শান্তিপুর(নদিয়া), 22 ডিসেম্বর: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ সেই মতো তাঁতিদের মহাজন মুক্ত করার লক্ষ্যে তাঁদের বাড়ি বাড়ি গেলেন শাসকদলের নেতারা ৷ বিশেষ অভিযানে ছিলেন রাজ্য তাঁত ইউনিয়নের সভাপতি (Special Campaign for Weavers)।
কয়েকদিন আগে শান্তিপুর পৌরসভার পৌর স্টেডিয়ামে রাজ্যের ছয়টি জেলার তাঁত শিল্পর সঙ্গে যুক্ত তাঁতিদের নিয়ে এক রাজ্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই তাঁতিদের অভাব অভিযোগ এবং দুরবস্থার কথা লিখিত আকারে জানানো হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে। তারপরেই নদিয়ার রানাঘাটের বাণী সংঘের মাঠে এক জনসভায় আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জনসভার মঞ্চ থেকে তাঁতিদের মহাজন মুক্ত করতে হবে এই ডাক দেন তিনি । এছাড়াও এই লক্ষ্যে তাঁত ইউনিয়নের সদস্যদের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার নির্দেশও দেন অভিষেক । এদিন তাঁর নির্দেশ মতোই শান্তিপুরের বিভিন্ন এলাকার তাঁতিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেন শাসকদলের সদস্যরা ৷ রাজ্য তাঁত ইউনিয়ন সভাপতি সনৎ চক্রবর্তী শোনেন তাঁতিদের অভাব-অভিযোগ । ইউনিয়ন সভাপতিকে কাছে পেয়ে তাঁতিরাও তুলে ধরেন তাঁদের দুরবস্থার কথা ।
আরও পড়ুন: 17 ডিসেম্বর মতুয়া-গড় রানাঘাটে সভা অভিষেকের, সাংসদের বার্তার অপেক্ষায় তাঁতশিল্পীরা
সনৎ চক্রবর্তী বলেন, "অভিষেক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা এই কর্মসূচি পালন করছি । আমরা ঘুরে দেখলাম বেশিরভাগ তাঁতিরা মহাজনের অধীনস্থ ৷ আর যার কারণে প্রত্যেক মাসে এখন তাঁতিদের আয় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা । আগামিদিনে তাঁতিরা যদি মহাজন মুক্ত হতে পারে তাহলে অনেকটাই লাভের মুখ দেখতে পারবে ৷ আর আগের মতোই তাঁত শিল্প পুনর্জীবিত হবে । আমরা তাঁতিদের মহাজন মুক্ত করার লক্ষ্যেই এই সমীক্ষা করছি ।"
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি ব্যাংক থেকে সুতো কিনলে তবেই হবে তাঁত শিল্পের উন্নয়ন, জানালেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