মাজদিয়া, 9 ডিসেম্বর: নদিয়ার মাজদিয়া স্টেশন থেকে বিপুল সংখ্য়ক ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট-সহ এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করল পুট্টিখালির বিসিএফ জওয়ানরা ৷ চোরাকারবারি প্রায়শই এই ওষুধটি বাংলাদেশে পাচার করে থাকে ৷ ধৃত এই পাচারকারীর নাম গণেশ চন্দ্র নাথ ৷ গনেশের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে 1260টি ওষুধের স্ট্রিপ ৷ বাজেয়াপ্ত করা এই ওষুধের মূল্য 4 লক্ষ 22 হাজার 900 টাকা ৷
বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত সূত্রে খবর, পুট্টিখালি বর্ডার ফাঁড়ির কমান্ডার খবর পান, এক ব্যক্তি বিপুল পরিমাণ অবৈধ ওষুধ নিয়ে নদিয়ার মাজদিয়া বাজারে আসছেন পাচারের উদ্দেশ্যে । খবর পাওয়া মাত্রই জওয়ানদের নিয়ে মাজদিয়া রেলস্টেশনে পৌঁছন তিনি । সেখানে একটি ব্যাগসহ সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে দেখতে পান তাঁরা । বিএসএফ জওয়ানরা তাকে ধরার চেষ্টা করলে সে পালাতে শুরু করে। কিন্তু জওয়ানরা তাকে ধরে ফেলে । জানা গিয়েছে এই গণেশ নদিয়ার গেদের বাসিন্দা।
ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট মূলত ব্যথার ওষুধ । কিন্তু, এর ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে । নেশার জন্যও এই ওষুধটি ব্যবহার করে অনেকে । ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ খেলে তা কিডনি এবং লিভারেরও ক্ষতি করতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে ৷ বিশেষ করে যখনই ডোজ পরিবর্তন করা হয় তখনই এই ওষুধ আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে ৷ ফেনসিডিলের পরিবর্তে বাংলাদেশে অনেকেই এখন এই ট্যাবলেট দিয়ে নেশা করে ৷
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত চোরাকারবারী জানায়, চাকদার বাসিন্দা রত্না নবকুমার তাকে মাজদিয়া রেলস্টেশনে এই ওষুধ দিয়েছিল । ওষুধগুলি বাংলাদেশে পাচার করাই ছিল উদ্দেশ্য় । এর জন্য তাকে 20 হাজার টাকা দেওয়ার কথা হয়েছিল ৷ কিন্তু সেই ছক বানচাল করে দেয় বিএসএফ ৷ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তএর পাবলিক রিলেশন অফিসার ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল একে আর্য জওয়ানাদের সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "দায়িত্বে থাকা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের কর্মীদের সতর্কতার কারণেই এমন এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা গেল।"
আরও পড়ুন: