ETV Bharat / state

জলকষ্ট অব্যাহত, প্রকল্পের টাকা সাংসদ তহবিলে ফেরাল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত ! - tmc

পানীয় জলের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে 12 লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল রানিগঞ্জের বল্লভপুর পঞ্চায়েতে ৷ কিন্তু সে টাকা ফিরিয়ে দিল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত ৷ এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ৷ টুইটে লেখেন পানীয় জল নিয়েও নোংরা রাজনীতি হচ্ছে ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 26, 2019, 8:02 PM IST

Updated : Jul 26, 2019, 10:04 PM IST

রানিগঞ্জ, 26 জুলাই : পানীয় জলের জন্য বরাদ্দ অনুদান সাংসদ তহবিলে ফেরাল রানিগঞ্জের বল্লভপুর পঞ্চায়েত ৷ এই ঘটনায় টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ৷ টুইট বার্তায় লেখেন, 'আসানসোলের মানুষ যারা আমাকে দ্বিতীয়বার নির্বাচন করেছেন, আমি তাঁদের সঙ্গে নোংরা রাজনীতি করি না ৷ এটা আমার DNA-তে নেই ৷ লজ্জার বিষয় যে, ন্যূনতম কাজের জন্যও আমাকে লড়াইয়ের পর লড়াই করে যেতে হবে ৷"

গত দু'বছর আগে বাবুল সুপ্রিয়র কাছে বল্লভপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা পানীয় জলের দাবি তোলেন । সেইসময় তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান লিখিত আবেদন করেছিলেন সাংসদকে । টাকা বরাদ্দ করাও হয় ৷ এরপর সাংসদ তহবিল থেকে দেওয়া 12 লাখ টাকা ফিরিয়ে দিল পঞ্চায়েত । জেলাশাসক জানিয়েছেন, ওই টাকার প্রয়োজন নেই বলে পঞ্চায়েতে থেকে জানানো হয়েছে । বল্লভপুর পঞ্চায়েতের এই ঘটনার কথা তুলে ধরে টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় । একদিকে জেলাশাসককে দেওয়া সাংসদের চিঠি, অন্যদিকে সাংসদকে দেওয়া জেলাশাসকের চিঠি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তিনি ৷ লেখেন, পানীয় জল নিয়েও নোংরা রাজনীতি করছে তৃণমূল শাসিত রাজ্য সরকার ।

বছর দুয়েক আগে বল্লভপুরে একটি কৃষি সচেতনতা শিবিরে যোগ দিতে গেছিলেন বাবুল । কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়ি যেতে দেখে ঘিরে ধরেছিলেন বল্লভপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা । বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা । প্রায় ঘণ্টাখানেক আটকে থাকে বাবুল সুপ্রিয়র কনভয় । এলাকার বাসিন্দাদের দাবি ছিল, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা ৷ বলেছিলেন, "জলের বড্ড অভাব । আপনি জলের ব্যবস্থা করে দিন ।" আবদনের পরপরই কাজ হয় ৷ তৎক্ষণাৎ নিজে বল্লভপুর পঞ্চায়েতে গিয়ে তৃণমূলের উপপ্রধান মমতা প্রসাদের সঙ্গে কথা বলেন । তখন মমতা জানিয়েছিলেন, আমাদের তহবিলে টাকা নেই ।" বাবুল উপপ্রধানকে জলের পাইপ বসানোর বিষয়টি প্রস্তাব আকারে দিতে বলেন । উপপ্রধান তা দিলে, প্রস্তাবটি সই করেন তিনি । প্রস্তাবে ছিল দামোদর নদী থেকে রঘুনাথচক পর্যন্ত 4 ইঞ্চির পাইপ ফেলার ও সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে রিজ়ারভার তৈরি করার । 4 মে চিঠিটি জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেন বাবুল । পরে দেখা যায় সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েত । জেলাশাসক তা লিখে জানান বাবুলকে । চিঠিতে লেখা রয়েছে, ওই অঞ্চলে 1 কোটি 36 লাখ টাকার জলপ্রকল্প তৈরি হবে । তাই ওই টাকার প্রয়োজন নেই ।

রানিগঞ্জের BDO তথা পঞ্চায়েতের এগজ়িকিউটিভ অফিসার অভীক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "দিন কুড়ি হল আমি এসেছি ৷ বিষয়টি আমার জানা নেই । খোঁজ নিয়ে দেখছি ।" বল্লভপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সিদান মণ্ডল বলেন, "বাবুল সুপ্রিয় কোনও টাকা জেলাশাসককে পাঠাননি । উনি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন । আমাদের কাছে কোনও জলের পাইপ লাইন বা সাবমার্সিবল পাম্পের জন্য প্রস্তাব আসেনি । সেই টাকা এলে নিশ্চয় কাজে লাগাতাম ।" তিনি আরও বলেন, "বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ADDA থেকে 96 লাখ টাকার জলপ্রকল্পের কাজ হয়েছে । সেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেছে লোকসভা ভোটের আগেই । মানুষ এখন জল পাচ্ছেন ।"

যদিও স্থানীয়দের তরফে জানা যায়, বল্লভপুর পঞ্চায়েত এলাকায় এখনও জলকষ্ট রয়েছে । বাঁশতলাপাড়ায় ঠিকঠাক জল পাওয়া যায় না । দুষাদপাড়া, রঘুনাথচক ও পেপারমিল এলাকাতেও জলের সমস্যা রয়েছে ।

রানিগঞ্জ, 26 জুলাই : পানীয় জলের জন্য বরাদ্দ অনুদান সাংসদ তহবিলে ফেরাল রানিগঞ্জের বল্লভপুর পঞ্চায়েত ৷ এই ঘটনায় টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ৷ টুইট বার্তায় লেখেন, 'আসানসোলের মানুষ যারা আমাকে দ্বিতীয়বার নির্বাচন করেছেন, আমি তাঁদের সঙ্গে নোংরা রাজনীতি করি না ৷ এটা আমার DNA-তে নেই ৷ লজ্জার বিষয় যে, ন্যূনতম কাজের জন্যও আমাকে লড়াইয়ের পর লড়াই করে যেতে হবে ৷"

গত দু'বছর আগে বাবুল সুপ্রিয়র কাছে বল্লভপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা পানীয় জলের দাবি তোলেন । সেইসময় তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান লিখিত আবেদন করেছিলেন সাংসদকে । টাকা বরাদ্দ করাও হয় ৷ এরপর সাংসদ তহবিল থেকে দেওয়া 12 লাখ টাকা ফিরিয়ে দিল পঞ্চায়েত । জেলাশাসক জানিয়েছেন, ওই টাকার প্রয়োজন নেই বলে পঞ্চায়েতে থেকে জানানো হয়েছে । বল্লভপুর পঞ্চায়েতের এই ঘটনার কথা তুলে ধরে টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় । একদিকে জেলাশাসককে দেওয়া সাংসদের চিঠি, অন্যদিকে সাংসদকে দেওয়া জেলাশাসকের চিঠি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তিনি ৷ লেখেন, পানীয় জল নিয়েও নোংরা রাজনীতি করছে তৃণমূল শাসিত রাজ্য সরকার ।

বছর দুয়েক আগে বল্লভপুরে একটি কৃষি সচেতনতা শিবিরে যোগ দিতে গেছিলেন বাবুল । কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়ি যেতে দেখে ঘিরে ধরেছিলেন বল্লভপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা । বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা । প্রায় ঘণ্টাখানেক আটকে থাকে বাবুল সুপ্রিয়র কনভয় । এলাকার বাসিন্দাদের দাবি ছিল, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা ৷ বলেছিলেন, "জলের বড্ড অভাব । আপনি জলের ব্যবস্থা করে দিন ।" আবদনের পরপরই কাজ হয় ৷ তৎক্ষণাৎ নিজে বল্লভপুর পঞ্চায়েতে গিয়ে তৃণমূলের উপপ্রধান মমতা প্রসাদের সঙ্গে কথা বলেন । তখন মমতা জানিয়েছিলেন, আমাদের তহবিলে টাকা নেই ।" বাবুল উপপ্রধানকে জলের পাইপ বসানোর বিষয়টি প্রস্তাব আকারে দিতে বলেন । উপপ্রধান তা দিলে, প্রস্তাবটি সই করেন তিনি । প্রস্তাবে ছিল দামোদর নদী থেকে রঘুনাথচক পর্যন্ত 4 ইঞ্চির পাইপ ফেলার ও সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে রিজ়ারভার তৈরি করার । 4 মে চিঠিটি জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেন বাবুল । পরে দেখা যায় সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েত । জেলাশাসক তা লিখে জানান বাবুলকে । চিঠিতে লেখা রয়েছে, ওই অঞ্চলে 1 কোটি 36 লাখ টাকার জলপ্রকল্প তৈরি হবে । তাই ওই টাকার প্রয়োজন নেই ।

রানিগঞ্জের BDO তথা পঞ্চায়েতের এগজ়িকিউটিভ অফিসার অভীক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "দিন কুড়ি হল আমি এসেছি ৷ বিষয়টি আমার জানা নেই । খোঁজ নিয়ে দেখছি ।" বল্লভপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সিদান মণ্ডল বলেন, "বাবুল সুপ্রিয় কোনও টাকা জেলাশাসককে পাঠাননি । উনি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন । আমাদের কাছে কোনও জলের পাইপ লাইন বা সাবমার্সিবল পাম্পের জন্য প্রস্তাব আসেনি । সেই টাকা এলে নিশ্চয় কাজে লাগাতাম ।" তিনি আরও বলেন, "বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ADDA থেকে 96 লাখ টাকার জলপ্রকল্পের কাজ হয়েছে । সেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেছে লোকসভা ভোটের আগেই । মানুষ এখন জল পাচ্ছেন ।"

যদিও স্থানীয়দের তরফে জানা যায়, বল্লভপুর পঞ্চায়েত এলাকায় এখনও জলকষ্ট রয়েছে । বাঁশতলাপাড়ায় ঠিকঠাক জল পাওয়া যায় না । দুষাদপাড়া, রঘুনাথচক ও পেপারমিল এলাকাতেও জলের সমস্যা রয়েছে ।

Intro:পানীয় জলের জন্য দেওয়া সাংসদ তহবিলে ১২ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের বল্লভপুর পঞ্চায়ত ! – ক্ষোভ বাবুলের ।


গত দু'বছর আগে বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে বল্লভপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা দাবি তুলে পানীয় জলের । এরপর সেই সময় তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান লিখিত আবেদন করেছিলেন সাংসদকে। তারপরেও সাংসদ তহবিল থেকে দেওয়া ১২ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিল ওই তৃণমূলের পঞ্চায়েত। জেলাশাসক জানিয়েছেন পঞ্চায়েতে জানিয়েছেন ওই টাকার প্রয়োজন নেই। রানিগঞ্জের বল্লভপুর পঞ্চায়েতের এমন ঘটনার কথা তুলে ধরলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রিয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। একটি জেলাশাসককে দেওয়া সাংসদের চিঠি অন্যটি সাংসদকে দেওয়া জেলাশাসকের চিঠি। এই দুটি চিঠিই তিনি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন মানুষের পানীয় জল নিয়েও নোংরা রাজনীতি করছে তৃণমূল শাসিত রাজ্য সরকার।


বছর দুয়েক আগে বল্লভপুরে একটি কৃষি সচেতনতা শিবিরে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়ি যেতে দেখে ঘিরে ধরেছিলেন বল্লভপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা । বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় । প্রায় ঘণ্টাখানেক আটকে পড়ে যায় বাবুল সুপ্রিয়র কনভয় । এলাকার বাসিন্দারা বলেছিলেন এলাকায় “জলের বড্ড অভাব। আপনি জলের ব্যবস্থা করে দিন।’’ অনুরোধের সঙ্গে সঙ্গে কাজ হয়। ততক্ষনাৎ নিজে বল্লভপুর পঞ্চায়েতে গিয়ে তৃণমূলের উপপ্রধান মমতা প্রসাদের সঙ্গে কথা বলেন। তখন মমতাদেবী জানিয়েছিলেন, ‘‘আমাদের তহবিলে টাকা নেই।’’ সাংসদ-মন্ত্রী বাবুল উপপ্রধানকে জলের পাইপ বসানোর বিষয়টি প্রস্তাব আকারে দিতে বলেন। উপপ্রধান তা দিলে, প্রস্তাবটি সই করেন তিনি। প্রস্তাবে ছিল দামোদর নদী থেকে রঘুনাথচক পর্যন্ত ৪ ইঞ্চির পাইপ ফেলার ও সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে রিজার্ভার তৈরি করার। মে মাসের ৪ তারিখ ওই চিঠিটি জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেন বাবুল। দেখা যায় সেই প্রস্তাবটিই ফিরিয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েত। জেলাশাসক সেই কথাটি লিখে জানিয়েছেন বাবুলকে। চিঠিতে লেখা রয়েছে ওই অঞ্চলে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার জলপ্রকল্প তৈরি হবে। তাই ওই টাকাটির প্রয়োজন নেই।


রানিগঞ্জের বিডিও তথা পঞ্চায়েতের একজিকিউটিভ অফিসার অভিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন " আমি দিন কুড়ি এসেছি বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।


বল্লভ পুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সিদান মণ্ডল বলেন " বাবুল সুপ্রিয় কোনও টাকা জেলাশাসককে পাঠাননি। উনি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আমাদের কাছে কোনও জলের পাইপ লাইন বা সাবমার্সিবল পাম্পের জন্য প্রস্তাব আসেনি। সেই টাকা এলে নিশ্চয় কাজে লাগাতাম। তিনি বলেন বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এডিডিএ থেকে ৯৬ লাখ টাকার জলপ্রকল্পের কাজ হয়েছে। সেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেছে লোকসভা ভোটের আগেই । মানুষ এখন জল পাচ্ছেন।


যদিও এলাকাবাসীর বক্তব্য বল্লভপুর পঞ্চায়েত এলাকায় জলকষ্ট রয়েছে। বাঁশতলাপাড়ায় ঠিকঠাক জল পাওয়া যায় না। দুষাদপাড়া, রঘুনাথচক ও পেপারমিল এলাকাতেও জলের সমস্যা রয়েছে।Body:।Conclusion:।
Last Updated : Jul 26, 2019, 10:04 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.