হাঁসখালী, (নদিয়া) 29 জুলাই : প্রথমে এক পাড়ায় একটি নাবালিকা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ৷ তার কিছুক্ষণ পরেই পাশের পাড়ার আরেক যুবক একই ভাবে আত্মঘাতী হলেন ৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালির ছোট ব্রিজের কাছে হাসপাতাল পাড়া এলাকায় । প্রতিবেশীদের অনুমান, দু‘জনের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল ৷ আর সেই কারণে প্রেমিকার আত্মহত্যার খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন প্রেমিক ।
মৃত দু'জন মুন্নি দাস, বয়স 16 আর কার্তিক বিশ্বাস, বয়স 27 । দুইই পাড়াতে প্রায় কাছাকাছি বাড়ি দু'জনের । মুন্নি হাঁসখালি সমবায় হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল । আর কার্তিক পড়াশোনা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়ে ইদানীং রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতেন । মঙ্গলবার রাত পৌনে ন'টা নাগাদ মুন্নি হঠাৎ বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে । বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা তাকে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । অন্যদিকে মুন্নির আত্মহত্যার খবর পাওয়ার মাত্র 10 মিনিটের মাথায় কার্তিক নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন । তাঁকেও নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে । সেখানে কার্তিককে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । বুধবার দু'জনের মৃতদেহ কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন : উচ্চ মাধ্যমিকের ফল পায়নি, আত্মহত্যার হুমকি 5 ছাত্রের
প্রতিবেশীদের বক্তব্য, মুন্নি ও কার্তিকের মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল । এক সময় কার্তিক মদের নেশা করলেও ইদানীং সে নেশা ছেড়ে দিয়েছিলেন । নিজের ভাইয়ের বিয়ে হলেও কার্তিক সম্ভবত এই প্রেমের কারণে বিয়ে করছিলেন না । মনে করা হচ্ছে, দু'জনের কারও বাড়ির লোকজন সেই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি । আর সেই কারণে মুন্নি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় । যদিও মুন্নির দাদু রবিন দাস ও কার্তিকের বাবা উজ্জ্বল বিশ্বাস কেউই দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক বিষয়ে কিছু জানতেন না বলে দাবি করেছেন ।