ETV Bharat / state

ফ্রি বিদ্যুতে 'হাসির আলো' বাজেটে, অন্ধকার কাটবে তো ?

গরিব মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সরকারের প্রকল্প হাসির আলো ৷ যে সব গরিব পরিবার তিনমাসে 75 ইউনিটের মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে তাদের বিল মেটাতে হবে না ৷ একথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ৷ তবে এই প্রকল্প আদৌ বাস্তবায়িত হবে তো ? উঠছে প্রশ্ন ৷

author img

By

Published : Feb 10, 2020, 7:24 PM IST

Updated : Feb 10, 2020, 7:30 PM IST

hasir-alo-reaction-of-asansol
হাসির আলো

আসানসোল, 10 ফেব্রুয়ারি : রাজ্য বাজেটের অন্যতম আলোচিত প্রকল্প হাসির আলো ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়া বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল আসানসোল শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে ।

সকালে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ঘোষণা করেন, যাঁরা বিদ্যুতের খরচ বহন করতে অক্ষম তাঁদের কথা ভেবে হাসির আলো প্রকল্প ৷ এই প্রকল্পে গ্রাম ও শহরের অতি গরিব, যাঁরা ত্রৈমাসিক 75 ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তাঁদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে ৷ এই উদ্যোগকে কেউ সাধুবাদ জানালেন, কেউ আবার সংশয় প্রকাশ করলেন ৷ অনেকে বললেন, "প্রকল্প তো ভালো তবে তা গরিবের কাজে আসবে তো?"

আসানসোলের এক মিষ্টির দোকানের কর্মচারী সুভাষ জানা বলেন "মুখ্যমন্ত্রী যে বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভেবেছেন এটা গরিব মানুষের উপকারে লাগবে ।" ছোটো দোকানের মালিক অশোক গোপ আবার এই প্রকল্প নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ৷ তাঁর প্রশ্ন, "প্রকল্প হবে তো?" আসানসোল অধিবাসী জনৈক স্কুল-কর্মী শ্যামলী কর রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন, "আমাদের বাড়িতে দিদি আজ পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছে দেননি । অন্ধকারে ছেলেদের পড়াশোনা করতে হয় । বাড়ির মধ্যে সাপ ঢুকে বসে থাকে ।"

"হাসির আলো" নিয়ে প্রতিক্রিয়া আসানসোলের

মুখ্যমন্ত্রীর নয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন খাবারের দোকানের কর্মী ধনঞ্জয় দাস । তিনি বলেন, "গরিব মানুষ এর ফলে উপকৃত হবে ।" সুবীর রঞ্জন দাস নামের এক আসানসোল বাসিন্দার চিন্তা, "ভালো প্রকল্প, কিন্তু বাস্তবায়িত হবে তো?" শর্মিষ্ঠা দে নামের এক গৃহবধূ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পকে সাধুবাদ জানালেন । তিনি মনে করছেন, "এর ফলে সাশ্রয় হবে গরিব মানুষের ।"

সোমবার রাজ্য বাজেট পেশ করতে গিয়ে অমিত মিত্র দাবি করেন, " হাসির আলো" প্রকল্পে রাজ্যের প্রায় 35 লাখ গরিব পরিবার উপকৃত হবে । অর্থমন্ত্রী এর জন্য আগামী অর্থবছরে অতিরিক্ত 200 কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব দেন৷

আসানসোল, 10 ফেব্রুয়ারি : রাজ্য বাজেটের অন্যতম আলোচিত প্রকল্প হাসির আলো ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়া বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল আসানসোল শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে ।

সকালে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ঘোষণা করেন, যাঁরা বিদ্যুতের খরচ বহন করতে অক্ষম তাঁদের কথা ভেবে হাসির আলো প্রকল্প ৷ এই প্রকল্পে গ্রাম ও শহরের অতি গরিব, যাঁরা ত্রৈমাসিক 75 ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তাঁদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে ৷ এই উদ্যোগকে কেউ সাধুবাদ জানালেন, কেউ আবার সংশয় প্রকাশ করলেন ৷ অনেকে বললেন, "প্রকল্প তো ভালো তবে তা গরিবের কাজে আসবে তো?"

