কৃষ্ণনগর, 30 জানুয়ারি: কৃষ্ণনগরে সরস্বতী প্রতিমা নিরঞ্জনে দুই ক্লাবের মধ্যে গণ্ডগোলের বলি এক ভ্যানচালক (Van Driver Died in Clash Between Two Clubs) ৷ মৃত ভ্যান চালকের নাম ভরত মণ্ডল ৷ তাঁর বাড়ি কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণিতে ৷ ঘটনায় 5 নং ওয়ার্ডে কাঁঠালপোতার এক ক্লাব সদস্য়দের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার ৷
গত শনিবার রাতে অন্যান্য ক্লাব-বারোয়ারির মতোই সরস্বতী প্রতিমা বিসর্জন দিতে যায় ঘূর্ণির শ্রেষ্ঠ বাংলা ক্লাবের সদস্য়রা ৷ ওই ক্লাবের প্রতিমা নিরঞ্জনে লাইট ভ্যানের চালক ছিলেন ভরত মণ্ডল ৷ এদিকে বিসর্জন ঘাটে পৌঁছনোর পর ঘূর্ণির ক্লাবের সদস্যরা দেখেন, সেখানে কাঁঠালপোতার ক্লাব এবং চৈতালী ক্লাবের মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল হচ্ছে (Clash Between Two Clubs During Saraswati Idol Immersion in Nadia) ৷ একে অপরের প্রতিমা ও বিসর্জনের আলো ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ ৷ এই পরিস্থিতিতে পুলিশ শ্রেষ্ঠ বাংলা ক্লাবকে সেখান থেকে অন্যত্র চলে যেতে বলে ৷ সংশ্লিষ্ট ক্লাবের সদস্যরা সেখান থেকে ফিরেও যান ৷ কিন্তু মাঝরাস্তায় কাঁঠালপোতার ক্লাবের এক সদস্য় ভ্যানচালক ভরত মণ্ডলের উপর বিনা কারণে অতর্কিতে হামলা করে বলে অভিযোগ ৷
শ্রেষ্ঠ বাংলা ক্লাবের সদস্য তাপস চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, পিছন থেকে বাঁশ দিয়ে ভরত মণ্ডলের মাথায় মারা হয়েছে ৷ তৎক্ষণাত মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি ৷ মাথা দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে ৷ সেই সময় স্থানীয় এক চায়ের দোকান থেকে ভ্যান নিয়ে ভরত মণ্ডলকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁরা ৷ সেখানে ভরত মণ্ডলের মাথায় সেলাই করেন চিকিৎসকরা ৷ কিন্তু মস্তিষ্কের ভিতর ক্রমশ রক্তক্ষরণ হতে থাকে ৷ ভরত মণ্ডলের মাথার স্ক্যান করা হয় ৷
আরও পড়ুন: নেশামুক্তি ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু, চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে
রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা না-করে ভরত মণ্ডলকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে রেফার করা হয় ৷ কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে রবিবার রাতে সেখানে ভরত মণ্ডলের মৃত্যু হয় ৷ এই ঘটনায় কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, ভরত মণ্ডলের পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন তিনিই ৷ মৃত ভরতের একটি ছেলে রয়েছে, যে বিশেষভাবে সক্ষম ৷ স্বভাবতই ভরতের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া ৷