হাঁসখালি, 5 মার্চ : স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে ৷ তবে মেলে না উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা । রাত বাড়লেই সেখানে বাড়তে থাকে অসামাজিক কাজ ৷ আর ঠিকমতো স্বাস্থ্য পরিষেবা না পাওয়ায় ভোগান্তিও বাড়ছে দিন দিন ৷ এমনটাই অভিযোগ নদীয়ার হাঁসখালি ব্লকের গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের ৷
গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় 50 হাজার মানুষের বাস । সাধারন মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র । তবে স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে নামেই ৷ পরিষেবা শুধুমাত্র অনিয়মিতই নয়, একেবারেই বেহাল ৷ সপ্তাহের একদিনও ডাক্তারের দেখা মেলে না ৷ বর্তমানে শুধুমাত্র পালস্ পোলিয়োর কর্মসূচী এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পালিত হয় ৷
কংগ্রেস আমলে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ রায়ের আমলে গাজনায় এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হয় । স্থানীয়রা জানিয়েছে, কংগ্রেস আমলে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন একজন করে ডাক্তার আসতেন । মিলত স্বাস্থ্য পরিষেবাও । তবে দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্য পরিষেবা লাটে উঠেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের । বর্তমান সরকারের আমলে অনেক প্রতিশ্রুতি মিললেও কাজ হয়নি কিছুই । এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের ।
স্থানীয় বাসিন্দা শিব শেখর গন বলেন," কংগ্রেস আমলে স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হবে বলে রাজ্য সরকারকে জমি দিয়েছিলেন গাজনার বাসিন্দা হাজারি লাল রক্ষিত । প্রায় 4 বিঘা জমি তিনি দান করেছিলেন । তবে তার দান করা জমিতে এখন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল দশা । রাতের বেলায় হাসপাতালের পাশে ঝোপঝাড়ে বসে মদের আড্ডা ।" স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসন সবকিছু জেনেও এখনও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করছেন তিনি । স্থানীয় BJP বিধায়ক আশিষ কুমার বিশ্বাসকেও এই বিষয়ে জানিয়েছেন স্থানীয়রা ৷ তবুও এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি ৷