ETV Bharat / state

সাধারণের জন্য দরজা খুলছে আসানসোলের 2টি ব্রিটিশ ভবনের - Heritage building

স্বাধীনতার আগে স্বাধীনতা সংগামীরা লুকিয়ে সুভাষ ইন্সটিটিউটের বিভিন্ন ঘরে মিটিং করতেন ৷ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এই সুভাষ ইন্সটিটিউটে গ্রহণ করা হয়েছিল ৷ শুধু তাই নয়, সুভাষ ইন্সটিটিউটের বিভিন্ন হলে বিপ্লবীরা দিনের পর দিন লুকিয়ে থাকতেন ৷

আসানসোল
author img

By

Published : Aug 6, 2019, 11:53 PM IST

Updated : Aug 7, 2019, 12:02 AM IST

আসানসোল, 6 অগাস্ট : পরাধীন ভারতে লড়াই কেবল অধিকার বাঁচানোর কিংবা স্বাধীনতার জন্য নয় ছিল না, লড়াই ছিল সংস্কৃতি রক্ষা করারও । সেই সংস্কৃতি রক্ষা করার লড়াই এবং তার জয়ের সাক্ষী থেকেছে আসানসোল । আসানসোলে আজও দুটি ভবন ব্রিটিশ আমলে ব্রিটিশ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতীয় সংস্কৃতির জয়ের স্মৃতি রক্ষা করছে । ডুরান্ড ইনস্টিটিউট এবং সুভাষ ইনস্টিটিউট এই দুটি ভবন ব্রিটিশ আমলের অনেক অজানা ইতিহাসের কথা মনে পড়িয়ে দেয় । সম্প্রতি পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের উদ্যোগে এই দুটি ভবনকে সংস্কার করা হয়েছে । আগামী কিছু দিনের মধ্যেই সুভাষ ইন্সটিটিউটের দরজা খুলে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের জন্য ৷

1876 সাল । ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির ব্যবসা তখন জমে উঠেছে । রানিগঞ্জের কয়লা খনি কেন্দ্র করে রেল চলাচল শুরু হয়েছে । আসানসোল সহ তৎকালীন বিহার রাজ্যের সঙ্গে রেল সংযোগ হয়েছে । কয়লা খনি অঞ্চলের কেন্দ্রে থাকায় আসানসোলে রেল ডিভিশন তৈরি করে ব্রিটিশরা । ডিভিশনের উচ্চপদ অলঙ্কৃত করতে অনেক ব্রিটিশ অফিসারের সমাগম হয় আসানসোলে । রেলের বিভিন্ন নিম্ন পদে যোগ দিতে সারা দেশ থেকে অনেক ভারতীয় রেলকর্মীরা আসেন আসানসোলে ৷

Asansole
আসানসোলের ডুরান্ড ইন্সটিটিউট

ব্রিটিশ রেল অফিসারদের আমোদ প্রমোদের জন্য 1878 সালে তৈরি হয় ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট যা পরবর্তীকালে স্যার মার্তিমার ডুরান্ডের নামে নামাঙ্কিত হয় ডুরান্ড ইনস্টিটিউট
নামে । ব্রিটিশ আমলে ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউটে ভারতীয়দের ঢোকা নিষিদ্ধ ছিল । ব্রিটিশদের সংস্কৃতিতে ভারতীয়দের নাক গলানো সাহেবদের নাপসন্দ ছিল ৷ জনশ্রুতি ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউটে বাইরে নাকি নোটিশ বোর্ডে লেখা থাকত কুকুর এবং ভারতীয়দের ভেতরে আসা নিষেধ ।

Asansole
আসানসোলের সুভাষ ইনস্টিটিউট

সেই সময় দেশ জুড়ে স্বাধীনতার আন্দেলন ক্রমশ তীব্র হচ্ছে ৷ অপমানিত ভারতীয় রেলকর্মীরা 1890 সাল থেকে নিজেদের জন্য আলাদা ভবনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ৷ প্রায় 25 বছর সেই আন্দোলন চলার পর 1915 সালে তৈরি হয় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট । স্বাধীনতার পর যার নাম হয় সুভাষ ইনস্টিটিউট ৷ আসানসোলের এই দুটি ভবন ব্রিটিশ আমল থেকেই পৃথক পৃথক ভাবে দুই সংস্কৃতির পীঠস্থান হয়ে উঠেছিল । কিন্তু কালের নিয়মে ভবন দুটি ক্রমশ জৌলুস হারাতে থাকে ৷

