শান্তিপুর, 12 জানুয়ারি: গঙ্গা থেকে বেআইনিভাবে মাটি কাটার অভিযোগ । অভিযুক্ত খোদ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও তার পরিবার ৷ প্রতিবাদ করলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের মেরে ফেলার হুমকি গ্রামবাসীদের। নদিয়ার শান্তিপুর থানার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌধুরীপাড়া এলাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য। গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান বীরেন মাহাতোর বিরুদ্ধে গুরুতর এই অভিযোগ ৷
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধানের ইন্ধনেই কিছু দুষ্কৃতী এই মাটি কাটার কাজ করছে। এলাকাবাসীর দাবি, বেআইনিভাবে মাটি কাটার অভিযোগে বর্ষায় একাধিক চাষের জমি নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে । পরবর্তীকালে জল কমলেও, নদীর পলি জমে যাওয়ায় তা চাষের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। আবার কখনও কখনও গ্রামবাসীদের চাষের জমি থেকেও বেআইনিভাবে মাটি কাটাছেন এলাকার দুষ্কৃতীরা। প্রতিদিন 8-10টি ট্রলার মাটি ভরতি করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কতীরা । গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা । ইতিমধ্যেই সমস্ত বিষয়টি প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে জানালেও কোনও সুরাহা মেলেনি । এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের ৷
স্থানীয় বাসিন্দা সাহেব চৌধুরী বলেন, "ওই এলাকার তৃণমূলের লোকজন মাটি কাটার কাজ চালাচ্ছে । আমরা একাধিকবার প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি ৷ কিন্তু কোনও কাজ করছে না । গ্রামবাসীরা বাধা দিতে গেলে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখাচ্ছে । এমনকী তৃণমূল প্রধানের বাবাও উপস্থিতিতে মাটি কাটার কাজ করছে ।"সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল প্রধান বীরেন মাহাতোর বাবা বিজয় প্রসাদ মাহাতো ৷ তিনি বলেন, "আমরা কোনও কিছুতেই যুক্ত নেই । গ্রামবাসীরা কেন আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন তা আমার জানা নেই । তবে কারা মাটি কাটছে সে বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না ।"
পাশাপাশি হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বীরেন মাহাতো সমস্ত ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন ৷ সেইসঙ্গে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেন আমাদের পরিবার কোনদিনই মাটি কাটার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। যারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে তুলছেন। তবে কারা মাটি কাটছে আমাদের জানা নেই।
আরও পড়ুন: