ETV Bharat / state

এবার অনশনে বসছেন নদিয়া জেলার পঞ্চায়েতের চাকরিপ্রার্থীরা - group d candidates

চাকরিপ্রার্থীরা জানান, 2018 সালের প্রথম দিকে নদিয়া জেলা প্রশাসনের তরফে পঞ্চায়েতে গ্রুপ ডি পদে নিয়েগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় । সেবছরের 3 মার্চ লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয় । মৌখিক হয় জুন মাসে । অগাস্ট মাসে মেরিট লিস্ট বের হয় । তারপর কেটে গেছে 11 মাস । আগামী মাসে একবছর হবে । কিন্তু, নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি ।

নদিয়া
author img

By

Published : Jul 28, 2019, 3:43 AM IST

Updated : Jul 28, 2019, 6:42 AM IST

কৃষ্ণনগর, 28 জুলাই : রাজ্যের প্রাইমারি শিক্ষকদের অনশনের রেশ কাটতে না কাটতে ফের অনশনের হুমকি । এবার অনশনের হুমকি দিলেন নদিয়া জেলার পঞ্চায়েতের গ্রুপ ডি'র শতাধিক চাকরিপ্রার্থী । তাঁদের অভিযোগ, চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশের পর 11 মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি । জেলা প্রশাসনের সর্বস্তরের আধিকারিকদের কাছে দরবার করেছেন । কিন্তু, কেউ আশার কথা শোনাতে পারেননি । সেকারণে তাঁরা অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । গত পাঁচদিন ধরে কৃষ্ণনগর জেলা পরিষদ গেটের সামনে অবস্থান করছেন চাকরিপ্রার্থীরা ।

চাকরিপ্রার্থীরা জানান, 2018 সালের প্রথম দিকে নদিয়া জেলা প্রশাসনের তরফে পঞ্চায়েতে গ্রুপ ডি পদে নিয়েগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় । সেবছরের 3 মার্চ লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয় । মৌখিক হয় জুন মাসে । অগাস্ট মাসে মেরিট লিস্ট বের হয় । তারপর কেটে গেছে 11 মাস । আগামী মাসে একবছর হবে । কিন্তু, নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি ।

অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থী অনুরূপ বিশ্বাস বলেন, "প্রায় একবছর হতে চলল অথচ আমরা নিয়োগপত্র পেলাম না । গত ছ'মাস আগে থেকে আমরা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে দরবার করছি । জেলা পরিষদের সভাধিপতিকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে । সবাই বলছেন দেখছি, দেখব । আমাদের ধৈর্যের বাঁধ এবারে ভাঙছে । অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছি । এতদিন অবস্থান করলাম, এবার অনশন শুরু করব ।"

আর এক চাকরিপ্রার্থী মনোরমা দত্ত বলেন, চূড়ান্ত মেধাতালিকায় 132 জন চাকরিপ্রার্থী জায়গা পেয়েছিলেন । 70 জন ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন । আমরা একজোট হয়েছি । কতদিন এভাবে চলবে জানি না । একাধিকবার জেলা পরিষদের সভাধিপতির কাছে দরবার করেছি । তিনি দেখছি, দেখব বলছেন । এভাবে চলতে পারে না । আমরা অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি । হাতে নিয়োগপত্র না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব ।"

nadia
অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জানালেন চাকরিপ্রার্থী মনোরমা দত্ত

এবিষয়ে নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু বলেন, "আগের বোর্ডে পরীক্ষা দিয়েছিল ওরা । আমি আসার পর দু-একবার দেখা করেছে । ওরা চাকরি পাক সেটা আমিও চাই । পঞ্চায়েত দপ্তরে এনিয়ে কথা বলেছি । রাজ্যে রিপোর্ট পাঠিয়েছি । রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হবে বলে আমার বিশ্বাস ।"

PRT স্কেল চালুর দাবিতে গত 13 জুলাই তেকে সল্টলেকে অনশন শুরু করেছিলেন একদল প্রাথমিক শিক্ষক ৷ টানা 14 দিন অনশনের পর প্রাথমিক শিক্ষকদের পে গ্রেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে রাজ্য সরকার । তারপরই অনশন প্রত্যাহার করেন শিক্ষকরা । এবার নিজেদের দাবি আদায়ে সেই অনশনের পথেই হাঁটতে চলেছেন নদিয়া জেলার পঞ্চায়েতের গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা ।

কৃষ্ণনগর, 28 জুলাই : রাজ্যের প্রাইমারি শিক্ষকদের অনশনের রেশ কাটতে না কাটতে ফের অনশনের হুমকি । এবার অনশনের হুমকি দিলেন নদিয়া জেলার পঞ্চায়েতের গ্রুপ ডি'র শতাধিক চাকরিপ্রার্থী । তাঁদের অভিযোগ, চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশের পর 11 মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি । জেলা প্রশাসনের সর্বস্তরের আধিকারিকদের কাছে দরবার করেছেন । কিন্তু, কেউ আশার কথা শোনাতে পারেননি । সেকারণে তাঁরা অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । গত পাঁচদিন ধরে কৃষ্ণনগর জেলা পরিষদ গেটের সামনে অবস্থান করছেন চাকরিপ্রার্থীরা ।

চাকরিপ্রার্থীরা জানান, 2018 সালের প্রথম দিকে নদিয়া জেলা প্রশাসনের তরফে পঞ্চায়েতে গ্রুপ ডি পদে নিয়েগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় । সেবছরের 3 মার্চ লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয় । মৌখিক হয় জুন মাসে । অগাস্ট মাসে মেরিট লিস্ট বের হয় । তারপর কেটে গেছে 11 মাস । আগামী মাসে একবছর হবে । কিন্তু, নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি ।

অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থী অনুরূপ বিশ্বাস বলেন, "প্রায় একবছর হতে চলল অথচ আমরা নিয়োগপত্র পেলাম না । গত ছ'মাস আগে থেকে আমরা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে দরবার করছি । জেলা পরিষদের সভাধিপতিকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে । সবাই বলছেন দেখছি, দেখব । আমাদের ধৈর্যের বাঁধ এবারে ভাঙছে । অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছি । এতদিন অবস্থান করলাম, এবার অনশন শুরু করব ।"

আর এক চাকরিপ্রার্থী মনোরমা দত্ত বলেন, চূড়ান্ত মেধাতালিকায় 132 জন চাকরিপ্রার্থী জায়গা পেয়েছিলেন । 70 জন ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন । আমরা একজোট হয়েছি । কতদিন এভাবে চলবে জানি না । একাধিকবার জেলা পরিষদের সভাধিপতির কাছে দরবার করেছি । তিনি দেখছি, দেখব বলছেন । এভাবে চলতে পারে না । আমরা অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি । হাতে নিয়োগপত্র না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব ।"

nadia
অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জানালেন চাকরিপ্রার্থী মনোরমা দত্ত

এবিষয়ে নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু বলেন, "আগের বোর্ডে পরীক্ষা দিয়েছিল ওরা । আমি আসার পর দু-একবার দেখা করেছে । ওরা চাকরি পাক সেটা আমিও চাই । পঞ্চায়েত দপ্তরে এনিয়ে কথা বলেছি । রাজ্যে রিপোর্ট পাঠিয়েছি । রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হবে বলে আমার বিশ্বাস ।"

PRT স্কেল চালুর দাবিতে গত 13 জুলাই তেকে সল্টলেকে অনশন শুরু করেছিলেন একদল প্রাথমিক শিক্ষক ৷ টানা 14 দিন অনশনের পর প্রাথমিক শিক্ষকদের পে গ্রেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে রাজ্য সরকার । তারপরই অনশন প্রত্যাহার করেন শিক্ষকরা । এবার নিজেদের দাবি আদায়ে সেই অনশনের পথেই হাঁটতে চলেছেন নদিয়া জেলার পঞ্চায়েতের গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা ।

Intro:চাকরি পরীক্ষায় মেরিট লিস্টে নাম থেকেও 1 বছর পেরিয়ে গেলেও নিয়োগপত্র পাননি। অসহায় হয়ে অবশেষে অবস্থান-বিক্ষোভ এর পথ বেছে নিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। নদীয়ার কৃষ্ণনগর জেলা পরিষদের গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ এ বসলেন তারা।
উল্লেখ্য 2018 সালের মার্চ মাসে সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের ডি গ্রুপের পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করার পর তাদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মৌখিক এর জন্য ডাকা হয় বাছাই প্রার্থীদের। তারপরেই ফাইনাল মেরিট লিস্ট দেওয়া হয়। যেখানে 132 জন চাকরিপ্রার্থীরা জায়গা পেয়েছিলেন এবং 70 জন ওয়েট লিস্টে ছিল। অভিযোগ, এক বছর অতিক্রান্ত হলেও তাদের হাতে এখনো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। বহুবার প্রশাসনের দরজায় ঘুরে কোন লাভ হয়নি। শুধু প্রশাসনই নয় ঘুরেছেন জনপ্রতিনিধিদের কাছেও। মিলেছে শুধু আশ্বাস। সমাধান সূত্র রয়েই গেছে বিশবাঁও জলে। এমত অবস্থায় তারা আর কোন পথ না পেয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ এর সিদ্ধান্ত নেয়। আজ পাঁচ দিনে পড়ল তাদের অবস্থান কর্মসূচি। চাকরি প্রার্থীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আগামী কাল থেকে তারা অনশন শুরু করবেন। আর যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ এই অনশন চালিয়ে যাবেন তারা।
নদীয়া জেলার জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু বলেন, এটা আগের বোর্ডে পরীক্ষা দিয়েছিল ওরা। আমি আসার পর দুই একবার দেখা করেছে। আমিও চাই ওরা জেলার ছেলে ওদের বেকারত্ব দূর হোক। পঞ্চায়েত দপ্তর এ কথা হয়েছে এই নিয়ে। আমরা রিপোর্ট রাজ্যে পাঠিয়েছি। রাজ্য থেকে পাস না হয়ে এলে নিয়োগপত্র দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও যথেষ্ট সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হচ্ছে এই বিষয়টি। বিধায়করা ও কথা বলেছেন এই নিয়ে। এদের সমস্যার সমাধান না হলে আমরাও খুশি হবো।


Body:KRISHNAGAR PROTESTS


Conclusion:
Last Updated : Jul 28, 2019, 6:42 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.