আসানসোল, 27 এপ্রিল: "শরীর ভালো নেই স্যার, অনেক সমস্যা । আমাকে আসানসোল জেলে ফেরত চেয়ে নিন ৷" তিহাড় সংশোধনাগারে থাকতে থাকতে ক্লান্ত অনুব্রত মণ্ডলের কাতর আবেদন আসানসোল সিবিআই বিচারকের কাছে । বৃহস্পতিবার তিহাড় সংশোধনাগার থেকে অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসেনের ভার্চুয়াল শুনানি হয় আসানসোল সিবিআই আদালতে । বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আগামী 11 মে ।
এ দিন শুনানির শুরু থেকেই বীরভুমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গলা সুর একেবারে নরম । শুরুতেই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রতকে জিজ্ঞেস করেন, "কেমন আছেন ?" অনুব্রত মণ্ডল জানান, শরীর ভালো নেই । অনেক সমস্যা । বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এরপর জিজ্ঞেস করেন, "আপনি যে আসানসোল জেলে ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন সেটার এখন স্টেটাস কী ?"এরপরেই অনুব্রতর কাতর আবেদন,"স্যার ওটা চলছে । আমাকে আপনি আসানসোল জেলে ফেরত চেয়ে নিন ।" বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বলেন, "ওটা আমার হাতে নেই । সম্পুর্ণ হাইকোর্টের বিষয় ।"
এরপর বিচারক সায়গলের উদ্দেশে বলেন, "সায়গল সব ঠিক আছে ?" পাশ থেকে অনুব্রত মণ্ডল আবার বলে উঠলেন, "সিবিআই মামলায় আমায় এ বার বেল দিয়ে দিন । ওটা ফলস কেস ।" বিচারক জানান, "আমরা সরকারি লোকজন । কাগজপত্র, নথি সব দেখেই আমাদের বিচার করতে হয় ।" এরপর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রত মণ্ডলকে বলেন, "তিহাড় জেলে যদি কোনও অসুবিধা হয়, জেল সুপারকে জানাবেন । ওখানে পরিবেশ তো একটু আলাদা । কোনও রকম দ্বিধা সংকোচ করবেন না ।"
প্রসঙ্গত, গত বছর 11 অগস্ট গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল । তখন থেকেই তিনি বন্দি । শুধু সিবিআই মামলা চলার সময় তিনি আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন । পরবর্তীতে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যায় । বর্তমানে তিহাড় সংশোধনাগারে আছেন অনুব্রত । তাঁর সঙ্গে রয়েছেন দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী সায়গল হোসেন । গত 21 মার্চ থেকে তিহাড় জেলে আছেন অনুব্রত মণ্ডল । বুধবার তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে ইডি । আগামী 11 মে অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসেনের পরবর্তী শুনানি হবে ।