ভিডিয়োয় দেখুন

বিরাট লম্বা গম্বুজাকৃতির ডুরান্ড ইনস্টিটিউট আসানসোল শহরের সবচেয়ে উঁচু বাড়ি ছিল সেই সময় । এত লম্বা প্রেক্ষাগৃহ এখনও আসানসোল শহরে নেই । অন্যদিকে নির্মাণে তেমন জাঁকজমক না থাকলেও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ও দেখতে মন্দ ছিল না । তবে ব্রিটিশদের প্রেক্ষাগৃহ এবং ভারতীয়দের প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে শ্রেণি বিভাজনের স্পষ্ট ছাপ ছিল । দুটি ভবনই কালের অতলে হারিয়ে যেতে বসেছিল । পরাধীন ভারতের এক অনন্য ইতিহাস ধ্বংসের হাতে থেকে বাঁচাল আসানসোল রেল ডিভিশন ৷ সম্প্রতি এই দুটি ভবনকে সংস্কার করা হয়েছে ৷

আসানসোল রেল ডিভিশনের প্রাক্তন DRM প্রশান্ত কুমার মিশ্রের উদ্যোগেই এরকম মোট 34টি ভবনকে সংস্কার করা হয়েছে । প্রশান্ত কুমার মিশ্র বলেন, "ডুরান্ড ও সুভাষ ইনস্টিটিউটের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে ৷ সেই ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখতে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের পক্ষ থেকে এই দুটি ভবনের সংস্কার করা হয়েছে ৷ আগামী দিনে সুভাষ ইন্সটিটিউটের দরজা আসানসোলের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে ৷ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান , ইন্ডোর গেম কম্পিটিশন, কোনও মিটিং , কনভোকেশন , কনফারেন্স সবই আয়োজন করা যাবে এখানে ৷ "

তিনি আরও বলেন , "স্বাধীনতার আগে স্বাধীনতা সংগামীরা লুকিয়ে সুভাষ ইন্সটিটিউটের বিভিন্ন ঘরে মিটিং করতেন ৷ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এই সুভাষ ইন্সটিটিউটে গ্রহণ করা হয়েছিল ৷ শুধু তাই নয়, সুভাষ ইন্সটিটিউটের বিভিন্ন হলে বিপ্লবীরা দিনের পর দিন লুকিয়ে থাকতেন ৷ "

আসানসোল, 6 অগাস্ট : পরাধীন ভারতে লড়াই কেবল অধিকার বাঁচানোর কিংবা স্বাধীনতার জন্য নয় ছিল না, লড়াই ছিল সংস্কৃতি রক্ষা করারও । সেই সংস্কৃতি রক্ষা করার লড়াই এবং তার জয়ের সাক্ষী থেকেছে আসানসোল । আসানসোলে আজও দুটি ভবন ব্রিটিশ আমলে ব্রিটিশ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতীয় সংস্কৃতির জয়ের স্মৃতি রক্ষা করছে । ডুরান্ড ইনস্টিটিউট এবং সুভাষ ইনস্টিটিউট এই দুটি ভবন ব্রিটিশ আমলের অনেক অজানা ইতিহাসের কথা মনে পড়িয়ে দেয় । সম্প্রতি পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের উদ্যোগে এই দুটি ভবনকে সংস্কার করা হয়েছে । আগামী কিছু দিনের মধ্যেই সুভাষ ইন্সটিটিউটের দরজা খুলে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের জন্য ৷

1876 সাল । ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির ব্যবসা তখন জমে উঠেছে । রানিগঞ্জের কয়লা খনি কেন্দ্র করে রেল চলাচল শুরু হয়েছে । আসানসোল সহ তৎকালীন বিহার রাজ্যের সঙ্গে রেল সংযোগ হয়েছে । কয়লা খনি অঞ্চলের কেন্দ্রে থাকায় আসানসোলে রেল ডিভিশন তৈরি করে ব্রিটিশরা । ডিভিশনের উচ্চপদ অলঙ্কৃত করতে অনেক ব্রিটিশ অফিসারের সমাগম হয় আসানসোলে । রেলের বিভিন্ন নিম্ন পদে যোগ দিতে সারা দেশ থেকে অনেক ভারতীয় রেলকর্মীরা আসেন আসানসোলে ৷

Asansole
আসানসোলের ডুরান্ড ইন্সটিটিউট

ব্রিটিশ রেল অফিসারদের আমোদ প্রমোদের জন্য 1878 সালে তৈরি হয় ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট যা পরবর্তীকালে স্যার মার্তিমার ডুরান্ডের নামে নামাঙ্কিত হয় ডুরান্ড ইনস্টিটিউট
নামে । ব্রিটিশ আমলে ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউটে ভারতীয়দের ঢোকা নিষিদ্ধ ছিল । ব্রিটিশদের সংস্কৃতিতে ভারতীয়দের নাক গলানো সাহেবদের নাপসন্দ ছিল ৷ জনশ্রুতি ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউটে বাইরে নাকি নোটিশ বোর্ডে লেখা থাকত কুকুর এবং ভারতীয়দের ভেতরে আসা নিষেধ ।

Asansole
আসানসোলের সুভাষ ইনস্টিটিউট

সেই সময় দেশ জুড়ে স্বাধীনতার আন্দেলন ক্রমশ তীব্র হচ্ছে ৷ অপমানিত ভারতীয় রেলকর্মীরা 1890 সাল থেকে নিজেদের জন্য আলাদা ভবনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ৷ প্রায় 25 বছর সেই আন্দোলন চলার পর 1915 সালে তৈরি হয় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট । স্বাধীনতার পর যার নাম হয় সুভাষ ইনস্টিটিউট ৷ আসানসোলের এই দুটি ভবন ব্রিটিশ আমল থেকেই পৃথক পৃথক ভাবে দুই সংস্কৃতির পীঠস্থান হয়ে উঠেছিল । কিন্তু কালের নিয়মে ভবন দুটি ক্রমশ জৌলুস হারাতে থাকে ৷

ভিডিয়োয় দেখুন

বিরাট লম্বা গম্বুজাকৃতির ডুরান্ড ইনস্টিটিউট আসানসোল শহরের সবচেয়ে উঁচু বাড়ি ছিল সেই সময় । এত লম্বা প্রেক্ষাগৃহ এখনও আসানসোল শহরে নেই । অন্যদিকে নির্মাণে তেমন জাঁকজমক না থাকলেও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ও দেখতে মন্দ ছিল না । তবে ব্রিটিশদের প্রেক্ষাগৃহ এবং ভারতীয়দের প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে শ্রেণি বিভাজনের স্পষ্ট ছাপ ছিল । দুটি ভবনই কালের অতলে হারিয়ে যেতে বসেছিল । পরাধীন ভারতের এক অনন্য ইতিহাস ধ্বংসের হাতে থেকে বাঁচাল আসানসোল রেল ডিভিশন ৷ সম্প্রতি এই দুটি ভবনকে সংস্কার করা হয়েছে ৷

আসানসোল রেল ডিভিশনের প্রাক্তন DRM প্রশান্ত কুমার মিশ্রের উদ্যোগেই এরকম মোট 34টি ভবনকে সংস্কার করা হয়েছে । প্রশান্ত কুমার মিশ্র বলেন, "ডুরান্ড ও সুভাষ ইনস্টিটিউটের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে ৷ সেই ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখতে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের পক্ষ থেকে এই দুটি ভবনের সংস্কার করা হয়েছে ৷ আগামী দিনে সুভাষ ইন্সটিটিউটের দরজা আসানসোলের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে ৷ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান , ইন্ডোর গেম কম্পিটিশন, কোনও মিটিং , কনভোকেশন , কনফারেন্স সবই আয়োজন করা যাবে এখানে ৷ "

তিনি আরও বলেন , "স্বাধীনতার আগে স্বাধীনতা সংগামীরা লুকিয়ে সুভাষ ইন্সটিটিউটের বিভিন্ন ঘরে মিটিং করতেন ৷ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এই সুভাষ ইন্সটিটিউটে গ্রহণ করা হয়েছিল ৷ শুধু তাই নয়, সুভাষ ইন্সটিটিউটের বিভিন্ন হলে বিপ্লবীরা দিনের পর দিন লুকিয়ে থাকতেন ৷ "

Intro:লড়াই কেবল অধিকার বাঁচানোর কিংবা স্বাধীনতার জন্য নয় লড়াই ছিল সংস্কৃতিকে রক্ষা করারও। আর সেই সংস্কৃতি রক্ষা করার লড়াই এবং তার জয়ের সাক্ষী থেকেছে আসানসোল। শহরে আজও দুটি ভবন ব্রিটিশ আমলে ব্রিটিশ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এদেশীয়দের জয়ের স্মৃতি রক্ষা করছে।
আসানসোল শহরে ডুরান্ড ইনস্টিটিউট এবং সুভাষ ইনস্টিটিউট এই দুটি ভবন ব্রিটিশ আমলের অনেক অজানা ইতিহাসের কথা মনে পড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশন এর উদ্যোগে এই দুটি ভবন কে পুনরায় নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে।


