দুর্গাপুর, 18 সেপ্টেম্বর: বাংলায় এসে বিতর্কিত মন্তব্য মোদি সরকারের মন্ত্রীর ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে স্বামী বিবেকানন্দের রূপ ঢুকে পড়েছে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক, বন ও খাদ্য সরবরাহ প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে ৷ দুর্গাপুরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "এই রাজ্যে জন্ম হওয়া নরেন (বিবেকানন্দ) 1893 সালে শিকাগো ধর্ম সভায় বলেছিলেন একবিংশ শতাব্দী ভারতবর্ষের হবে । নরেনের রূপ আধুনিক ভারতের নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ঢুকে পড়েছে ।"
উল্লেখ্য, নাপিত থেকে মুচি, রাজমিস্ত্রি থেকে ক্ষুদ্র শিল্পীরা, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনার মাধ্যমে পাবেন ঋণ । গ্রাম বাংলার অর্থনীতি চাঙ্গা করতে এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে । দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি এই রাজ্যের তিনটি জায়গায় এই প্রকল্পের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তার মধ্যে একটি অনুষ্ঠান হয় দুর্গাপুরের অমরাবতীতে সিআরপিএফ ক্যাম্পে ৷ উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে, বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া, বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, অজয় পোদ্দার, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা ।
এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমানের উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে । প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে বলেন, ‘‘পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্রশিল্পীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে । তারপর তাঁদের ঋণ দেওয়া হবে । সেই প্রশিক্ষণ নিয়েই তাঁরা এগিয়ে যাবে । দেশের এলাকাগুলির অর্থনীতি চাঙ্গা হবে ৷’’ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেশ গঠন করার জন্য বিশ্বকর্মা রূপে দেখানোর প্রচেষ্টাও ধরা পড়ে অশ্বিনী চৌবে-সহ বিভিন্ন বক্তার বক্তব্যে ।
তবে ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি তাঁকে প্রশ্ন করেন, কেন দেশের প্রধানমন্ত্রী মনিপুরে যাচ্ছেন না ? এমন প্রশ্ন শুনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে বলেন, "দেশের প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন, তিনি সবচেয়ে বেশি দুঃখ অনুভব করেছেন ।"
আরও পড়ুন: 'তৃণমূলকে 100 ফুট গর্তে পুঁতে দেব', রানিগঞ্জে আক্রমণ সুকান্তর
তবে নরেন (বিবেকানন্দ) দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভিতর ঢুকেছেন, এমন কথা শুনে তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, "এরা এখন ইন্ডিয়া জোটের ভয়ে কখন কি বলছেন নিজেরাই জানেন না । এসব শুনে মানুষ আজ হাসবেন, না হাততালি দেবেন ? আসলে বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ ।"