মুর্শিদাবাদ, 18 অক্টোবর: প্রেমের টানে বিদেশ থেকে এদেশে আসার ঘটনা এখন আকছারই শোনা যায় ৷ তালিকায় নবতম সংযোজন মুর্শিদাবাদের রানিনগর ৷ ভালোবাসার টানে সুদূর আমেরিকা থেকে নবাবের জেলায় পাড়ি দিলেন এক তরুণী (Murshidabad Love Story)। সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে মুর্শিদাবাদের সোশাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটর মুশাফিরের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে মার্কিন তরুণী ফারহানার ৷ সেই সম্পর্ক কিছুটা পক্কতা পেতেই সূদূর আমেরিকা থেকে মুর্শিদাবাদের রানীনগরে এসে পৌঁছলেন প্রেমিকা ৷ সব দেখে প্রেমিক মুশাফির হোসেন জানালেন, ওর বিশ্বাসের মর্যাদা রাখব ৷
সোশাল মিডিয়ায় বানানো কনটেন্ট দেখেই মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার কাতলামারী এলাকার মুশাফিরের প্রেমে পড়ে যান মার্কিনী । তা দেখেই তাঁর প্রেমে পড়ে যান ওই যুবতী । সোশাল মিডিয়াই দু'জনের ভালোবাসার সেতু গড়ে দেয়। গত তিনবছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন মুশাফির-ফারহানা। প্রিয় মানুষের থেকে বেশিদিন দূরে থাকতে পারছিলেন না বলে আমেরিকা থেকে সোজা রানিনগরে হাজির তরুণী ৷ প্রথমে তরুণীর বাড়ি থেকে সম্পর্ক মানতে চায়নি পরিবারের সদস্যরা । শেষ পর্যন্ত তাঁর অদম্য সাহস আর ইচ্ছেশক্তির কাছে হার মেনে পরিবারের সদস্যরা মেনে নিয়েছেন মার্কিন তরুণীকে ৷
আরও পড়ুন: ফেসবুকে প্রেমের টানে কন্যাকে নিয়ে ঘরছাড়া বধূ, মোহভঙ্গ হাঁটুর বয়সি প্রেমিককে দেখে
মুশাফির হোসেন জানান, সোশাল মিডিয়ায় আমাদের প্রথেমে বন্ধুত্ব, তারপরই ধীরে ধীরে প্রেম ৷ আমার প্রতি বিশ্বাস রেখে ও সুদূর আমেরিকা থেকে নিজের পরিবার ছেড়ে আমার কাছে এসেছে । এই বিশ্বাসের মর্যাদা আমি রাখব ।
যদিও ফারহানা আখতার জানান, আমি মুশাফিরকে ভালোবাসি ৷ তাই এসেছি ৷ মুসাফিরকে বিয়ে করে ভবিষ্যতে আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে তাঁর । ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে তাঁরা সেখানেই বসবাস করবে।
মুশাফিরের বাবা আব্দুল হান্নান এ বিষয়ে জানান, আমার ছেলেকে ভালোবেসে সূদূর থেকে ফারহানা এসেছে ৷ ওকে ফেরাব না ৷ প্রেমের টানে আমেরিকা থেকে রানীনগরে যুবতী এসেছে, এই ঘটনা জানাজানি হতেই মুসাফির হোসেনের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।