Body:1876 সাল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি জমে উঠেছে । রানীগঞ্জ কয়লা অঞ্চলকে কেন্দ্র করে রেল চলাচল শুরু হয়েছে। পরবর্তীকালে আসানসোল সহ তৎকালীন বিহার রাজ্যে রেল সংযোগ হয়। মধ্যবর্তী শহর আসানসোল হওয়ায় আসানসোল রেল ডিভিশন তৈরি করা হয়। আসেন প্রচুর ব্রিটিশ ও অন্যান্য রাজ্য থেকে রেলকর্মীরা।
সেই সময় ব্রিটিশ রেল কর্মীদের আমোদপ্রমোদ সংস্কৃতির আদান-প্রদান জন্য তৈরি হয় ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট যা পরবর্তীকালে স্যার মার্তিমার ডুরান্ড-এর নামে নামাঙ্কিত হয়। স্বাধীনতার পর বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউট নামে নামাঙ্কিত করা হয় ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট। ব্রিটিশ আমলে ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউটে ভারতীয়দের ঢোকা নিষিদ্ধ ছিল। ব্রিটিশদের সংস্কৃতিতে ভারতীয়দের নাক গলানো সাহেবদের পছন্দ ছিল না। জনশ্রুতি এও আছে বাইরে নাকি নোটিশ বোর্ডে লেখা থাকতো ভারতীয়দের এবং কুকুরদের ভেতরে আসা নিষেধ। আর এতেই অপমানিত হয়ে ভারতীয় রেল কর্মীরা আন্দোলন শুরু করে। ইস্ট ইন্ডিয়া রেল কোম্পানির কাছে দাবি করতে শুরু করে আমাদের সংস্কৃতির জন্য আলাদা ভবন তৈরি করে দিতে হবে । প্রায় 25 বছর ধরে সেই আন্দোলন চলার পর 1915 সালে তৈরি হয় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট। স্বাধীনতার পরবর্তী কালে যা সুভাষ ইনস্টিটিউট হলে নামাঙ্কিত হয়েছিল। এই দুটি ভবন ব্রিটিশ আমল থেকেই পৃথক পৃথকভাবে দুই সংস্কৃতির পীঠস্থান হয়ে উঠেছিল। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এই দুটি ভবনে সিনেমা হল তৈরি হয়। কিন্তু কালের নিয়মে ভবন দুটি ভঙ্গুর হতে শুরু করে।
বিরাট লম্বা গম্বুজাকৃতির ডুরান্ড ইনস্টিটিউট আসানসোল শহরের সবচেয়ে উঁচু বাড়ি ছিল সে সময়। এত লম্বা প্রেক্ষাগৃহ এখনও আসানসোল শহরে নেই। অন্যদিকে নির্মাণে তেমন জাঁকজমক না থাকলেও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ও দেখতে মন্দ ছিল না। তবে ব্রিটিশদের প্রেক্ষাগৃহ এবং এদেশীয়দের প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে শ্রেণী বিভাজনের স্পষ্ট ছাপ ছিল। দুটি ভবনই সময়ের যাঁতাকলে নষ্ট হতে বসেছিল। ইতিহাস ধ্বংসের মুখে যাচ্ছে দেখে আসানসোল রেল ডিভিশন এই দুটি হেরিটেজ ভবনকে পুনরায় সংস্কার করল। আসানসোল রেল ডিভিশনের প্রাক্তন DRM প্রশান্ত কুমার মিশ্রের উদ্যোগেই এরকম মোট 32 টি ভবন কে সংস্কার করা হয়েছে।
প্রশান্ত কুমার মিশ্ৰ জানিয়েছেন ডুরান্ড ও সুভাষ ইনস্টিটিউটের ইতিহাস গৌরবজ্জল। আর তাই ইতিহাসকে ধরে রাখতে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে এই দুটি ভবন কে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে ।আগামী দিনে শহরের সংস্কৃতি জন্য এই দুটি ভবন কে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।


Conclusion:
Last Updated : Aug 7, 2019, 12:02 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.