আসানসোল, 1 জুন: দেশে বন্দে ভারত ও তেজসের মতো যাত্রী পরিবহণের ট্রেন নববিপ্লব এনেছে যেন রেল মানচিত্রে। এবার পণ্য পরিবহণেও অত্যাধুনিক 9 হাজার হর্স পাওয়ারের রেল ইঞ্জিন বানিয়ে চমক দিল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা বা সিএলডব্লুউ। অত্যাধুনিক এই রেল ইঞ্জিনের নাম দেওয়া হয়েছে 'নব উৎকর্ষ'। বেশি গতিতে এবং বেশি পরিমাণে পণ্যবাহী রেক টানতে সক্ষম এই নব উৎকর্ষ।
অত্যাধুনিক রেল ইঞ্জিন বানানোর ক্ষেত্রে একের পর এক নতুন পালক জুড়েছে চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস বা সিএলডব্লিউর মুকুটে। ইতিমধ্যেই দু'বার বিশ্ব রেকর্ড করেছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে নজির সৃষ্টি করেছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। মূলত বেশি হর্স পাওয়ারের রেল ইঞ্জিন যেগুলি পণ্য পরিবাহী রেক টানতে সক্ষম হয় তেমনি শক্তিশালী ইঞ্জিন বানায় চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা।
2000 সালের শুরু থেকেই 6 হাজার হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন বানাতে শুরু করে চিত্তরঞ্জন ইঞ্জিন কারখানা।
বিদেশি সংস্থার প্রযুক্তিতে তৈরি এই রেল ইঞ্জিন পুরো দেশেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু যতদিন যায় ততই রেল ইঞ্জিনের ক্ষমতা বৃদ্ধির চাহিদা আসতে থাকে। একদিকে দেশে যখন বন্দে ভারত কিংবা তেজসের মতো ইঞ্জিন যাত্রী পরিবহণে বিপ্লব এনেছে, তখন পণ্য পরিবহণেও আরও বেশি করে রেক যাতে টানতে পারে তেমনি চাহিদা উঠছিল। আর সেই চাহিদা মেনেই 9 হাজার হর্স পাওয়ারের রেল ইঞ্জিন তৈরি করল চিত্তরঞ্জন কারখানা। 9 হাজার এইচপি, ডব্লুএজি 9 এইচ এইচ (লোকো নম্বর 9 হাজার 9) নব উৎকর্ষ ইঞ্জিনটি বুধবারই জাতির উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জন সংযোগ বিভাগ।
আরও পড়ুন: রাজ্যের তৃতীয় বন্দে ভারতের সূচনা আগামী 29 মে, শিলিগুড়িতে জানালেন যাত্রী সুবিধা কমিটির চেয়ারম্যান
যদিও শ্রমিক মহলে আক্ষেপ এই 9 হাজার হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন রেল মন্ত্রক ইতিমধ্যেই গুজরাতের একটি সংস্থাকে বরাত দিয়েছে। 2024 সাল থেকে সেই সংস্থা এই রেল ইঞ্জিন নির্মাণ করবে। কিন্তু তার আগেই পরীক্ষা লব্ধভাবে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা তা তৈরি করে দিয়েছিল। এবার তা সামনে এল। চিত্তরঞ্জন কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার তাদের লক্ষ্য 12 হাজার হর্স পাওয়ারের আরও শক্তিশালী রেল ইঞ্জিন।