রানাঘাট, 8 অগস্ট: সম্পূর্ণ-অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শাসকদলের হয়ে জোরপূর্বক বোর্ড গঠন করার অভিযোগ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ না-করেই বেরিয়ে এলেন বিজেপির 8 জন জয়ী প্রার্থী। প্রশাসনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিলেন তাঁরা।
রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। সেইমতো নদিয়ার রানাঘাট থানার অন্তর্গত হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মঙ্গলবার ছিল বোর্ড গঠন। হবিবপুর পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা 22 ৷ তার মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল 11টি আসনে এবং 8টি আসনে বিজেপি এবং নির্দলের দখলে ছিল 3টি আসন। বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া চলাকালীন অভিযোগ, সম্পূর্ণ বলপূর্বক বোর্ড দখলের চেষ্টা করে শাসকদল। আর তাদের সঙ্গ দিয়েছে প্রশাসন। এই অভিযোগ তুলে হঠাৎ পঞ্চায়েতের ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বিজেপির 8 জয়ী প্রার্থী।
আরও পড়ুন: তৃণমূলকে পরাস্ত করে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি-নির্দল দখল নিল পঞ্চায়েতের
এক বিজেপি প্রার্থীর দাবি, কীভাবে ভোট দান প্রক্রিয়া সকলের সামনে করতে পারে প্রশাসন। মূলত ভোটদান প্রক্রিয়া গোপন রেখে দেওয়ার নিয়ম কিন্তু প্রশাসন সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করছিল। যার কারণে তাঁরা ভোট দান থেকে বিরত থাকলাম। তাঁরা অবিলম্বে এবিষয়ে হাইকোর্টের একটি মামলা দায়ের করব। যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান মমতা বিশ্বাস। তিনি বলেন, "সম্পূর্ণ গণতন্ত্রের মধ্য দিয়েই প্রশাসন কাজ করেছে। যেহেতু তিনজন নির্দল প্রার্থী আমাদের সমর্থন করেছে সেই কারণে নিশ্চিত হার জেনেই বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা বাইরে বেরিয়ে এসেছে এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন। তৃণমূল নিজেদের 11 এবং নির্দলের তিনটি ভোট নিয়ে পঞ্চায়েত ভোট গঠন করল ৷"
অন্যদিকে, নদিয়ার রুইপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘটেছে পুরো বিপরীত ঘটনা ৷ তৃণমূল-বিজেপি-সিপিএম মিলে গঠন করেছে পঞ্চায়েত বোর্ড। নতুন গঠিত বোর্ডে প্রধান হয়েছেন এলাকার তৃণমূল জয়ী প্রার্থী অনুপ বিশ্বাস। আর বিজেপির জয়ী প্রার্থী সুপ্রিয়া মণ্ডলকে করা হয়েছে উপপ্রধান। এই ঘটনাকে ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছেও জেলাজুড়ে।
আরও পড়ুন: বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের দলে টানতে টাকার টোপ ! বেঁধে রাখা হল তৃণমূল নেতাকে