সাগরদিঘি, 27 ফেব্রুয়ারি: সকাল থেকে নানা বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে চলল ভোটদান পর্ব । কখনো ইভিএম বিভ্রাট, রিগিং তো আবার কখনও বিরোধী প্রার্থীদের বুথে প্রবেশ করায় অশান্তির বাতাবরণ। কখনও বাবার ভোট পড়ল ছেলের হাতে ৷ আবার মেয়ে মায়ের হয়ে ভোট দিয়ে দিল সোমবার সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ৷ এমনকী ভোট দিতে এসে ঘটল অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনাও ৷ সবমিলিয়ে নির্বাচন সম্পূর্ণ হওয়ার সময়সীমা ছিল সন্ধ্যা 6টা 30 মিনিট ৷ কিন্তু সেসব তোয়াক্কা না-করে সময়সীমা পেরোলেও সাগরদিঘি উপনির্বাচনে রীতিমত চলল ছাপ্পা ভোট। অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে (Vote rigging allegation against TMC in Sagardighi bye election) ৷
বোখরার ব্রাক্ষণীগ্রাম শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে 62 এবং 63 নং বুথে লাইট বন্ধ করে, গেটে তালা দিয়ে দেদার চলল ছাপ্পা ভোট। ভোটকর্মীদের মধ্যে কয়েকজনকে বের করে দেওয়া হল ঘটনায় ৷ তৃণমূলের এক এজেন্টের দাবি ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে, কোনওরকম অশান্ত পরিবেশ তৈরি হয়নি। এদিকে কংগ্রেস এজেন্টদের বক্তব্য, সময় পেরিয়ে গেলেও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিতরে ভোট দেওয়ার আওয়াজ আসছিল। এ নিয়ে বুথের বাইরে বচসা শুরু হয়। মূলত সাঁওতাল অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় দুপুর 2টো নাগাদ এই বুথে বুথে রিগিং হওয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে । সাংবাদিকদের পৌঁছনোর আগেই সমস্ত কিছু বন্ধ হয়ে যায়। ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় ভোটের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর।
আরও পড়ুন: ভোটদানের উচ্চহার দেখে সাগরদিঘি জয়ে আশাবাদী সবপক্ষ
হঠাৎই লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সন্দেহ হলে এক সাংবাদিক ব্রাক্ষণীগ্রামের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে গেলে তার উপর চড়াও হয় কিছুজন। যদিও তৃণমূলের এজেন্টরা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে তা এড়িয়ে যায়। সারাদিনের নানান ঘটনার পর ভোট পরবর্তী সময়ও ঘটনাবহুল। এবার নজর 2 মার্চের দিকে। গণনা কোন দিকে মোড় নেয়, তা দেখার অপেক্ষা। 75-80 শতাংশের মত ভোট পড়ল সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে।