আসানসোল, 29 জুন : নীতি আয়োগের বৈঠকে উঠে এসেছে জল সংকটের কথা । ইতিমধ্যে চেন্নাইয়ে পানীয় জলের হাহাকার দেখা দিয়েছে । রিপোর্ট বলছে, 2020-র মধ্যে দেশের ২১টি শহরে ভূগর্ভস্থ জল প্রায় শেষ হয়ে যাবে । তীব্র জলসংকটে পড়বে অন্তত ১০ কোটি ভারতীয়। ইতিমধ্যে তার প্রমাণও পাওয়া গেছে । দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ-সহ দেশের ২১টি শহরে ধীরে ধীরে জল সংকট তীব্র হচ্ছে । পশ্চিমবঙ্গেও এই সংকট হতে পারে । বিপদের কথা মাথায় রেখে জল সঞ্চয়ে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে আসানসোল রেল ডিভিশন ।
বিশ্বজুড়ে পানীয় জলের হাহাকার শুরু হয়েছে । অনেকের মতে পানীয় জলের জন্যই হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ । ভারতের অবস্থাও বিপজ্জনক । জলাভাব ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বলে জানাচ্ছেন পরিবেশবিদরা । এই পরিস্থিতিতে জল সঞ্চয়ের কাজ শুরু করেছে আসানসোল রেল ডিভিশন । রেল ডিভিশনের জমিতে বনভূমি তৈরি করার পাশাপাশি রেল হাসপাতালে বৃষ্টি বাড়ি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে । কাটা হচ্ছে নতুন পুকুর । জলাশয়গুলির সংস্কারও চলছে ।
জল সঞ্চয়ে পদক্ষেপ :
- আসানসোল রেল ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার প্রশান্ত কুমার মিশ্র জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যে জল সঞ্চয়ের কাজ শুরু হয়েছে । গতবছর এলাকাজুড়ে প্রায় 3 লাখ গাছ লাগানো হয়েছে । 15টি জলাশয় তৈরি হয়েছে । এর মধ্যে শতাব্দী পার্কে দুটি বড় জলাশয় রয়েছে । এবার 25টি পুকুর কাটার কাজ শুরু হয়েছে । যাতে বৃষ্টির জল সঞ্চয় করা যেতে পারে ।
- গতবছর 15টি বনভূমি তৈরি করা হয়েছিল । এবছর 25টি বনভূমি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে । বনভূমিগুলিতে দেশি গাছপালা লাগানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে । এলাকায় যত বড় বড় বিল্ডিং রয়েছে সেখানে রেন ওয়াটার হারভেস্টিং প্রোজেক্টের কাজ শুরু হয়েছে ।
- আসানসোল রেল ডিভিশনাল হাসপাতালে রেন ওয়াটার হারভেস্টিং প্রোজেক্টের কাজ শুরু হয়েছে। ছাদ থেকে বৃষ্টির জল ধরার জন্য বড় বড় পাইপ লাগানো হয়েছে হাসপাতালের দেওয়ালজুড়ে । সেই পাইপের জল এসে জমা হচ্ছে একটি বড় রিজ়ার্ভারে । সেখান থেকে জলকে পরিশুদ্ধ করে আবার ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হচ্ছে ।
- আগামীদিনে রেলের অন্যান্য দপ্তর এবং রেল কলোনিতে এই বৃষ্টি বাড়ি প্রকল্প শুরু করা যায় কি না তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে । আসানসোল রেল ডিভিশনের অন্তর্গত যে সমস্ত বড় বড় জলাশয়গুলি রয়েছে সেগুলিকে বর্ষার আগেই সংস্কার করা হয়েছে । বর্ষার জল জমা হওয়ার পর ব্যবহার করার জন্য তা পরিশুদ্ধ করা হবে । অন্যদিকে শহরের নালার জল পরিশুদ্ধ করে বাগান, শৌচাগার ইত্যাদি জায়গায় ব্যবহার করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে ।
এই বিষয়ে, আসানসোল রেল ডিভিশনের ম্যানেজার প্রশান্ত কুমার মিশ্ৰ বলেন, "গতবছর 15টি বনভূমি তৈরি করা হয়েছিল । এবছর ২৫টি পুকুর কাটার কাজ শুরু হয়েছে রেল ডিভিশনজুড়ে । শহরের নালার জল পরিশুদ্ধ করে বাগান, শৌচাগার ইত্যাদি জায়গায় ব্যবহার করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে ।"