আসানসোল, 11 নভেম্বর: জেলে বসেই পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Elections 2023) ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছেন বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) । নেতার কাছে তাই নির্দেশ নিতে শুনানির দিনই হাজির হলেন বীরভূমের নেতা-কর্মীরা । এজলাসে অল্প সময়েই প্রয়োজনীয় কথা সেরে নিলেন । ‘কেষ্টদার’ নির্দেশ পেয়ে বাড়তি অক্সিজেন নিয়ে ফিরলেন বীরভূমের তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতা-কর্মীরা ।
শুক্রবার আসানসোল সিবিআই আদালতে (Asansol CBI Court) অনুব্রত মণ্ডলের শুনানি ছিল । বিচারক সওয়াল জবাবের শেষে রায়দান কিছুক্ষণ স্থগিত রাখেন । তারপর চেম্বারে চলে যান । পুনরায় এজলাসে এসে অনুব্রত মণ্ডলকে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন । সিবিআই (CBI) আদালতে রায়দান যখন স্থগিত, সেই সুযোগেই বীরভূমের নেতা-কর্মীরা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে ওঠেন । অন্যদিকে আদালত চত্বরে প্রচুর পরিমাণে নেতা-কর্মীদের ভিড় ছিল । তাঁরা বীরভূম থেকে এসেছিলেন ‘কেষ্টদার’ সঙ্গে দেখা করতে ।
বীরভূম জেলায় তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করেন । সঙ্গে ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন । আদালত থেকে বেরিয়ে মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "নেতার একটাই নির্দেশ সবাই মিলে একসঙ্গে থাকতে হবে । পঞ্চায়েত দখল করতে হবে । এলাকায় এলাকায় যেতে হবে । মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে । এমন বার্তাই উনি দিয়েছেন ।"
এত নেতা-কর্মী কেন এসেছিলেন আজকে ? এই প্রশ্নের উত্তরে মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "অনেকদিন হয়ে গেল । পুজো পেরিয়ে গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোট আসছে । সবাই দাদার কাছে কিছু শুনতে চাইছে ।" গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল কী নির্দেশ দিলেন ? মলয় মুখোপাধ্যায় এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "উনি জানিয়েছেন যারা দলে থেকে দলের বিরোধী কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নাও ।"
ফিরহাদ হাকিমের "বাঘ" প্রসঙ্গে বীরভূম জেলায় তৃণমূলের সহ-সভাপতি বলেন, "ববি হাকিম বাঘ বলল না কে সিংহ বলল সেটা বড় বিষয় নয় । ওনাকে বীরভুমের মানুষ অন্তর দিয়ে ভালোবাসেন । পঞ্চায়েত ভোটে উনি তো আছেনই পেছনে । তাঁর তৈরি সংগঠনই তো কাজ করে চলেছে । তাঁরই উন্নয়ন । এসব যাবে কোথায় ?"
অন্যদিকে এদিন আদালত থেকে সংশোধনাগারে যাওয়ার সময়ে অনুব্রত মণ্ডলও বেশ খোশ মেজাজে ছিলেন । পুরনো নেতা-কর্মীদের দেখে তিনিও চাঙ্গা হয়ে জেলে ফিরলেন ।
আরও পড়ুন: 'জানলার কাচ তুলে দাও !' লটারি নিয়ে প্রশ্ন কানে যেতেই বললেন কেষ্ট