তেহট্ট, 18 এপ্রিল: বিজেপির কথা শুনে ভোটের দফা কমায়নি নির্বাচন কমিশন ৷ বাকি ভোট এক দফায় হলে আর করোনা ছড়াত না ৷ তেহট্টের সভায় এ ভাবেই করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য বিজেপি ও কমিশনকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ কমিশনের নয়া নির্দেশে তৃণমূলের পাঁচ দিন প্রচারের সময় কমে গিয়েছে বলে জানান নেত্রী ৷
রবিবার সকাল সকাল প্রচার সভা শুরু করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তেহট্টের সভায় গিয়ে তিনি কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার জন্য কমিশনকে একহাত নেন ৷ বলেন, "আমরা বলেছিলাম, বাকি ভোট এক দফায় করে দিতে ৷ কিন্তু বিজেপির কথা শুনে কমিশন সেটা করেনি ৷ বরং আমাদের প্রচারের সময়সীমা কমিয়ে দিয়েছে ৷ একসঙ্গে বাকি দফা হলে করোনা এত ছড়াত না ৷" প্রচারের সময়সীমা কমে যাওয়ায় তাঁকে অনেক সভা কাটছাঁট করতে হয়েছে বলে জানিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন তৃণমূল নেত্রী ৷ তিনি বলেন, "কমিশন প্রচারের সময় কমিয়ে দেওয়ায় আমার 5 দিন সময় নষ্ট করে দিয়েছে ৷ ফলে আরও 20টি সভা আমি করতে পারতাম ৷ সেটা বাদ দিতে হয়েছে ৷"
বিজেপি প্রার্থী করোনায় আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও প্রচার চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মমতা ৷ তিনি বলেন, "দিল্লির নেতারা বহিরাগতদের কোভিড নিয়ে এ রাজ্যে আসছেন ৷ কোভিডে আক্রান্ত হয়েও হাওড়ায় বাড়ি বাড়ি প্রচার করেছেন এক প্রার্থী ৷ আমাদের কৃষ্ণনগরের প্রার্থীরও কাল কোভিড হয়েছে ৷ তিনি বাড়ি থেকে কাজ করবেন ৷ আর রাস্তায় কাজ করবেন কর্মীরা ৷ অসুখ হতেই পারে ৷ সেটা মানবিকতা দিয়ে দেখতে হবে ৷ সতর্ক থাকতে হবে ৷"
আরও পড়ুন: ফোন ট্য়াপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার, অভিযোগ মমতার
এ দিনও বহিরাগত প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন "এই নির্বাচন বাংলা মায়ের ইজ্জত রক্ষার নির্বাচন , বাংলার ভাষা রক্ষার নির্বাচন ৷ এটা মর্যাদারক্ষার নির্বাচন ৷" তৃণমূল ভোটে জিতলে দুয়ারে রেশন, কৃষকদের বার্ষিক ভাতা বাড়িয়ে 10,000 টাকা করা, মহিলাদের 500-1000 টাকা হাতখরচ, ছাত্রদের 10 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ড-সহ নানা সুবিধে দেবে বলে এ দিনও প্রতিশ্রুতি দেন মমতা ৷ সামাজিক সুরক্ষা কার্ডে সরকার নিজেই 60 টাকা করে রাখবে বলেও জানান মমতা ৷ বিজেপিকে গুন্ডাদের দল বলে তোপ দেগে তিনি বলেন, "আমাদের সরকার বিজেপির মতো গুন্ডাদের পার্টি নয় ৷ পান খেয়ে গাল লাল করে মাথায় তিলক কেটে আসে ৷ এরা বকধার্মিক ৷ বিজেপির তিনটি গুণ, লুঠ, দাঙ্গা আর মানুষ খুন ৷" ভোটের পর তিনি করিমপুরে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