ETV Bharat / state

বহরমপুরে গণপিটুনিতে মৃত্যু যুবকের

author img

By

Published : Sep 4, 2019, 3:25 PM IST

Updated : Sep 4, 2019, 3:35 PM IST

গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক যুবকের ৷ মৃতের নাম খাবির শেখ (23) ৷

মৃত যুবক

বহরমপুর, 4 সেপ্টেম্বর : গণপিটুনি রুখতে বিল পাশ করেছে রাজ্য সরকার ৷ কিন্তু, সাধারণ মানুষ যে সচেতন হয়নি, ফের তার প্রমাণ মিলল বহরমপুরে ৷ গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক যুবকের ৷ মৃতের নাম খাবির শেখ (23) ৷

গণপ্রহারের পর কাতরালেও কেউ এগিয়ে আসেনি তাঁর মুখে একফোঁটা জল দিতে । এক মহিলা এগিয়ে এলে তাঁকেও অপমানিত হতে হয় । প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পড়ে থাকার পর মৃতদেহ তুলে নিয়ে যায় পুলিশ । কেন ওই যুবককে হাত পা বেঁধে পিটিয়ে মারা হল খতিয়ে দেখছে বহরমপুর থানার পুলিশ ।

খাবিরের বাড়ি বহরমপুর থানার সাহাজাদপুর ফুলিয়া পাড়ায় । কর্মসূত্রে সৌদি আরবে থাকতেন । সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরে রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দিয়েছিলেন । প্রত্যক্ষদর্শীরা বলে, আজ দুপুরে বহরমপুর লালদিঘিপাড় সংলগ্ন একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে আচমকা ঢুকে পড়েন তিনি । সেখানে ঢুকেই ভাঙচুর শুরু করেন বলে অভিযোগ । এরপর ওই চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মীরা তাঁর হাত পা বেঁধে মারধর শুরু করে । গণপ্রহারে ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় তাঁর । মৃত্যুর আগে কাতরালেও কেউ জল দিতে এগিয়ে আসেনি । এমন কী প্রায় দেড় ঘণ্টা সেখানেই পড়ে থাকে দেহ । পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা খাবিরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । গণপিটুনির তীব্র নিন্দা করেছেন অনেকে । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।

এই সংক্রান্ত খবর : বিল পাশেও পালটায়নি পরিস্থিতি, যুবককে গণপিটুনি থেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ

গণপিটুনি রুখতে 30 অগাস্ট বিধানসভায় পাশ হয়েছে দা ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রিভেনশন অফ লিঞ্চিং বিল 2019 বা "গণপ্রহার রোধ বিল" । বিল পাশ হলেও এখনও আইনটি চালু হয়নি । এই বিল অনুযায়ী, গণপ্রহারে কারও মৃত্যু হলে দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা হবে । গণপ্রহারে কেউ জখম হলে দোষীর সর্বোচ্চ তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে । কিন্তু বিল পাশ হওয়ার পরও এবিষয়ে যে জনমানসে এখনও সেভাবে সচেতনতা গড়ে ওঠেনি, বহরমপুরের ঘটনা তার প্রমাণ ।

বহরমপুর, 4 সেপ্টেম্বর : গণপিটুনি রুখতে বিল পাশ করেছে রাজ্য সরকার ৷ কিন্তু, সাধারণ মানুষ যে সচেতন হয়নি, ফের তার প্রমাণ মিলল বহরমপুরে ৷ গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক যুবকের ৷ মৃতের নাম খাবির শেখ (23) ৷

গণপ্রহারের পর কাতরালেও কেউ এগিয়ে আসেনি তাঁর মুখে একফোঁটা জল দিতে । এক মহিলা এগিয়ে এলে তাঁকেও অপমানিত হতে হয় । প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পড়ে থাকার পর মৃতদেহ তুলে নিয়ে যায় পুলিশ । কেন ওই যুবককে হাত পা বেঁধে পিটিয়ে মারা হল খতিয়ে দেখছে বহরমপুর থানার পুলিশ ।

খাবিরের বাড়ি বহরমপুর থানার সাহাজাদপুর ফুলিয়া পাড়ায় । কর্মসূত্রে সৌদি আরবে থাকতেন । সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরে রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দিয়েছিলেন । প্রত্যক্ষদর্শীরা বলে, আজ দুপুরে বহরমপুর লালদিঘিপাড় সংলগ্ন একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে আচমকা ঢুকে পড়েন তিনি । সেখানে ঢুকেই ভাঙচুর শুরু করেন বলে অভিযোগ । এরপর ওই চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মীরা তাঁর হাত পা বেঁধে মারধর শুরু করে । গণপ্রহারে ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় তাঁর । মৃত্যুর আগে কাতরালেও কেউ জল দিতে এগিয়ে আসেনি । এমন কী প্রায় দেড় ঘণ্টা সেখানেই পড়ে থাকে দেহ । পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা খাবিরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । গণপিটুনির তীব্র নিন্দা করেছেন অনেকে । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।

এই সংক্রান্ত খবর : বিল পাশেও পালটায়নি পরিস্থিতি, যুবককে গণপিটুনি থেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ

গণপিটুনি রুখতে 30 অগাস্ট বিধানসভায় পাশ হয়েছে দা ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রিভেনশন অফ লিঞ্চিং বিল 2019 বা "গণপ্রহার রোধ বিল" । বিল পাশ হলেও এখনও আইনটি চালু হয়নি । এই বিল অনুযায়ী, গণপ্রহারে কারও মৃত্যু হলে দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা হবে । গণপ্রহারে কেউ জখম হলে দোষীর সর্বোচ্চ তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে । কিন্তু বিল পাশ হওয়ার পরও এবিষয়ে যে জনমানসে এখনও সেভাবে সচেতনতা গড়ে ওঠেনি, বহরমপুরের ঘটনা তার প্রমাণ ।

Intro:বহরমপুরে মধ্যযুগীয় বর্বরতা। গণপিটুনিতে মৃত্যু যুবকের। ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড়। Body:বহরমপুর - মধ্যযুগীয় বর্বরতা’র আরও এক নজির বহরমপুরে। গণপ্রহারে মৃত্যু হল যুবকের। গণপ্রহারের পর কাতরালেও কেউ এগিয়ে আসেনি মুখে এক।ফোঁটা জল দিতে। এক সহৃদয় মহিলা এগিয়ে এলে তাঁকেও অপমানিত হতে হয়। চোখের সামনে যুবকের মৃত্যু হল বহরমপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে খোদ একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে। প্রায় ঘন্টা দেড়েক পড়ে থাকার পর মৃতদেহ তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। কেন ওই যুবককে হাত পা বেঁধে পিটিয়ে মারা হল খতিয়ে দেখছে বহরমপুর থানার পুলিশ। মৃত যুবকের নাম খাবির শেখ(২৩)। বাড়ি বহরমপুর থানার সাহাজাদপুর ফুলিয়া পাড়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খাবির শেখ কর্ম সূত্রে সৈদি আরবে থাকত। সম্প্রতি সে বাড়ি ফিরে রাজমিস্ত্রীর কাজে যোগ দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন দুপুরে বহরমপুর লালদিঘিপাড় দংলগ্ন একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে আচমকা ঢুকে পড়ে। সেখানে ঢুকেই এলোপাথারি ভাঙচুর শুরু করে বলে অভিযোগ। এরপর ওই চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মীরা তাঁর হাত পা বেঁধে মারধর শুরু করে। গণপ্রহারে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর আগে কাতরালেও কেউ জল দিতে এগিয়ে আসেনি। এমনকি প্রায় দেড় ঘন্টা সেখানেই পড়ে থাকে দেহ। যদিও তখনও কেউ নিশ্চিত ছিলনা যে তার মৃত্যু হয়েছে। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন। গণপিটুনির এমনতর নমূনা দেখে অনেকেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।Conclusion:পুলিশ ঘটনার প্রতিবাদের ঝড়। তদন্তে পুলিশ।
Last Updated : Sep 4, 2019, 3:35 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.