আসানসোল, 8 ফেব্রুয়ারি: আমন্ত্রণপত্র থেকে শুরু করে মঞ্চের ব্যানার৷ সর্বত্রই লেখা ছিল নাম৷ রাখা হয়েছিল নেমপ্লেট-সহ আলাদা চেয়ার। তারপরও রেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলেন না কুলটির তৃণমূল বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। আর তার জেরেই বিধায়ককে নিশানা করলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে উজ্জ্বলের জন্য বরাদ্দ চেয়ারেই নেমপ্লেট, ফুলের তোড়া, জলের গ্লাস রেখে দিলেন তিনি৷ মঞ্চে বক্তব্য় পেশের সময় এই প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, ‘‘জয় শ্রীরাম ধ্বনির ভয়েই অনুষ্ঠানে আসেননি উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়৷’’
সোমবার আসানসোল রেল ডিভিশনের সীতারামপুর রেল স্টেশনে একটি শৌচালয় ও একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের উদ্বোধন করেন বাবুল সুপ্রিয়। এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে নাম ছিল কুলটির তৃণমূল বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়েরও। এমনকী মঞ্চের ব্যানারেও তাঁর নাম দেখা যায়। তারজন্য নির্দিষ্ট আসনও সংরক্ষিত ছিল। তারপরও অনুষ্ঠানে গরহাজির থাকেন উজ্জ্বল৷
এদিনের মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময় বাবুলের কটাক্ষ, ‘‘ভালো কাজে তৃণমূলের লোকজন আসেন না। হয়ত জয় শ্রীরাম ধ্বনির ভয়েই তাঁরা আসেননি। আমরা তাঁদের বাড়িতে গিয়ে জয় শ্রীরাম বলে আসব।’’
আরও পড়ুন: রেলের আন্ডারপাসগুলির সংস্কারের সূচনা করলেন বাবুল
বিষয়টি নিয়ে ফোনে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি ভগবান নই। রামচন্দ্রও নই যে আমি জানব কোথায় আমার নামে চেয়ার রাখা আছে৷ কোথায় আমার নাম লেখা আছে। আমি কোনও আমন্ত্রণপত্র পাইনি। আমাকে রেলের কোনও আধিকারিক নিমন্ত্রণ জানাতে আসেননি। বাবুল সুপ্রিয়র এসব কথা বলার আগে জেনে নেওয়া উচিত ছিল আমি আদৌ আমন্ত্রিত কি না। আমিও আমাদের অনুষ্ঠানে ওঁর নামে চেয়ার রেখে দিতে পারি। ওঁর নাম লিখে দিতে পারি।’’