দুর্গাপুর, 28 নভেম্বর: হাই মাস্ট আলোয় আমন ধানের ফলন কমেছে দেওয়া হচ্ছে না শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, দিচ্ছে না কাজও ৷ এই অভিযোগ তুলে কাঁকসার বাসুদেবপুরে বেসরকারি কয়লা উত্তোলক সংস্কার নির্মাণের কাজ আটকে বিক্ষোভে এলাকাবাসীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে যাকে ঘিরে বেশ উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দেয় দুর্গাপুর-ফরিদপুর ও কাঁকসা থানার পুলিশ।
কাঁকসার বাসুদেবপুর, বিনোদপুর, নয়াকাঞ্চনপুর এবং দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের বৈদ্যনাথপুর, কৈলাসপুর-সহ বেশকিছু গ্রামের কয়েকশো জমি দাতারা বেসরকারি কয়লা উত্তোলক সংস্থার নির্মাণের কাজ আটকে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেয়। বেশ কয়েকটি বেসরকারি লৌহ ইস্পাত কারখানায় কাঁচামাল জোগানের লক্ষ্যে কাঁকসার বাসুদেবপুর ও দুর্গাপুর ফরিদপুরের বৈদ্যনাথপুর সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠছে বেসরকারি কয়লা উত্তোলন সংস্থা। জমিদাতারা অভিযোগ তোলেন জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওই সংস্থা।
এছাড়াও এলাকায় একাধিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ধান চাষের জমির পাশে হাই মাস্ট লাইটও লাগানো হয়েছে। রাতে সেই আলো জমিতে পড়লে ধানের শিষ বের হতে সমস্যা হচ্ছে। কমছে আমন ধানের ফলন। এবং এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। তাঁদের প্রতিশ্রুতি পূরণ না-করাই কাজ বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করেছেন বলেও জানান। দ্রুত তাঁদের দাবি মানা না-হলে আন্দোলন জারি রাখার হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা।
সংস্থার সহসভাপতি দীপক সাউ দাবি করেন, এলাকাবাসীর প্রতিশ্রুতি পূরণের পরেই তাঁরা বেসরকারি কয়লা উত্তোলক সংস্থার নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। উৎপাদনের আগেই কাজে ব্যখ্যা ঘটনায় চরম সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। এলাকাবাসীর এখনও যেসব দাবি রয়েছে সেই দাবিগুলিও পূরণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন। আন্দোলনরত শেখ সুলেমান ও ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, "গ্রামের মানুষদের কাছ থেকে জমি নেওয়ার সময় যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার একটাও পূরণ হয়নি। উলটে গ্রামের রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তা একেবারে ভেঙে গিয়েছে। আমরা তাও প্রতিবাদ করিনি। হাই মাস্ট লাইট লাগানোর কারণে ধানের ফলনে চরম ক্ষতি দেখা দিয়েছে।"
আরও পড়ুন: