দুর্গাপুর, 12 মে : দুর্গাপুরের বীরভানপুরে শ্মশানে করোনায় আক্রান্তদের মৃতদেহ সৎকারে ডোমরা চাইছে 15 হাজার টাকা করে ৷ খবরটি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন ৷ বুধবার তড়িঘড়ি সারা হয় উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও ৷ তারপরও উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ মহকুমাশাসকের দফতরের কর্মীকে এই সৎকারের কাজের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় ৷ তাঁর বিরুদ্ধেই কাজে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে ৷ তবে মহকুমাশাসক জানিয়েছেন, দোষ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷
পশ্চিম বর্ধমানের বীরভানপুরে শ্মশানে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে কোভিড আক্রান্ত মৃতদেহ যাওয়ার পর তা দাহ করতে ডোমরা 15 হাজার টাকা করে দাবি করে । তাই নিয়ে মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের হয় । এরপরই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেই খবর চাউর হতেই উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক হয় বুধবার । সেই বৈঠকে যোগ দেন পশ্চিম বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) শুভেন্দু বসু, দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অর্ঘ্যপ্রসূন কাজি, এসিপি অক্ষসত গর্গ ও দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রতিনিধিরা ।
এদিন এই বৈঠক শেষে অতিরিক্ত জেলাশাসক শুভেন্দু বসুকে ডোমদের এই তোলাবাজি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় । জানা গিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে মহকুমাশাসকের তত্ত্বাবধানে । ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই ঘটনার তদন্ত করছেন । কোভিডে আক্রান্ত এই মৃতদেহগুলি দাহ করার কাজ দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় মহকুমাশাসকের দফতরের এক কম্পিউটার অপারেটরকে ৷ শুভম আচার্য নামে ওই কম্পিউটার অপারেটরের অধীনেই মৃতদেহ দাহ করার কাজ চলছিল ৷ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় এই ডোমদের টাকা চাওয়ার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন ।
প্রাথমিকভাবে শুভম আচার্যের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির একটা অভিযোগ উঠেছে । মহকুমাশাসক অর্ঘ্যপ্রসূন কাজি ফোনে জানান, তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব ।
যদিও এখনও জানা যায়নি শ্মশানে এই তোলাবাজির পিছনে কে আছেন ৷ তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি রক্ষকই ভক্ষক ?