আসানসোল, 5 নভেম্বর: বালিবোঝাই ('ওভারলোডেড' বলে অভিযোগ ) লরির ধাক্কায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু (Accidental Death) ঘিরে তোলপাড় হচ্ছে আসানসোল (Asansol) ৷ এবার সেই দু'জনের মধ্যে একজনের মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল ৷ দুর্ঘটনায় মৃত ওই ব্যক্তির নাম বিদেশ দেওঘরিয়া ৷ তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে শনিবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে (Asansol District Hospital) নালিশ জানাতে এলেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তথা বিজেপি নেত্রী অগ্রিমিত্রা পল (Agnimitra Paul) ৷ এদিন তিনি আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপারের কাছে রীতিমতো কৈফিয়ত চান ! জানতে চান, কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল !
শনিবার বিকেলে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পৌঁছন অগ্নিমিত্রা পল ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি-এর কর্মী ও সমর্থকরা ৷ কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা যাতে ব্যাহত না-হয়, তার জন্য কর্মী ও সমর্থকদের বাইরে দাঁড় করিয়ে পাঁচজন দলীয় সহকর্মীকে নিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাসের ঘরে যান অগ্নিমিত্রা ৷ সেখানে তিনি একটি স্মারকলিপি জমা দেন ৷ সেই স্মারকলিপিতে লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হয়, বিদেশ দেওঘরিয়া নামে যে ব্যক্তি সেদিনের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁর চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছিল কেন ?
আরও পড়ুন: অবৈধ বালি নিয়ে আন্দোলনে অগ্নিমিত্রা, অগ্নিগর্ভ আসানসোল
অগ্নিমিত্রা পাল দাবি করেছেন, দুর্ঘটনার পর বিদেশ দেওঘরিয়া প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা বেঁচে ছিলেন ৷ কিন্তু, সেই সময় তাঁকে কার্যত বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় ৷ সময় মতো তাঁকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়নি ৷ অগ্নিমিত্রার দাবি, বিদেশকে যদি সময় মতো রেফার করে দেওয়া হত, তাহলে হয়তো তিনি বেঁচে যেতেন ৷ পাশাপাশি, হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ তুলেছেন অগ্নিমিত্রা ৷
আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, "বিধায়ক হাসপাতালে এসেছিলেন ৷ তিনি বেশ কিছু অভিযোগ করেছেন ৷ আমি সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখছি ৷ যদিও চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, দুর্ঘটনাগ্রস্থ যে দু'জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল, তাঁদের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক ছিল ৷ প্রবল চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁদের বাঁচানো যায়নি ৷ বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ৷"