নবদ্বীপ, 25 অক্টোবর: তাঁদের কারোর সন্তান নেই ৷ কারও বয়স 60, তো কারও 70 ৷ এমন নিঃসন্তান বৃদ্ধাদের নিয়ে অন্যরকম বিজয়া দশমী পালন করা হল নবদ্বীপে ৷ বুধবার একাদশীতে নবদ্বীপ পোড়াঘাট রাধে শ্যাম ভজন আশ্রম মন্দিরে প্রায় 800 জন বৃদ্ধার হাতে তুলে দেওয়া হল মিষ্টি এবং বস্ত্র ৷ আর এই কাজ করলেন নবদ্বীপের বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা । বিধায়কের পাশাপাশি এ দিন উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপ পৌরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা, নবদ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জলেশ্বর তিওয়ারি ও একাধিক বিশিষ্ট মানুষেরা । দীর্ঘ 22 বছর ধরে নবদ্বীপের বিধায়ক দশমীর পরের দিন এই কর্মকাণ্ড করে আসছেন ৷ প্রতি বছর একাদশীতে ভজনা শ্রমের সকল বৃদ্ধাকে বস্ত্র ও মিষ্টি প্রদান করেন তিনি । এ দিনও সেই নিয়মের অন্যথা হল না ।
আনুমানিক সকাল 11টা নাগাদ নবদ্বীপ পোড়াঘাট সংলগ্ন রাধে শ্যাম ভজন আশ্রম মন্দিরে পৌঁছে যান বিধায়ক চেয়ারম্যান ও অন্যান্য নেত্রী বর্গরা । এরপরই প্রায় 800 জন বেশি বৃদ্ধা, যারা ওই ভজনাশ্রম মন্দিরে সারা বছর ধরে হরিনাম সংকীর্তন করে থাকেন এবং এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করেন, তাঁদেরকে একে একে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা । এরপর তাঁদের হাতে তুলে দেন বস্ত্র মিষ্টি এবং 100 টাকা করে । আর পুজোর পর প্রত্যেক বছর এই উপহার পেয়ে খুশি বৃদ্ধারাও । তাঁরা প্রত্যেকেই প্রণাম করার সঙ্গে সঙ্গেই বিধায়কের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেন এবং তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেন ।
আরও পড়ুন: 'ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ...' বিদায়ের সুরেই বাবুঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন
বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহার পাশাপাশি এ দিন মিষ্টি, বস্ত্র ও টাকা বৃদ্ধাদের হাতে তুলে দেন চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা, নবদ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জলেশ্বর তিওয়ারি ও অন্যান্যরা । দীর্ঘ 22 বছর ধরে দশমীর পরের এই দিনটিতে নবদ্বীপের বিধায়ক সম্পূর্ণ নিজের উপার্জন থেকেই এই কাজ করে আসছেন বলেই জানান তিনি । স্বাভাবিকভাবেই বিধায়কের এই কর্মকাণ্ডে খুশি আপামর নবদ্বীপবাসী ।