ETV Bharat / state

BJP জাল নিয়ে প্রার্থী খুঁজছে : পার্থ

গতকাল নদীয়ার রানাঘাটে দলীয় বৈঠকে গিয়ে BJP-কে একহাত নিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কটাক্ষ করে বলেন, "আগে প্রার্থী তালিকা করুক। প্রথম দফার ভোটের আর কয়েকদিন বাকি। তাতে প্রার্থী তালিকাই দিতে পারছে না।"

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়
author img

By

Published : Mar 21, 2019, 12:38 PM IST

রানাঘাট, 21 মার্চ : "আগে প্রার্থী তালিকা করুক। প্রথম দফার ভোটের আর কয়েকদিন বাকি। তাতে প্রার্থী তালিকাই দিতে পারছে না।" BJP-কে এভাবে আক্রমণ করলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গতকাল নদিয়ার রানাঘাটে দলীয় বৈঠকে আসেন তিনি।

পার্থ বলেন, "আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী দেখি না। আমাদের সবসময়ের কাজ, মানুষের পাশে থাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের শিখিয়েছেন, মানুষের সঙ্গে থাক। সুতরাং পরীক্ষা এল বলেই আমরা পড়াশোনা করি না। সারা বছর ধরেই পড়াশোনা করি।" ভোটের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি BJP-কে কটাক্ষ করে বলেন, "আগে প্রার্থী তালিকা করুক। প্রথম দফার ভোটের আর কয়েকদিন বাকি। তাতে প্রার্থী তালিকাই দিতে পারছে না। ওরা এখন জাল নিয়ে প্রার্থী খুঁজছে। ওদের জাল নিয়ে খোঁজা যেদিন বন্ধ হবে সেদিন বলতে পারব।"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য়

বর্তমানে অনেকেই দলত্যাগ করে চলে যাচ্ছেন। সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে দল করে, সেই কর্মী থেকে নেতা পর্যন্ত কেউ দল ছেড়ে যাবে না।" দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, "ওস্তাদের মার শেষ রাতে।" পালটা যুক্তি দিয়ে পার্থ বলেন, "ওর রাতটা কবে শুনতে চাই। ওর রাতটা আসুক। এখন তো চারিদিক আলোকিত। রাত আসবে কী করে।"

রানাঘাট, 21 মার্চ : "আগে প্রার্থী তালিকা করুক। প্রথম দফার ভোটের আর কয়েকদিন বাকি। তাতে প্রার্থী তালিকাই দিতে পারছে না।" BJP-কে এভাবে আক্রমণ করলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গতকাল নদিয়ার রানাঘাটে দলীয় বৈঠকে আসেন তিনি।

পার্থ বলেন, "আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী দেখি না। আমাদের সবসময়ের কাজ, মানুষের পাশে থাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের শিখিয়েছেন, মানুষের সঙ্গে থাক। সুতরাং পরীক্ষা এল বলেই আমরা পড়াশোনা করি না। সারা বছর ধরেই পড়াশোনা করি।" ভোটের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি BJP-কে কটাক্ষ করে বলেন, "আগে প্রার্থী তালিকা করুক। প্রথম দফার ভোটের আর কয়েকদিন বাকি। তাতে প্রার্থী তালিকাই দিতে পারছে না। ওরা এখন জাল নিয়ে প্রার্থী খুঁজছে। ওদের জাল নিয়ে খোঁজা যেদিন বন্ধ হবে সেদিন বলতে পারব।"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য়

বর্তমানে অনেকেই দলত্যাগ করে চলে যাচ্ছেন। সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে দল করে, সেই কর্মী থেকে নেতা পর্যন্ত কেউ দল ছেড়ে যাবে না।" দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, "ওস্তাদের মার শেষ রাতে।" পালটা যুক্তি দিয়ে পার্থ বলেন, "ওর রাতটা কবে শুনতে চাই। ওর রাতটা আসুক। এখন তো চারিদিক আলোকিত। রাত আসবে কী করে।"

