ETV Bharat / state

রাস্তায় কাতরাচ্ছেন আহতরা, বাসে ভাঙচুর না চালিয়ে প্রাণ বাঁচালেন বুলবুল - bus accident

দুর্ঘটনার শব্দে আশপাশ থেকে ছুটে আসেন স্থানীয়রা । রে রে করে উঠলেন । কেউ বলছেন বাসে আগুন লাগাতে, কারোর আবার লক্ষ্য চালককে উচিত শিক্ষা দেওয়া । আহতদের চিৎকার শুনতে না পেয়ে তাঁদের কাছে যেন বড় হয়ে দাঁড়াল এসবই ।

বুলবুল
author img

By

Published : May 4, 2019, 5:09 AM IST

Updated : May 4, 2019, 6:16 AM IST

দুর্গাপুর, 4 মে : বাসের ধাক্কায় আহত 2 জন । রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন তাঁরা । তখন বাস ভাঙচুর করতে উদ্যত জনতা । চালক ও খালাসিকে হাতে পেতে মরিয়া । কিন্তু কারও খেয়াল নেই আহতদের দিকে । সেই সময় ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন এক মহিলা ।

শুনুন বুলবুল ঘোষের বক্তব্য

গতকাল সকাল 11টা । দুর্গাপুরের আর্টেরিয়াল রোডে কৃষ্ণনগর-বেনাচিতি রুটের একটি বাসের ধাক্কায় আহত হন গদাধর মণ্ডল ও অনিতা মণ্ডল । মাটিতে পড়ে চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা । দুর্ঘটনার শব্দে আশপাশ থেকে ছুটে আসেন স্থানীয়রা । রে রে করে উঠলেন । কেউ বলছেন বাসে আগুন লাগাতে, কারোর আবার লক্ষ্য চালককে উচিত শিক্ষা দেওয়া । আহতদের চিৎকার শুনতে না পেয়ে তাঁদের কাছে যেন বড় হয়ে দাঁড়াল এসবই ।

এর মাঝে ব্যতিক্রম বুলবুল ঘোষ । বাকিদের সাথে তাল মিলিয়ে তিনি বাস ভাঙতে যাননি । চটজলদি মাথায় খাটিয়ে আগে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন । পাশ দিয়ে যাওয়া অটো থামিয়ে নিয়ে যান বিধাননগরের বেসরকারি হাসপাতালে ।

ETV ভারতকে বুলবুল বলেন, "অনেক ডাকলেও সেই সময় কেউ এগিয়ে আসেনি । আমি আওয়াজ পেয়ে ঘর থেকে এসে ওদের কোলে তুলে অটোতে উঠিয়ে দিই । অটোতে করে যেতে যেতে রক্ত মুছিয়ে দিই । আশা করি ওরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে ।"

দুর্গাপুর, 4 মে : বাসের ধাক্কায় আহত 2 জন । রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন তাঁরা । তখন বাস ভাঙচুর করতে উদ্যত জনতা । চালক ও খালাসিকে হাতে পেতে মরিয়া । কিন্তু কারও খেয়াল নেই আহতদের দিকে । সেই সময় ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন এক মহিলা ।

শুনুন বুলবুল ঘোষের বক্তব্য

গতকাল সকাল 11টা । দুর্গাপুরের আর্টেরিয়াল রোডে কৃষ্ণনগর-বেনাচিতি রুটের একটি বাসের ধাক্কায় আহত হন গদাধর মণ্ডল ও অনিতা মণ্ডল । মাটিতে পড়ে চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা । দুর্ঘটনার শব্দে আশপাশ থেকে ছুটে আসেন স্থানীয়রা । রে রে করে উঠলেন । কেউ বলছেন বাসে আগুন লাগাতে, কারোর আবার লক্ষ্য চালককে উচিত শিক্ষা দেওয়া । আহতদের চিৎকার শুনতে না পেয়ে তাঁদের কাছে যেন বড় হয়ে দাঁড়াল এসবই ।

এর মাঝে ব্যতিক্রম বুলবুল ঘোষ । বাকিদের সাথে তাল মিলিয়ে তিনি বাস ভাঙতে যাননি । চটজলদি মাথায় খাটিয়ে আগে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন । পাশ দিয়ে যাওয়া অটো থামিয়ে নিয়ে যান বিধাননগরের বেসরকারি হাসপাতালে ।

ETV ভারতকে বুলবুল বলেন, "অনেক ডাকলেও সেই সময় কেউ এগিয়ে আসেনি । আমি আওয়াজ পেয়ে ঘর থেকে এসে ওদের কোলে তুলে অটোতে উঠিয়ে দিই । অটোতে করে যেতে যেতে রক্ত মুছিয়ে দিই । আশা করি ওরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে ।"

Intro:শুক্রবার বেলা 11 টা নাগাদ দুর্গাপুর ইস্পাতনগরীর আর্টেরিয়াল রোডে কৃষ্ণনগর- বেনাচিতি রুটের একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন গদাধর মন্ডল ও তার মেয়ে অনিতা মন্ডল। রক্তাক্ত অবস্থায় তারা যখন রাস্তায় ছটফট করছেন, তখন উত্তেজিত জনতা ওই বাসটির কাছে গিয়ে জমায়েত করেছেন বাস ভাঙচুর করবে বলে।যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলে বেনাচিতির বাসিন্দা এবং তার মেয়ে অনিতা। ঠিক সেই সময়ে বাস ভাঙচুর করাকেই নিজের কাজ বলে মনে না করে স্থানীয় বাসিন্দা বুলবুল ঘোষ ওই রাস্তায় সেই সময় পেরিয়ে যাওয়া একটি অটো কে থামিয়ে দুই আহত কে তাতে বসিয়ে নিয়ে যান দুর্গাপুরের বিধান নগরের একটি বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বেনাচিতি- কৃষ্ণনগর রুটের বাসটিকে ঘিরে তখন বহু মানুষের ভীড়।কেও বলছেন আগুন জ্বালিয়ে দে,কেওবা আবার বলছেন মালিক,চালক কে আনতে বল এখানে।বুলবুলদেবী তখন বাবা ও মেয়ে কে পাঁজাকোলা করে নিয়ে গেছেন হাসপাতালে। আর তার জন্যই দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয় দুর্ঘটনার কবলে পড়া রক্তাক্ত বাবা ও মেয়ের।প্রায় ৫০ বছর বয়সী বাবা ও ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে কষ্ট করেই হাসপাতালে না নিয়ে গেলে তাদের চিকিৎসা পরিষেবা পেতে দেরি হত।তাতে হয়ত তাদের বিপদ আরো বাড়ত।আমরা দেখেছি পথদুর্ঘটনায় যন্ত্রনাকাতর দুর্ঘটনাগ্রস্ত রা পড়ে থাকলেও তাদেরকে হাসপাতালে কেও নিয়ে যেতে চাইনা।আর এতে দেরি হয় যার ফলে বিপদ বাড়ে।কিন্তু বুলবুল দেবী ভাবেননি সেসব।তিনি জানালেন "" আমি আবার দুর্ঘটনা ঘটলে যাব।আমি নিজে স্বাক্ষর করে বাবা ও মেয়েকে ভর্তি করেছি।আবার যাব ওদের সাথে দেখা করতে।আমি অনেককে ডাকলাম কেও আসেনি।""Body:কপিConclusion:কপি
Last Updated : May 4, 2019, 6:16 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.