ETV Bharat / state

Husband and Wife's body Recovered : ফেব্রুয়ারিতে চার হাত এক হয়েছিল, দাম্পত্য কলহের চরম পরিণতি চাকদায় - Husband and Wife's body Recovered

শনিবার সকালে রেললাইন থেকে উদ্ধার স্বামীর দেহ, রাতে বন্ধ ঘর থেকে রক্তাক্ত দেহ মেলে স্ত্রীর। তদন্তে চাকদা থানার পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী (Husband body recover from railine and Wife body found from room)।

Husband and Wife bodies Recover
প্রথমে উদ্ধার স্বামীর দেহ। তারপর উদ্ধার হয় স্ত্রীর দেহ
author img

By

Published : Apr 17, 2022, 12:38 PM IST

চাকদা, 17 এপ্রিল : প্রথমে রেললাইন থেকে উদ্ধার স্বামীর দেহ । তারপর বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল স্ত্রীর দেহ । স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যপক শোরগোল নদিয়ার চাকদা থানার রথতলা এলাকায় (Husband and Wife's body Recovered in Chakdaha) । মৃত ব্যক্তি দেবাশীষ রায় (37) রেলের কর্মী । মৃতা বর্ণালী রায় (23) বিএড কলেজে পড়াশোনা করছিলেন । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি ।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর চব্বিশ পরগনার পাল্লা গ্রামের দেবাশীষ রায়ের সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় চাকদার নারকেলডাঙ্গার বর্ণালী ঘোষের । দেবাশীষ রায় কাঁচরাপাড়া রেল স্টেশনের ওয়ার্কশপে কর্মরত । অভিযোগ, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাননি বর্ণালী ৷ কারণ উত্তর 24 পরগনার ওই গ্রাম থেকে তাঁর বিএড কলেজের দূরত্ব অনেকটাই ৷ শ্বশুরবাড়ি থেকে কলেজে যাতায়াতে অসুবিধা হওয়ার কারণে চাকদা থানার রথতলা এলাকায় ভাড়াবাড়ি নিয়ে থাকতেন ৷ মাকে নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে দেবাশীষ ওই ভাড়া বাড়িতে থাকতে বাধ্য হলেও বিষয়টি নিয়ে আপত্তি ছিল তাঁর ৷

শ্বশুরবাড়িতে না থাকার কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই গণ্ডগোল হত । অভিযোগ, দেবাশীষের পাঁচ বোন মিলে দাদাকে জোর দিত স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৷ এমনকী বর্ণালীর বাপেরবাড়ি থেকে টাকা-পয়সা, সোনাদানা নিয়ে আসার জন্য ভাইকে চাপ দিত তারা ৷ তারপরই হঠাৎ এই ঘটনা ৷ শনিবার সকালে চাকদা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেবাশীষের দেহ পাওয়া যায় ৷ তিনি মা নীহারবালা রায়কে নিয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু মহিলা কোনওক্রমে বেঁচে যান ৷

বন্ধ ঘরে মৃত স্ত্রী, রেললাইনে উদ্ধার স্বামীর দেহ

দেবাশীষের মৃত্যুর খবর পেতেই সকাল থেকেই মেয়ে বর্ণালীর ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাঁর পরিবারের লোক ৷ কিন্তু তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি ৷ সন্দেহ হওয়ায় শনিবার রাতে মেয়ের বাড়ির লোকেরা খোঁজ করতে রথতলার ওই ভাড়া বাড়িতে যান ৷ গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া । কিন্তু জানালা দিয়ে উঁকি মারতেই হাড়হিম হয়ে আসে ৷ দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় বর্ণালী মেঝেতে পড়ে রয়েছেন । কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে তাঁকে ৷

খবর পেয়ে চাকদা থানা পুলিশ শনিবার গভীর রাতে মৃতদেহ উদ্ধার করে । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি । বিয়ের আড়াই মাসের মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর এই পরিণতিতে হতবাক পরিবার ও স্থানীয়রা ৷

আরও পড়ুন : ফাঁসিদেওয়ায় বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকাকে ধর্ষণ ; গ্রেফতার পিসেমশাই, আটক বাবাও

চাকদা, 17 এপ্রিল : প্রথমে রেললাইন থেকে উদ্ধার স্বামীর দেহ । তারপর বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল স্ত্রীর দেহ । স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যপক শোরগোল নদিয়ার চাকদা থানার রথতলা এলাকায় (Husband and Wife's body Recovered in Chakdaha) । মৃত ব্যক্তি দেবাশীষ রায় (37) রেলের কর্মী । মৃতা বর্ণালী রায় (23) বিএড কলেজে পড়াশোনা করছিলেন । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি ।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর চব্বিশ পরগনার পাল্লা গ্রামের দেবাশীষ রায়ের সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় চাকদার নারকেলডাঙ্গার বর্ণালী ঘোষের । দেবাশীষ রায় কাঁচরাপাড়া রেল স্টেশনের ওয়ার্কশপে কর্মরত । অভিযোগ, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাননি বর্ণালী ৷ কারণ উত্তর 24 পরগনার ওই গ্রাম থেকে তাঁর বিএড কলেজের দূরত্ব অনেকটাই ৷ শ্বশুরবাড়ি থেকে কলেজে যাতায়াতে অসুবিধা হওয়ার কারণে চাকদা থানার রথতলা এলাকায় ভাড়াবাড়ি নিয়ে থাকতেন ৷ মাকে নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে দেবাশীষ ওই ভাড়া বাড়িতে থাকতে বাধ্য হলেও বিষয়টি নিয়ে আপত্তি ছিল তাঁর ৷

শ্বশুরবাড়িতে না থাকার কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই গণ্ডগোল হত । অভিযোগ, দেবাশীষের পাঁচ বোন মিলে দাদাকে জোর দিত স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৷ এমনকী বর্ণালীর বাপেরবাড়ি থেকে টাকা-পয়সা, সোনাদানা নিয়ে আসার জন্য ভাইকে চাপ দিত তারা ৷ তারপরই হঠাৎ এই ঘটনা ৷ শনিবার সকালে চাকদা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেবাশীষের দেহ পাওয়া যায় ৷ তিনি মা নীহারবালা রায়কে নিয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু মহিলা কোনওক্রমে বেঁচে যান ৷

বন্ধ ঘরে মৃত স্ত্রী, রেললাইনে উদ্ধার স্বামীর দেহ

দেবাশীষের মৃত্যুর খবর পেতেই সকাল থেকেই মেয়ে বর্ণালীর ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাঁর পরিবারের লোক ৷ কিন্তু তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি ৷ সন্দেহ হওয়ায় শনিবার রাতে মেয়ের বাড়ির লোকেরা খোঁজ করতে রথতলার ওই ভাড়া বাড়িতে যান ৷ গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া । কিন্তু জানালা দিয়ে উঁকি মারতেই হাড়হিম হয়ে আসে ৷ দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় বর্ণালী মেঝেতে পড়ে রয়েছেন । কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে তাঁকে ৷

খবর পেয়ে চাকদা থানা পুলিশ শনিবার গভীর রাতে মৃতদেহ উদ্ধার করে । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি । বিয়ের আড়াই মাসের মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর এই পরিণতিতে হতবাক পরিবার ও স্থানীয়রা ৷

আরও পড়ুন : ফাঁসিদেওয়ায় বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকাকে ধর্ষণ ; গ্রেফতার পিসেমশাই, আটক বাবাও

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.