কৃষ্ণনগর, 4 অগাস্ট : রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য অবৈধভাবে একের পর এক সেগুন, শিরীষ, জারুল, বাবলা গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল কৃষ্ণনগরে ৷ স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবেশপ্রেমীদের অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই চলছে গাছ কাটা ৷ এরপরই আজ সকালে ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয় ৷
সম্প্রতি কৃষ্ণনগর থেকে মাঝদিয়া পর্যন্ত 24 কিলোমিটার রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণের অনুমতি দিয়েছে পূর্ত দপ্তর ৷ এই কাজের বরাত পেয়েছেন প্রবীর সরকার নামে একজন ঠিকাদার ৷ পরিবেশ কর্মীদের অভিযোগ, এই রাস্তায় মোট 614টি গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হলেও 2000টি দামি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে ৷ এদিকে রাস্তা সম্প্রসারণের চুক্তিতে শর্তই রয়েছে যে একটি গাছ কাটলে পাঁচটি করে গাছ লাগাতে হবে এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে ঠিকাদার সংস্থাকে । কিন্তু, সেই সব শর্ত কিছুই মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ ৷
বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, 1011টি গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবেশ কর্মীদের অভিযোগ, বনদপ্তর এবং পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে 614টি গাছকে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ঠিকাদার সংস্থা চিহ্নিত গাছগুলিকে না কেটে দামি সেগুন, শিরীষ, জারুল বাবলা গাছ কেটে দিনের বেলাতেই পাচার করে দিচ্ছে ৷ একদিকে যেমন কোটি কোটি টাকা সরকারের ক্ষতি হচ্ছে তেমনই পরিবেশও ধ্বংস হচ্ছে ।
আজ সকালে আন্দোলনে নেমেছেন একাধিক পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ তাঁদের বক্তব্য, " রাস্তা সম্প্রসারণে তাঁরা কোনও বাধা তৈরি করতে চান না ৷ কিন্তু পরিবেশকে বাঁচিয়ে আদালতের নির্দেশ মতো রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ করতে হবে ৷ আদালতের নির্দেশ মতো একটি গাছ কাটলে পাঁচটি করে গাছ লাগাতে হবে এবং তার রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে । বনদপ্তর এবং সরকারের অনুমতিপ্রাপ্ত যে সব গাছ কাটার কথা সেই গাছগুলিকেই শুধুমাত্র কাটতে হবে । "
আজ সকালে ঠিকাদার প্রবীর সরকারের কাছে গাছ কাটার উপযুক্ত সরকারি অনুমতিপত্র দেখতে চান আন্দোলনকারীরা । তাঁদের অভিযোগ, প্রবীর সরকার উপযুক্ত নথি দেখাতে পারেনি । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ । তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে ।