নদিয়া, 27 অগস্ট: নদিয়ার ধুবুলিয়ার প্রহ্লাদ ঘোষ স্ত্রী নমিতা ঘোষকে নিয়ে বেশ সুখেই জীবন যাপন করছিলেন। হঠাৎই ওই গ্রামের বাবুসোনা ঘোষের সঙ্গে নমিতার সম্পর্ক তৈরি হয়। এটা প্রহ্লাদ ঘোষ জানতে পারেন। জানার পর বারবার বারণ করা সত্ত্বেও বাবুসোনা ঘোষ রাজি হননি সেই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে (Love Triangle)। এর পরিণাম হল মৃত্যু ৷ খুন করল 'প্রেমিকা' অর্থাৎ প্রহ্লাদের স্ত্রী এবং তার স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে (Love Triangle Murder in Nadia) ৷
শুক্রবার স্ত্রী নমিতা ঘোষকে দিয়ে তার প্রেমিককে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পীরপুরে নিজের বাড়িতে ডেকে আনে তার স্বামী। প্রেমের টানে নমিতার কথায় চলে আসে বাবুসোনা। এরপর বাড়ির কাছে কলাবাগানে প্রহ্লাদ ঘোষ ও তার বন্ধু প্রসেনজিৎ ঘোষ, শঙ্কর ঘোষ এবং নমিতা মিলে বাবুসোনাকে প্রথমে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে (Wife Killed Her Boyfriend With Husband)।
আরও পড়ুন: অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে প্রেমিকাকে খুন ! অকপট প্রেমিক
এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে দেহ থেকে মাথা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে আলাদা করে দেয় ৷ দেহটাকে মাথাভাঙা নদীতে ভাসিয়ে দেয় ও মুন্ডুটাকে বাড়ি থেকে 500 মিটার দূরে একটি আমবাগানের গর্তে পুঁতে রাখে। প্রমাণ লোপাট করতে দেহ থেকে জামা কাপড় খুলে আরও 200 মিটার দূরে মাটির নীচে পুঁতে দেয়। কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে প্রহ্লাদ ঘোষকে ধুবুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে এবং তার স্ত্রী ও বাবুসোনার প্রেমিকা নমিতা ঘোষকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আসে এবং পুলিশের জেরায় অপরাধ স্বীকার করে।
পুলিশ বাবুসোনার কাটা মাথাটাকে উদ্ধার করে ৷ এরপর ধৃত প্রহ্লাদকে নিয়ে মাথাভাঙা নদীতে যায় দেহ উদ্ধারের জন্য। এখনও পর্যন্ত তল্লাশি শুরু করলেও পুলিশ বাবুসোনার দেহ উদ্ধার করতে পারেনি।