ETV Bharat / state

ড্রাগের দেনায় আত্মঘাতী কিশোর, কারবারিদের মারধর শ্মশানে - Coke Oven Police station

ড্রাগ কারবারিদের টাকা মেটাতে না পেরে দুর্গাপুরে আত্মঘাতী কিশোর ৷ গ্রেপ্তার তিন ৷

মাদক
author img

By

Published : Aug 4, 2019, 10:44 PM IST

Updated : Aug 4, 2019, 10:56 PM IST

দুর্গাপুর, 4 অগাস্ট : ড্রাগ কারবারিদের টাকা মেটাতে না পেরে আত্মঘাতী 17 বছরের কিশোর । তাকে দাহ করার সময় শ্মশানে তিন ড্রাগ কারবারি উপস্থিত হয় ৷ তাঁদের ধরে গণপিটুনি দেয় মৃতের পরিবারের লোকেরা ৷ পরে তাঁদের কোকওভেন থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ আগামীকাল তাদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে ৷

দুর্গাপুর থানার বেনাচিতি বিদ্যাসাগর পল্লির বাসিন্দা সুরেশ প্রসাদ সিংয়ের দুই ছেলে । ছোটো ছেলে রাহুল কুমার সিং দুর্গাপুরের পলাশডিহার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের ক্লাস টেনে পড়ত । গতরাতে রাহুল নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে ।

রাহুলের বাবা সুরেশ প্রসাদ সিং বলেন, "বেশ কিছুদিন ধরেই আমার ছোটো ছেলে মানসিক ভাবে চাপে ছিল । রাহুল ওর মায়ের কাছে বার বার সাড়ে তিন হাজার টাকা চাইছিল । কিন্তু কী কারণে এই টাকা দরকার তা বলেনি । আজ মৃত্যুর পরে তার মোবাইলে হোয়াটসআ্যপ এবং SMS দেখে জানলাম সোনু কানিয়া রাহুলকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল । রাহুলের মোবাইল কভারে ব্রাউন সুগার পাই ৷ তখনই সব পরিষ্কার হয়ে যায় ৷ "

Rahul
আত্মঘাতী কিশোর রাহুল সিং

তিনি অভিযোগ করেন, "এই সোনু , তারুল, বিশাল, অঙ্কিত এরা আমরাই, সেকেন্ডারি, রহিমপথ ও ঝান্ডাবাগ এলাকার ছেলে । এরা আর্থিক সংগতি আছে এমন পরিবারের ছোটো ছোটো ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব করে তাদের প্রথমে ড্রাগের নেশা ধরিয়ে দেয় ৷ ওরা জানে একবার নেশাগ্রস্ত করে দিতে পারলে এরা সব বিক্রি করেও ড্রাগ কিনবে । আমার ছেলের দুই বন্ধুও এভাবে ড্রাগের নেশা করে মারা গেছে। আজকে সোনু কানিয়া আর দু'জন বীরভানপুর শ্মশানে এসেছিল ৷ আমরা ওদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি । আমরা কোকওভেন থানায় লিখিত অভিযোগও জানাচ্ছি ।"

দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে দুর্গাপুরের রহিমপথের একটি ক্লাব এবং সেকেন্ডারি রোডে কিছু যুবক ড্রাগ চোরাচালান করছে ৷ প্রশাসনের কাছে সাধারণ মানুষ বারবার জানালেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ৷

রাহুলের দাদা অভিষেক কুমার সিং আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, "তিনজন ড্রাগ কারবারি ধরা পড়েছে, এবার ড্রাগ মাফিয়ারা আমাদের হুমকি দেবে ৷ কিন্তু আমরা সুবিচার চাই । রাহুলের মতো অনেক ছেলেরা এই ড্রাগ কারবারিদের সফট টার্গেট । একবার ড্রাগের নেশা ধরাতে পারলেই কেল্লাফতে । শুধু কেনা নয়, ড্রাগ চক্রে নতুনদের আনতে পারলে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয় ৷ যেকারণে অনেক কিশোর এই মারণ নেশার ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছে ৷ প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া ৷

দুর্গাপুর, 4 অগাস্ট : ড্রাগ কারবারিদের টাকা মেটাতে না পেরে আত্মঘাতী 17 বছরের কিশোর । তাকে দাহ করার সময় শ্মশানে তিন ড্রাগ কারবারি উপস্থিত হয় ৷ তাঁদের ধরে গণপিটুনি দেয় মৃতের পরিবারের লোকেরা ৷ পরে তাঁদের কোকওভেন থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ আগামীকাল তাদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে ৷

দুর্গাপুর থানার বেনাচিতি বিদ্যাসাগর পল্লির বাসিন্দা সুরেশ প্রসাদ সিংয়ের দুই ছেলে । ছোটো ছেলে রাহুল কুমার সিং দুর্গাপুরের পলাশডিহার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের ক্লাস টেনে পড়ত । গতরাতে রাহুল নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে ।

রাহুলের বাবা সুরেশ প্রসাদ সিং বলেন, "বেশ কিছুদিন ধরেই আমার ছোটো ছেলে মানসিক ভাবে চাপে ছিল । রাহুল ওর মায়ের কাছে বার বার সাড়ে তিন হাজার টাকা চাইছিল । কিন্তু কী কারণে এই টাকা দরকার তা বলেনি । আজ মৃত্যুর পরে তার মোবাইলে হোয়াটসআ্যপ এবং SMS দেখে জানলাম সোনু কানিয়া রাহুলকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল । রাহুলের মোবাইল কভারে ব্রাউন সুগার পাই ৷ তখনই সব পরিষ্কার হয়ে যায় ৷ "

