বেলঘড়িয়া, 14 জুলাই: পঞ্চায়েত নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে পারেননি ৷ মানসিক অবসাদে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করলেন সিপিএম প্রার্থী অরবিন্দ প্রামাণিক ৷ শান্তিপুরের বেলঘরিয়া 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী ছিলেন প্রামাণিক ৷ স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, 11 জুলাই ভোটের ফলাফলে জানা যায় পরাজিত অরবিন্দ প্রামাণিক । তারপর থেকেই তিনি মানসিক অবসাদে চলে যান । 12 তারিখ সকালে ঘাস মারার কীটনাশক খেয়ে ফেলেন সিপিএম প্রার্থী । শুক্রবার সকালে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
শান্তিপুরের নতুন ফুলিয়ার বাসিন্দা অরবিন্দ প্রামাণিক দীর্ঘদিন সিপিএমের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। আগে বেলঘড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনবার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ও একবার পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়লাভ করেছিলেন। এবছর নিজের ওয়ার্ডে মহিলা প্রার্থী হওয়ার কারণে পাশের 245 নম্বর বুথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। ভোটের ফল সামনে আসতেই হতাশা অরবিন্দবাবু । পরিবারের সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে দেন বলে জানা গিয়েছে । 12 তারিখ সকালে পরিবারের অজান্তেই কীটনাশক খেয়ে ফেলেন ওই সিপিএম প্রার্থী।
তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন তাঁকে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় । অবস্থার অবনতি হলে অরবিন্দবাবুকে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় । যদিও শেষরক্ষা হল না । কীটনাশকের বিষক্রিয়া মারাত্মক আকার নেয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা । শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়। আত্মঘাতী সিপিআইএম প্রার্থী অরবিন্দ প্রামাণিকের ছেলে বলেন, "পরাজয়ের পর থেকেই বাবা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কিন্তু এমন কাণ্ড ঘটাবেন আমরা বুঝে উঠতে পারিনি। "
দীর্ঘ দিন ধরে সিপিএম করার ফলে এলাকায় বেশ নামডাক ছিল অরবিন্দ প্রামাণিকের ৷ বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি ৷ তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায় ৷ পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে বাংলায় চলা হিংসার মাঝেই এই ধরণের আত্মহত্যার ঘটনা উদ্বেগ বাড়ায় । পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পর রাজ্যে বেশে কয়েকটি জায়গায় হিংসায় কয়েকজনের মৃত্যু হলেও প্রার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা প্রথম বলে জানা গিয়েছে ৷