আসানসোল, 24 এপ্রিল: বার্নপুর ডেইলি মার্কেটে এক ফালি জমি নিয়ে তোলপাড় ৷ ছড়াল রাজনৈতিক উত্তেজনা। কে পাবে ওই জমি তা নিয়ে সম্মুখ সমরে বিজেপি-তৃণমূল। একদিকে অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে হীরাপুর থানাতে ধরনা অবস্থান অন্যদিকে, তৃণমূল কাউন্সিলরদের ইস্কো কারখানার টাউন অফিসে বিক্ষোভ। দুইয়ে মিলে সোমবার দিনভর সরগরম রইল শিল্পশহর বার্নপুর।
জানা গিয়েছে, ইস্কোর বার্নপুর মার্কেটে পূর্ণিমা দে নামে এক বিজেপি কর্মীকে দোকান করার জন্য জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি প্রদানের নির্দিষ্ট কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বাধায় ওই বিজেপি কর্মী নির্দিষ্ট জমিতে দোকান দিতে পারছেন না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল-সহ বিজেপি নেতৃত্ব বার্নপুর বাজার এলাকায় যান এবং সেখানে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি তিনি ধরনায় বসে পড়েন।
কিন্তু তারপরেও কিছু হয়নি। সোমবার পুনরায় তিনি হীরাপুর থানার সামনে ধরনায় বসেন। অগ্নিমিত্রা পল বলেন,"অনুমতির নথি থাকলেও কেন আমাদের কর্মীকে জমি নিতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূলের গুন্ডারা। কথায় আছে জোর যার মূলুক তার। তাই বলপূর্বকভাবে আমাদের কর্মীকে দোকান করতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূলের গুন্ডারা।" জানা গিয়েছে, ওই জমিতে বহুকাল আগে দেবশ্রী ভদ্র নামে এক মহিলার একটি পিসিও বুথ ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে ইস্কো কর্তৃপক্ষ সেই দোকানটিকে সরিয়ে দেয় এবং জায়গাটিকে ফাঁকা করে দেয়। তার কারণ হিসেবে ইস্কো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল যে বাজারের প্রবেশপথে ওই দোকান রাখা যাবে না। সেখানে পরবর্তীকালে একটি ভ্যাট এবং শৌচাগার বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যদিও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
আরও পড়ুন: বার্নপুর বাজার পোস্ট অফিসকে সরার নির্দেশ, চিন্তায় গ্রাহকরা
একদিকে এদিন যখন অগ্নিমিত্রা পল হীরাপুর থানার বাইরে ধরনা অবস্থানে বসেছেন, তখন অন্যদিকে ইসকো কারখানার টাউন অফিস ঘেরাও করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বার্নপুর অঞ্চলের তৃণমূলের সমস্ত কাউন্সিলর এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। তৃণমূল কাউন্সিলর অশোক রুদ্র বলেন, "বিজেপি কর্মীকে ইসকো কারখানা দোকান করতে জমি দেবে তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই কিন্তু, ইসকো কর্তৃপক্ষ ব্রিটিশদের মতো নিজের জমিকে যেমন খুশি করে লোককে ব্যবহার করতে দেবে এই জিনিস আমরা মেনে নেব না। ওই স্থানে বিজেপি কর্মীকে কোনও মতে দোকান করতে দেওয়া যাবে না।" যদিও শেষ পর্যন্ত ইসকো সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির ওই কর্মীকে বাজারের অন্য স্থানে জায়গা দেওয়ার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে।