আসানসোল, 29 মে : গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল আসানসোলের বড়তোড়িয়ার যুবক অশোক কুমার কানু। বাড়িতে জানিয়েছিল বিহারের পারশনাথ মন্দির যাবে বন্ধুদের সঙ্গে। কিন্তু আর কোনও খোঁজ নেই। বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কয়েকদিন পরে পরিবার জানতে পারে ঝাড়খণ্ডের টাটার বাসিন্দা এক যুবতির সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অশোকের। তার সঙ্গেই শেষ দেখা গিয়েছে অশোককে। পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ গ্রেপ্তার করে ওই যুবতিকে। অভিযোগ ওই যুবতি না কি অশোককে বিক্রি করে দিয়েছে মানব দেহ থেকে যারা অঙ্গ বিক্রি করে, তেমন একটি চক্রকে। যুবতিকে গ্রেপ্তার করলেও এখনও হদিশ পাওয়া যায়নি যুবকের।
ফেসবুকের মাধ্যমেই আলাপ হয়েছিল আসানসোলের অশোকের সঙ্গে জামশেদপুরের পলক কুমারীর। তা থেকেই প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পলক দেখা করতে জামশেদপুরে ডাকে অশোককে। ফেব্রুয়ারি মাসে বন্ধুদের কয়েকজনকে নিয়ে পলকের সাথে দেখা করতে যায় অশোক। যদিও বাড়িতে বলে যায় পারশনাথ মন্দিরে বেড়াতে যাচ্ছে। বন্ধুদের জামশেদপুর স্টেশনে ছেড়ে দিয়ে পলকের সাথে অশোক চলে যায়। আর খোঁজ মেলেনি। অশোকের বন্ধুদের কাছে বিষয়টি জানার পর আসানসোল দক্ষিন থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয় পলক কুমারীর নামে। পুলিশ জামশেদপুর থেকে গ্রেপ্তারও করে পলককে।
অশোকের পরিবারের দাবি, পলক পুলিশি জেরায় স্বীকার করে অশোককে বিক্রি করে দেওয়ার কথা। কিন্তু লকডাউনের কারনে তদন্ত থমকে যায়। তিনমাস হয়ে গেল অশোকের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। উত্কন্ঠায় কাটছে তার পরিবারের। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত চলছে ।