আসানসোলের এক মিষ্টির দোকানের কর্মচারী সুভাষ জানা বলেন "মুখ্যমন্ত্রী যে বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভেবেছেন এটা গরিব মানুষের উপকারে লাগবে ।" ছোটো দোকানের মালিক অশোক গোপ আবার এই প্রকল্প নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ৷ তাঁর প্রশ্ন, "প্রকল্প হবে তো?" আসানসোল অধিবাসী জনৈক স্কুল-কর্মী শ্যামলী কর রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন, "আমাদের বাড়িতে দিদি আজ পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছে দেননি । অন্ধকারে ছেলেদের পড়াশোনা করতে হয় । বাড়ির মধ্যে সাপ ঢুকে বসে থাকে ।"

"হাসির আলো" নিয়ে প্রতিক্রিয়া আসানসোলের

মুখ্যমন্ত্রীর নয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন খাবারের দোকানের কর্মী ধনঞ্জয় দাস । তিনি বলেন, "গরিব মানুষ এর ফলে উপকৃত হবে ।" সুবীর রঞ্জন দাস নামের এক আসানসোল বাসিন্দার চিন্তা, "ভালো প্রকল্প, কিন্তু বাস্তবায়িত হবে তো?" শর্মিষ্ঠা দে নামের এক গৃহবধূ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পকে সাধুবাদ জানালেন । তিনি মনে করছেন, "এর ফলে সাশ্রয় হবে গরিব মানুষের ।"

সোমবার রাজ্য বাজেট পেশ করতে গিয়ে অমিত মিত্র দাবি করেন, " হাসির আলো" প্রকল্পে রাজ্যের প্রায় 35 লাখ গরিব পরিবার উপকৃত হবে । অর্থমন্ত্রী এর জন্য আগামী অর্থবছরে অতিরিক্ত 200 কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব দেন৷

Intro:বাজেটে ঘোষণা হওয়া মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প "হাসির আলো" নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া উঠে এল আসানসোলে। বিভিন্ন মানুষজন বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানালেন।
আসানসোলের একটি মিষ্টির দোকানের কর্মচারী সুভাষ জানা জানালেন "মুখ্যমন্ত্রী যে বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভেবেছেন এটা গরিব মানুষদের খুবই উপকারে লাগবে।" কিন্তু পাশাপাশি একটি ছোট দোকানের মালিক অশোক গোপ সংশয় প্রকাশ করে জানালেন "এই প্রকল্প হবে তো?" আসানসোলের একটি স্কুলের কর্মী শ্যামলী কর জানালেন "আমাদের বাড়িতেই দিদি আজ পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। অন্ধকারে আমাদের ছেলেদের পড়াশোনা করতে হয়। বাড়ির মধ্যে সাপ ঢুকে বসে থাকে।" তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের প্রকল্পের সুনাম করেছেন খাবারের দোকানের কর্মী ধনঞ্জয় দাস। তিনি জানিয়েছেন "গরীব মানুষেরা এর ফলে উপকৃত হবে।" যদিও ফের সংশয় উঠে এসেছে বাসিন্দাদের গলায়। সুবীর রঞ্জন দাস নামে এক বাসিন্দা জানালেন "বেশ ভালো প্রকল্প। কিন্তু আদৌ বাস্তবায়িত হবে এই প্রকল্প?"
শর্মিষ্ঠা দে নামে এক গৃহবধূ অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প কে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তার বক্তব্য গরিব মানুষদের এর ফলে সাশ্রয় হবে।


Body:..


Conclusion:
Last Updated : Feb 10, 2020, 7:30 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.