মায়াপুর, 31 অক্টোবর: দীপাবলির আগেই আলোকিত ইসকন মন্দির ৷ ইসকনের প্রধান কেন্দ্র শ্রীমায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দিরে জ্বলে উঠল শত শত প্রদীপ । কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে মায়াপুর ইসকনে শুরু হয়েছে দীপদান অনুষ্ঠান ৷ চলবে রাসপূর্ণিমা পর্যন্ত । একমাস ধরে চলা বিশ্বব্যাপী এই দীপদান অনুষ্ঠানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে অংশ নিতে পারবেন সকলেই ৷ বিনামূল্যেই সবাই দীপদান করতে পারবেন ইসকন মন্দিরে ৷
দীপদান অনুষ্ঠান চলছে প্রতিদিন সন্ধ্যা 7 থেকে রাত 8টা পর্যন্ত । একই সঙ্গে চলছে দামোদর অষ্টকম স্তোত্র পাঠ । প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানের জন্য ধর্ম প্রাণ হাজার হাজার মানুষ এবং দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত সমবেত হয় মায়াপুর ইসকনে । এই দীপদান উৎসবের বিষয়ে ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, "দীপদান উৎসব উপলক্ষে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক লাইনের ব্যবস্থা করাও হয়েছে । এছাড়াও কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে । সর্বোপরি এই উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে ভগবানের প্রতি শ্রদ্ধা, বিধান তথা সেবার বিশেষ সুযোগ লাভ করা যায় । যার ফলে জীবনের পারমার্থিক প্রগতি লাভ হয় ।"
সনাতন ধর্মে যত প্রকার উৎসব আছে তার মধ্যে দীপাবলি অন্যতম । দীপাবলি শব্দটির অর্থ হল প্রদীপের সমষ্টি বা আলোর সারি । বিজয় দশমীর কুড়ি দিন পর উদযাপিত হয় এই উৎসব । পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, ক্রেতা যুগে রাবণকে বধ করার পর যখন ভগবান শ্রীরামচন্দ্র তাঁর নিজ রাজ্য অযোধ্যায় ফিরে এসেছিলেন, তখন তাঁর রাজ্যবাসী অর্থাৎ অযোধ্যাবাসীগণ তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য এক বিশেষ উৎসবের আয়োজন করেছিলেন । সমগ্র অযোধ্যা নগরীকে আলোকমালায় সজ্জিত করা হয়েছিল ৷ আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছিল সকলে । আর তারই স্মরণে এই উৎসব পালিত হয় বলে বিভিন্নমহলের তরফে দাবি করা হয় ।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কৃষ্ণময় মায়াভূম ইসকন, ভক্ত সমাগমে মুখরিত মন্দির
আবার পদ্মপুরাণে বর্ণনা করা হয়েছে, কার্তিক মাসের এই বিশেষ তিথিতে যদি কেউ খোলা আকাশের নীচে প্রদীপ জ্বালায় তাহলে তার সমস্ত মনোসকামনা পূর্ণ হয় । তাই স্বাভাবিকভাবেই এই উৎসবকে ঘিরে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে ভক্তদের উন্মাদনা থাকে চোখে পড়ার মতো ।