Rahul
আত্মঘাতী কিশোর রাহুল সিং

তিনি অভিযোগ করেন, "এই সোনু , তারুল, বিশাল, অঙ্কিত এরা আমরাই, সেকেন্ডারি, রহিমপথ ও ঝান্ডাবাগ এলাকার ছেলে । এরা আর্থিক সংগতি আছে এমন পরিবারের ছোটো ছোটো ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব করে তাদের প্রথমে ড্রাগের নেশা ধরিয়ে দেয় ৷ ওরা জানে একবার নেশাগ্রস্ত করে দিতে পারলে এরা সব বিক্রি করেও ড্রাগ কিনবে । আমার ছেলের দুই বন্ধুও এভাবে ড্রাগের নেশা করে মারা গেছে। আজকে সোনু কানিয়া আর দু'জন বীরভানপুর শ্মশানে এসেছিল ৷ আমরা ওদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি । আমরা কোকওভেন থানায় লিখিত অভিযোগও জানাচ্ছি ।"

দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে দুর্গাপুরের রহিমপথের একটি ক্লাব এবং সেকেন্ডারি রোডে কিছু যুবক ড্রাগ চোরাচালান করছে ৷ প্রশাসনের কাছে সাধারণ মানুষ বারবার জানালেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ৷

রাহুলের দাদা অভিষেক কুমার সিং আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, "তিনজন ড্রাগ কারবারি ধরা পড়েছে, এবার ড্রাগ মাফিয়ারা আমাদের হুমকি দেবে ৷ কিন্তু আমরা সুবিচার চাই । রাহুলের মতো অনেক ছেলেরা এই ড্রাগ কারবারিদের সফট টার্গেট । একবার ড্রাগের নেশা ধরাতে পারলেই কেল্লাফতে । শুধু কেনা নয়, ড্রাগ চক্রে নতুনদের আনতে পারলে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয় ৷ যেকারণে অনেক কিশোর এই মারণ নেশার ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছে ৷ প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া ৷

Intro:ড্রাগ এর নেশা করতে গিয়ে ড্রাগ কারবারিদের টাকা মেটাতে না পেরে আত্মহত্যা ১৭ বছরের কিশোরের।তাকে শ্মশানে দাহ করার সময় তিনজন ড্রাগ কারবারি পরিস্থিতি দেখতে গেলে মৃতের পরিবার তাদের কে পিটুনি দিয়ে কোকওভেন থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।মৃতের মোবাইলের কভারের আড়ালে মিলল ব্রাউন সুগার।।
দুর্গাপুর থানার বেনাচিতি বিদ্যাসাগরপল্লীর বাসিন্দা সুরেশ প্রসাদ সিং এর দুই ছেলে।ছোট ছেলে রাহুল কুমার সিং (১৭ বছর) দুর্গাপুরের পলাশডিহার একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র।রবিবার রাত একটা নাগাদ রাহুল নিজের রুমে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।তার বাবা সুরেশ প্রসাদ সিং এর অভিযোগ "" বেশ কিছুদিন ধরেই আমার ছেলে মানসিক ভাবে চাপে ছিল।সে তার মায়ের কাছে সাড়ে তিনহাজার টাকা চাইছিল।কিন্তু কি কারনে এই টাকা চাওয়া তা বলেনি।আজ মৃত্যুর পরে তার মোবাইলে হোয়াটস আ্যপ এ এবং এস এম এসে দেখছি সোনু কানিয়া,যার বাড়ি আমরাই এ সে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল।এই সোনু,তারুল,বিশাল,অঙ্কিত এরা আমরাই,সেকেন্ডারি,রহিমপথ ও ঝান্ডাবাগ এলাকার ছেলে।এরা আর্থিক সংগতি আছে এমন পরিবারের ছোট ছোট ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব করে তাদের প্রথমে ড্রাগ সেবন করায়,তারা জানে একবার নেশাগ্রস্ত করে দিতে পারলে এরা সব বিক্রি করেও কিনবে।আমার ছেলের আগে এইভাবে তার দুই বন্ধুও মারা গেছে।আজ সোনু কানিয়া আর দুজন বীরভানপুর শ্মশানে আমরা যখন শোকার্ত তখন আসে পরিবেশ পরিস্থিতি দেখতে।তাই আমরা তাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।আমরা লিখিত অভিযোগ জানাচ্ছি।""উল্লেখ্য দুর্গাপুরের রহিমপথের একটি ক্লাব এবং সেকেন্ডারি রোডে রকে বসা কিছু যুবক দীর্ঘদিন ধরে এই ড্রাগ চোরাচালান করছে এমন অভিযোগ এর আগে উঠলেও এরা পুলিশের হাতে ধরা পড়েনি।মৃত রাহুলের পরিবারের আশঙ্কা এবার এই তিনজন ধরা পড়ল তাই পরিবারকে হুমকি দেবে ড্রাগের মাফিয়ারা।কিন্তু রাহুল এর পরিবার চাই সুবিচার।রাহুল এর মত বহু বাড়ির ভালো ভালো ছেলেরা এই ড্রাগ কারবারীদের সফট টার্গেট।একবার ড্রাগের নেশা ধরাতে পারলেই কেল্লাফতে।শুধু সে কিনবে তাই নয় তাকেও এই ড্রাগসেবন চক্রে নতুনদের আনতে পারলে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রাহুল এর দাদা অভিষেক কুমার সিং এর।এখন দেখার কোকওভেন থানার পুলিশ এই তিনজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই ড্রাগ পাচারকারী চক্রের চাঁই দের খোঁজ পেয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেন না।Body:HConclusion:H
Last Updated : Aug 4, 2019, 10:56 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.