তাহেরপুর (নদিয়া), 27 মে: টিউশনি পড়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে নিখোঁজ তিন স্কুল পড়ুয়া। নিখোঁজ হওয়া তিন স্কুল পড়ুয়ার মধ্যে দু'জনের বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুর থানার অন্তর্গত বাদকুল্লায় । তাদের নাম অপূর্ব দাস এবং দেব বিশ্বাস ৷ অপর একজনের বাড়ি, শান্তিপুর থানা এলাকায়। তাঁর নাম সায়ন সরকার। পরিবারের দাবি, গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় তারা। বাডি় থেকে যাওয়ার সময় নিজের মা-কে লেখা চিরকুটে দেব জানায়, যোগ্য হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বাড়ি ফিরবে।
পরিবারের অনুমান, প্রলোভন দেখিয়ে কোনও দুষ্টচক্র অপহরণ করেছে তাদের। আর এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চারদিকে। জানা যায়, দেব বিশ্বাসের বাবা অনল বিশ্বাস হোটেল ব্যবসায়ী। অপূর্ব দাস বাবা অসীম দাস সবজি ব্যবসায়ী। দু'জনেরই বয়স প্রায় 14 বছর ৷ তারা বাদকুল্লা ইউনাইটেড অ্যাকাডেমিতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। সায়ন সরকার আরবান্দি নেতাজি বিদ্যাপীঠের ছাত্র। ওই দুই ছাত্রের সঙ্গে সায়ন গতকাল শুক্রবার সকাল 8টায় বাদকুল্লা সুরভী স্থানে এক গৃহ শিক্ষকের বাড়ি পড়তে যাওয়ার নাম করে বের হয়। প্রত্যেকেই একটি করে অতিরিক্ত জামা এবং প্যান্ট নিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে পরিবার সূত্রে।
তবে দেব বিশ্বাস একটি চিরকুটে মাকে লিখে গিয়েছে, দশ বছর বাদে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তবে ফিরবে । না-বলে চলে যাওয়ার জন্য সে দুঃখিত। তার বাবার এটিএম কার্ড থেকে 2 হাজার টাকা তোলা হয়েছে সকাল আটটা নাগাদ । এই ঘটনাটি পরবর্তী সময়ে প্রকাশ্যে আসে। তবে বাকি দুই ছাত্র কোনও অর্থ বা কিছুই বাড়ি থেকে নিয়ে যায়নি বলেই জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পুরো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিন পরিবার থেকেই আন্দাজ করছেন এর পিছনে রয়েছে কোনও দুষ্টচক্র। তাদেরকে প্রলোভন দেখিয়েই অপহরণ করা হতে পারে বলে তাঁদের অনুমান।
আরও পড়ুন: ভেস্তে গেল বন্ধুকে অপহরণের ছক, পুলিশের তৎপরতায় গ্রেফতার 5
যদিও গতকাল থেকে বিভিন্ন, গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন, ব্যস্ততম শহর এবং তাঁদের আত্মীয় স্বজন পরিবারবর্গের কাছে খোঁজ নিয়েও মেলেনি তাদের হদিশ। শনিবার দেবু এবং অপূর্বর পরিবার তাহেরপুর থানায় এবং সায়নের পরিবার শান্তিপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তবে বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বলে জানা গিয়েছে ৷ এবিষয়ে অপূর্ব দাসের বাবা অসীম দাস বলেন, "ওরা প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার নাম করে সকাল আটটায় বেরিয়েছিল। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেনি। এরপর নানা জায়গায় খোঁজ করেছি। তাতেও না-পাওয়াতে অবশেষে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।"