Intro:ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই, রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল কোমর বেঁধে ভোট ময়দানে নেমে পড়েছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই তাদের 42 টি কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। বিজেপি তাদের এখনো প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের জন্য। এর পাশাপাশি বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের সমঝোতার মাঝে মাঝে তাদের একটি 25 টি কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন। নদীয়ার দুটি আসনের মধ্যে কৃষ্ণনগরের সিপিআইএম কোন প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করলেও রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তাদের প্রার্থী তালিকায় রেখেছেন।
রমা বিশ্বাস। নদীয়া জেলায় সিপিআইএম তথা বামফ্রন্টের সবথেকে হেভিওয়েট মুখ। নদীয়া জেলার 17 টি বিধানসভার মধ্যে সিপিআইএমের একমাত্র তিনিই রানাঘাট দক্ষিণের বিধানসভার বিধায়ক। প্রার্থী ঘোষণার পরেই তিনিও ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমেছেন। আর প্রচারে নামার পর এই একাকী ইটিভি ভারতের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী রমা বিশ্বাস।
প্রথম প্রশ্ন ছিল বিধানসভা থেকে সরাসরি লোকসভা, কিভাবে মানুষের কাছে প্রচার করবেন। রমা বিশ্বাস বলেন, আমিতো পঞ্চায়েতের লোক, 78 সাল থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সহ জেলা পরিষদ করে একটা বড় সময় পার হয়েছে। আমাদের মূল যে স্লোগান, 'বিজেপি হাটাও দেশ বাঁচাও', 'তৃণমূল হটাও রাজ্য বাচাও'। মূল স্লোগান এর ভিত্তিতেই আমরা এবার লড়বো।
দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিলো রাজ্যে বিজেপি উত্থানে বামফ্রন্ট এখন অনেকটাই ব্যাকফুটে, নির্বাচনে লড়াই করা কতটা শক্ত। অনেকটা রাজনৈতিক কৌশল এই উত্তর দিলেন এই পোড় খাওয়া নেত্রী রমা বিশ্বাস। তিনি বলেন, বামফ্রন্ট ব্যাকফুটে সেটা তো গণমাধ্যমের চোখে। আমাদের কাছে এটা বিচার বিশ্লেষণ হওয়া উচিত বলে মনে হয়। আসলে সংবাদ মাধ্যম গুলোর বেশির ভাগ মালিকানা তো বৃহৎ পুঁজির কাছে, সেই জন্য ওরা দেখাতে চাই যে বামফ্রন্ট নেই। যেমন আমাদের রাজ্যে প্রথম চেষ্টা করা হয়েছে যে, তৃণমূলের বিকল্প হচ্ছে বিজেপি। কিন্তু এখন তো প্রমাণিত বিজেপি তৃণমূল আলাদা কিছু নয়। সারা ভারতবর্ষে যখন কংগ্রেস থেকে একটা বড় অংশ বিজেপিতে গেছে, আর আমাদের রাজ্যে কিন্তু শুধু বামপন্থী ছিল বলেই নয়, আমাদের রাজ্যের মানুষের অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা। সেই মানসিকতার জন্যই আমাদের রাজ্যে বিজেপি কিন্তু ব্যাপক প্রসার লাভ করতে পারেনি। এখন আবার তৃণমূলের মুখোশটা যেহেতু খুলে গেছে মানুষের সামনে। আর ভুলানো যাচ্ছে না বলে বিজেপি সরাসরি চলে এসেছে। এখন মিলে মিশে যাবে। তৃণমূলের দ্বিতীয় সুপ্রিমো বলা হতো মুকুল রায় কে। সে আবার বিজেপিতে গেছে। আবার যেদিন গেছে তার আগেরদিন মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করে গেছে। ফলে এগুলো এদের নিজের গটাপ কেস।
তৃতীয় প্রশ্ন, 2014 লোকসভা ভোটে রানাঘাট কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক করে বেশি ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। লড়াইটা কি তাহলে আরো শক্ত নয় ? রমা বিশ্বাস বলেন, 2 লক্ষ ভোট কোন ব্যাপার নয়। মানুষের যখন অভিজ্ঞতা হয়, তখন কোথায় যায়। আর মানুষের স্রোত কিভাবে anti-establishment হয়ে যায় বলা মুশকিল। সারোদা এবং রাফায়েল একে অপরের সমর্থক। সত্যি সত্যি বিজেপি যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে, তাহলে যারা আজ তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই জেলে থাকতো। ফলে এটা কোন বড় টার্গেট নয়।
চতুর্থ প্রশ্ন, অপ্রত্যাশিতভাবে গত লোকসভায় বিপুল ভোটে জয়ী তাপস মণ্ডল কে সরিয়ে রুপালি বিশ্বাসকে প্রার্থী করা কিভাবে দেখছেন ? রমা বিশ্বাসের খোলামেলা জবাব, ওর সুখটাকে ব্যবহার করার জন্য যে কাজ করল তৃণমূল, এটা ঠিক নয়। মানুষ এটাকে ভালো চোখে নিচ্ছে না। মানুষ অনেক কথা বলছে। তবে লোকসভা এটা। রাষ্ট্রের নীতির পক্ষে বিরুদ্ধে বলার মত জায়গা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রুপালি বিশ্বাস ভূমিকা নিতে পারার মত যোগ্য নয়।
পঞ্চম প্রশ্ন, প্রথম প্রচারে বের হচ্ছেন মানুষের উৎসাহ কতটা দেখতে পারছেন ? এটা তো আমার থেকে বাইরের মানুষ ভালো বুঝতে পারবে। তবে আমার সঙ্গে সারা জীবন ধরেই এটা তো শুধু লোকসভা নির্বাচন ঐ নয়, আমি সব সময় যখন ট্রেনে বাসে রাস্তায় চলি, সব মানুষই আমার সঙ্গে কথা বলে ভালো ব্যবহার করে। আমি কখনো কাউকে দেখিনি আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। আর নীতিগতভাবে ও মানুষ দেখে আমি নীতির পক্ষে আছি।


Body:লোকসভার প্রার্থী


Conclusion:

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.