স্কুলের কাছে তথ্য ও বাজেট চাওয়া হয়েছিল। সেইমতো স্কুলগুলি যা খরচের হিসেব দিয়েছে, সেই অনুযায়ী টাকা অক্টোবরের ৬-৭ তারিখ নাগাদ চলে এসেছে। পশ্চিম বর্ধমানে ১৪৩টি স্কুলের জন্য ৩ কোটি ২৭ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার ফান্ড এসে গিয়েছে। বহু স্কুলে কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে।" এখন অপেক্ষা স্কুল খোলার আর ফের স্কুলে বসে পড়ুয়াদের পঠন-পাঠন শুরু হওয়ার ৷