ETV Bharat / state

Fatherhood Deal: পিতৃত্বের পরিচয় স্বীকার করতে 2 লাখ টাকা দাবি, 8 মাসের কন্যাকে নিয়ে থানায় দিশেহারা মা - পিতৃত্বের পরিচয়

আট মাসের শিশুকন্যার পিতৃত্বের পরিচয় স্বীকার করার জন্য 2 লক্ষ টাকা দাবি করেছেন এক ব্যক্তি ৷ তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন শান্তিপুরের এক গৃহবধূ ৷

Fatherhood Deal
8 মাসের কন্যাকে নিয়ে থানায় দিশেহারা মা
author img

By

Published : May 19, 2023, 3:48 PM IST

Updated : May 19, 2023, 4:15 PM IST

8 মাসের কন্যাকে নিয়ে থানায় দিশেহারা মা

শান্তিপুর, 19 মে: তিনি তাঁর আট মাসের সন্তানকে পিতৃত্বের পরিচয় দিতে পারেন, তবে সে জন্য তাঁকে দিতে হবে দুই লক্ষ টাকা । বাবার এমনই অদ্ভুত দাবির কারণে জন্মের শংসাপত্র করতে গিয়ে শিশুকন্যাকে নিয়ে দিশেহারা গৃহবধূ । এই অভিযোগে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি ৷ ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে ।

নদিয়ার শান্তিপুর থানার মালঞ্চ সিংহ পাড়ার বাসিন্দা তাজমিরা বিবি । প্রায় আড়াই বছর আগে দেখাশোনা করে রাণাঘাট থানার গাজীপুরের বাসিন্দা ফারুক মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় । অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার চালান তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন । কখনও টাকা আনার জন্য অত্যাচার করা হত, আবার কখনও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ । এক বছর আগে ফারুক কর্মসূত্রে দিল্লি চলে যান । তারপর থেকেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অবশেষে ওই গৃহবধূ বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন বলে জানিয়েছেন ।

এরপর একাধিকবার জন প্রতিনিধিদের নিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়েছে । কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি । বর্তমানে ওই গৃহবধূর একটি 8 মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে । কন্যা সন্তানের বয়স 8 মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পাওয়া যায়নি তার জন্ম শংসাপত্র । জন্ম শংসাপত্র করতে গেলে বাবা-মায়ের পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হয় । অভিযোগ, বাবার সেই পরিচয়পত্র চাইতে গেলে গৃহবধূকে জানানো হয় যে ওই বাচ্চাটি তাদের নয় । দু লক্ষ টাকা দিলে তবেই দেওয়া হবে পিতৃত্বের পরিচয় । এবং টাকা পেলে তলেই জন্ম শংসাপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেওয়া হবে ।

গৃহবধূর পরিবার নিম্নবিত্ত হওয়ার কারণে টাকা জোগাড় করতে না পেরে দিশেহারা ৷ এ বিষয়ে তাজমিরা বিবির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অত্যাচার করত স্বামীর পরিবার । এর আগেও একাধিকবার টাকা-সহ অন্যান্য আসবাবপত্র নিয়ে আসার জন্য অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ করেন তিনি । তাঁর কথায়, "যখন মেয়ের পরিচয় শংসাপত্র করতে যাব, তখন বাবার পরিচয় পত্র চাইতে গেলে আমাকে বলা হয় দু লক্ষ টাকা দিতে হবে ৷ তবেই ও কন্যা সন্তানের বাবা হিসেবে স্বীকৃতি দেবে । অবশেষে কোনও উপায় না পেয়ে আমি থানার দ্বারস্থ হই এবং একটি অভিযোগ দায়ের করি ।"

গৃহবধুর মা আবেদা বিবি বলেন, "আমার জামাই কর্মসূত্রে বাইরে যাওয়ার পর থেকেই জামাইয়ের পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন । এবং বলে এখানে থেকে কী খাবি । আমার মেয়ে একাধিকবার স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু তাঁরা নিতে অস্বীকার করেন ।" একাধিকবার কাউন্সিলরকে বিষয়টা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি । তাঁর জামাই 2 লক্ষ টাকা দাবি করেছে বলেও অভিযোগ তাঁর ৷

তবে গৃহবধূ ও তাঁর পরিবারের তোলা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন জামাই ফারুক মণ্ডল । তিনি বলেন, "আমি বাইরে কাজে যাওয়ার আগেও তাজমিরার হাতে টাকা দিয়ে গিয়েছিলাম । ও আমার কাছে থাকতে চায় না । দিন কয়েক আগে আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে ওরা । আমি কোনও টাকা চাইনি তাঁদের কাছে ৷ টাকা চাওয়ার বিষয়টি পুরোটাই ভিত্তিহীন ।"

তাজমিরা বিবির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ ।

আরও পড়ুন: টোটো চালকের তৎপরতায় বানচাল নাবালিকা পাচার!

8 মাসের কন্যাকে নিয়ে থানায় দিশেহারা মা

শান্তিপুর, 19 মে: তিনি তাঁর আট মাসের সন্তানকে পিতৃত্বের পরিচয় দিতে পারেন, তবে সে জন্য তাঁকে দিতে হবে দুই লক্ষ টাকা । বাবার এমনই অদ্ভুত দাবির কারণে জন্মের শংসাপত্র করতে গিয়ে শিশুকন্যাকে নিয়ে দিশেহারা গৃহবধূ । এই অভিযোগে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি ৷ ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে ।

নদিয়ার শান্তিপুর থানার মালঞ্চ সিংহ পাড়ার বাসিন্দা তাজমিরা বিবি । প্রায় আড়াই বছর আগে দেখাশোনা করে রাণাঘাট থানার গাজীপুরের বাসিন্দা ফারুক মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় । অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার চালান তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন । কখনও টাকা আনার জন্য অত্যাচার করা হত, আবার কখনও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ । এক বছর আগে ফারুক কর্মসূত্রে দিল্লি চলে যান । তারপর থেকেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অবশেষে ওই গৃহবধূ বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন বলে জানিয়েছেন ।

এরপর একাধিকবার জন প্রতিনিধিদের নিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়েছে । কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি । বর্তমানে ওই গৃহবধূর একটি 8 মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে । কন্যা সন্তানের বয়স 8 মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পাওয়া যায়নি তার জন্ম শংসাপত্র । জন্ম শংসাপত্র করতে গেলে বাবা-মায়ের পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হয় । অভিযোগ, বাবার সেই পরিচয়পত্র চাইতে গেলে গৃহবধূকে জানানো হয় যে ওই বাচ্চাটি তাদের নয় । দু লক্ষ টাকা দিলে তবেই দেওয়া হবে পিতৃত্বের পরিচয় । এবং টাকা পেলে তলেই জন্ম শংসাপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেওয়া হবে ।

গৃহবধূর পরিবার নিম্নবিত্ত হওয়ার কারণে টাকা জোগাড় করতে না পেরে দিশেহারা ৷ এ বিষয়ে তাজমিরা বিবির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অত্যাচার করত স্বামীর পরিবার । এর আগেও একাধিকবার টাকা-সহ অন্যান্য আসবাবপত্র নিয়ে আসার জন্য অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ করেন তিনি । তাঁর কথায়, "যখন মেয়ের পরিচয় শংসাপত্র করতে যাব, তখন বাবার পরিচয় পত্র চাইতে গেলে আমাকে বলা হয় দু লক্ষ টাকা দিতে হবে ৷ তবেই ও কন্যা সন্তানের বাবা হিসেবে স্বীকৃতি দেবে । অবশেষে কোনও উপায় না পেয়ে আমি থানার দ্বারস্থ হই এবং একটি অভিযোগ দায়ের করি ।"

গৃহবধুর মা আবেদা বিবি বলেন, "আমার জামাই কর্মসূত্রে বাইরে যাওয়ার পর থেকেই জামাইয়ের পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন । এবং বলে এখানে থেকে কী খাবি । আমার মেয়ে একাধিকবার স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু তাঁরা নিতে অস্বীকার করেন ।" একাধিকবার কাউন্সিলরকে বিষয়টা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি । তাঁর জামাই 2 লক্ষ টাকা দাবি করেছে বলেও অভিযোগ তাঁর ৷

তবে গৃহবধূ ও তাঁর পরিবারের তোলা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন জামাই ফারুক মণ্ডল । তিনি বলেন, "আমি বাইরে কাজে যাওয়ার আগেও তাজমিরার হাতে টাকা দিয়ে গিয়েছিলাম । ও আমার কাছে থাকতে চায় না । দিন কয়েক আগে আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে ওরা । আমি কোনও টাকা চাইনি তাঁদের কাছে ৷ টাকা চাওয়ার বিষয়টি পুরোটাই ভিত্তিহীন ।"

তাজমিরা বিবির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ ।

আরও পড়ুন: টোটো চালকের তৎপরতায় বানচাল নাবালিকা পাচার!

Last Updated : May 19, 2023, 4:15 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.