হরিণঘাটা, 26 ডিসেম্বর: "এলাকায় খুব ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন সেই ভিতরের খবর আমরা বলতে পারব না।" নিজের সার্ভিস রিভলবার দিয়ে কনস্টেবলের আত্মঘাতীর ঘটনায় প্রতিক্রিয়া প্রতিবেশীদের। ওই কনস্টেবল এর নাম তপন পাল, বয়স আনুমানিক 51 বছর। বাড়ি নদিয়ার হরিণঘাটা থানার সুবর্ণপুরে।
সূত্রের খবর এর আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তপন পাল নামে মৃত ওই পুলিশ কর্মী। জানা যায়, তপন পাল দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের চাকরি করতেন। তাঁর একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত সাত দিন আগে বাড়িতে ছুটিতে এসেছিলেন। গতকাল, সোমবার বাড়ি থেকে কলকাতা গিয়ে ডিউটিতে যোগদান করেন। রাতে পরিবারের কাছে মৃত্যুর দুঃসংবাদ আসে। যদিও তপন পালের মৃত্যু নিয়ে কোনও মুখ খুলতে নারাজ পরিবার।
তবে তপন পালের দাদা রতন পাল জানান, এর আগেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন তাঁর ভাই। তবে কী কারণে তা স্পষ্ট করেনি কেউই। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাঁর মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার কারণে সকালে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বাকি যে অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন তাঁরা এই সম্পর্কে কিছুই জানাতে চাননি। প্রতিবেশীদের দাবি, শারীরিক অসুস্থতা ছিল। প্রতিদিন নিয়মিত শরীরের অসুস্থতার কারণে ওষুধও খেত বলে, সূত্রের খবর। পাশাপাশি তিনি কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
তবে প্রতিবেশীদের থেকে আরও জানা গিয়েছে, এলাকায় সবার সঙ্গে মিশতেন তিনি। ঋণও নিয়েছিলেন ৷ এবিষয়ে প্রতিবেশী তপন পারুই বলেন, "এলাকায় ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিল তপন পাল। তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটাল তা নিয়ে কিছুই বুঝতে পারছি না। উল্লেখ্য, বড়দিনের রাতে নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে আত্মঘাতী হন তপন পাল। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানই তাঁর মৃত্যু হয়। ব্যারাক থেকে খাদ্যভবনে ডিউটি যাওয়ার পথে তিনি নিজেকে গুলি করেন ৷
জানা যায়, খাদ্যভবনের ভিতরে পুলিশের ব্যারাক রয়েছে। সেই ব্যারাক থেকে রাত 11টা নাগাদ ডিউটিতে যাচ্ছিলেন রির্জাভ ফোর্সের অফিসার। সেই সময় হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায়। ঘটনাস্থলে ছুটে যান সহকর্মীরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় কনস্টেবল তপন পালকে।
আরও পড়ুন: