তেহট্ট, 15 সেপ্টেম্বর: জাল নথি চক্রের হদিশ তেহট্টে ৷ নিজেই এই চক্রের কর্যকলাপ ফাঁস করলেন এলাকার বিডিও ৷ এই ঘটনায় 2 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
নদিয়ার তেহট্ট 1 নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মাঝেমধ্যেই লক্ষ্য করতেন, এলাকার বিভিন্ন উপভোক্তাদের বার্থ সার্টিফিকেট, জাতিগত শংসাপত্র থেকে শুরু করে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র এমনকী রেশন কার্ডের মতন গুরুত্বপূর্ণ শংসাপত্রের সুনির্দিষ্ট সরকারি নিবদ্ধকরণ নেই । অথচ সেই উপভোক্ততারা ওইসব সার্টিফিকেটের সাহায্যে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে চলেছে দীর্ঘদিন যাবৎ । এমনকী কোনও কোনও ক্ষেত্রে এসডিও মৌমিতা সাহার সইও ছিল সন্দেহজনক । অথচ এসডিও-ও জানতেন না তাঁর সই কীভাবে জাল হয়ে যাচ্ছে ৷ বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ জাগে এলাকার বিডিও শুভাশিস মজুমদারের মনে ৷
তবে এই অপরাধের পিছনে থাকা জলচক্রের হদিস তিনি পাচ্ছিলেন না বিডিও ৷ তাঁর এই সন্দেহ আরও প্রকট হয়, বিড়ি শ্রমিকদের পরিচয়পত্র দেওয়া আজ থেকে কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে গেলেও সেই কার্ড নতুনভাবে উপভোক্তদের হাতে দেখতে পাওয়ায় । এরপরেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ছদ্মবেশে বিডিও হানা দেন তেহট্টের একটি জেরক্সের দোকানে ৷
ওই দোকানে ঢুকেই চোখ কপালে ওঠে বিডিও'র ৷ এরপরেই প্রচুর পরিমাণে এই ধরণের জাল সার্টিফিকেট-সহ তিনি ধরে ফেলেন জয়ন্ত মিস্ত্রি নামে ওই জেরক্স দোকানের মালিককে । সেই সূত্রে আরও এক ব্যক্তিকে আটক করা হয় পুলিশের সহযোগিতায় । এই প্রসঙ্গে বিডিও জানান, প্রচুর পরিমাণে শংসাপত্র উদ্ধার হলেও এই অপরাধের ক্ষেত্রে হিমশৈলের চূড়া মাত্র ৷
আরও পড়ুন: নদিয়ায় শুভেন্দুর সভার জন্য চাঁদা না দেওয়ায় মারধর ব্যবসায়ীকে ! বিজেপির নিন্দায় সরব তৃণমূল
তাঁর মতে ধৃতদের চাপ দিলে আরও বড় চক্র ধরা পড়বে । অভিযুক্তদের শুক্রবার তেহট্টের মহকুমা আদালতে তোলা হয় । প্রশাসনের তরফ থেকে ধৃত 2 জনকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন । পুলিশের অনুমান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই জালিয়াতির ক্ষেত্রে আরও গোপন তথ্য উঠে আসতে পারে ।