শান্তিপুর, 2 অক্টোবর : মেসোশ্বশুরকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ব্যক্তির বিরুদ্ধে । এরপরই অভিযুক্তর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় । ঘটনাস্থানে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার ঘটনা ।
নদিয়ার শান্তিপুর থানার গোবিন্দপুর নিকুঞ্জনগরের বাসিন্দা মিন্টু দাস । তাঁর শ্যালিকার মেয়ের সঙ্গে এক বছর আগে দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল ওই এলাকারই যুবক তাপস বিশ্বাসের । অভিযোগ, বিয়ের পরও অভিযুক্ত তাপস বিশ্বাসের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল একাধিক মেয়ের সঙ্গে । তাপসের স্ত্রী ব্যাপারটি বুঝতে পারেন । সেই কারণেই বিয়ের পর থেকে তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয় । অশান্তির জেরে ছয় মাস আগে তাপস বিশ্বাসের স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যান । অভিযোগ, স্ত্রীর বাড়ি ছেড়ে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি অভিযুক্ত জামাই ৷ যেহেতু তাপস বিশ্বাসের মেসো শ্বশুরবাড়ি ওই এলাকাতে সেই কারণে অভিযুক্তের সন্দেহ হয় মেসো শাশুড়ি এবং মেসোশ্বশুরের জন্যই তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে ।
অভিযোগ, গতকাল রাতে মেসোশ্বশুর মিন্টু দাস যখন এলাকার একটি বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন ঠিক তখন বাজারের একটু পাশে তাপস বিশ্বাস কয়েকজনকে নিয়ে মিন্টু দাসের উপর হামলা চালায় । ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় মিন্টু দাসকে । কোপের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি ৷ পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা ৷ মিন্টুবাবুর চিৎকারে ঘটনাস্থানে আসে স্থানীয়রা ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিন্টু দাসকে শান্তিপুর স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা । ক্ষিপ্ত জনতা আগুন লাগিয়ে দেয় অভিযুক্ত তাপস বিশ্বাসের বাড়িতে । খবর পেয়ে এলাকায় যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ এবং দমকলকর্মীরা । তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