ETV Bharat / state

শান্ত স্বভাব, ট্রাক্টর চালক করিমই জঙ্গি ? হতবাক গ্রামবাসী

শান্ত স্বভাবের করিম যে জঙ্গি প্রধান হতে পারে, তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না গ্রামবাসীরা ৷ অন্যদিকে করিমের স্ত্রীর দাবি, তার স্বামী নির্দোষ ৷ তাকে ফাঁসানো হচ্ছে ৷

villagers-of-samshergunj
villagers-of-samshergunj
author img

By

Published : May 29, 2020, 3:33 PM IST

সামশেরগঞ্জ, 29 মে: আড়াই বছর ফেরেনি বাড়ি ৷ এত বছর বাদে ফিরে নিজের বাড়ি না গিয়ে ঠাঁই নিয়েছিল মাসির বাড়িতে ৷ কাল হল সেটাই ৷ গতকাল রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স মুর্শিদাবাদের সুতি থানার অন্তর্গত কাশিমনগরে করিমের মাসির বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করে তাঁকে ৷ ছাদ টপকে পালানোর চেষ্টাও করেছিল আবদুল, কিন্তু শেষ রক্ষা হল না এবার ৷ এদিকে করিমের জঙ্গি যোগ শুনে হতবাক গ্রামবাসীরা ৷

গ্রামবাসীদের কথায়, গ্রামে ট্রাক্টর চালাত আবদুল করিম ৷ তার বাবার রয়েছে মুদি দোকান ৷ শান্ত স্বভাবের জন্যই গ্রামবাসীদের কাছে পরিচিত ছিল সে ৷ আচমকা তাঁর জঙ্গিযোগের খবর সামনে আসতেই আকাশ থেকে পড়েছে সবাই ৷ সামশেরগঞ্জের চাঁদনিদহে করিমের বাড়িতে উপচে পড়ছে ভিড় ৷

এদিকে তার পরিবারের দাবি, করিম নির্দোষ, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে ৷ করিমের মাসি সাফেদা বিবি বলেন, ‘‘এতদিন কোনও যোগাযোগ ছিল না, কোনও দিন আমার বাড়িতে আসেওনি ৷ আচমকাই কাল সন্ধ্যে সাতটা-আটটা নাগাদ আমার বাড়িতে আসে ৷ জিজ্ঞেস করেছিলাম কোথায় ছিল এতদিন, বলল এখানে ওখানে ৷ এরপর নমাজ পরে, ভাত খেয়ে শুয়ে পড়ি সবাই ৷ বাকি কিছুই জানতাম না ৷’’

অন্যদিকে করিমের স্ত্রীর পারভিন খাতুনেরও দাবি, করিম নির্দোষ ৷ পাঁচ ছেলেমেয়েকে নিয়ে সেলাই করে সংসার চালায় পরভিন ৷ স্বামীর এতদিন নিখোজ থাকার কথা সে স্বীকার করেনি ৷ পারভিন বলেন, ‘‘ওকে জঙ্গি বলা হচ্ছে, কিন্তু আমার স্বামী জঙ্গি নয় ৷ ওকে ফাঁসানো হচ্ছে ৷ রোজ সকালে ট্রাক্টর চালাতে যেত, বিকেলে বাড়ি ফিরে আসত ৷ ’’

তবে করিমের ভাই সফিকুল ইসলাম 29 মাস আগে পুলিশি রেইডের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ যখন এসেছিল, তখন করিম উধাও হয়ে গিয়েছিল ৷ তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি ৷ গতকাল রাতে পুলিশ করিমের দুই মাসির বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে রেইড করে ৷ কাসিমনগরের বাড়ি থেকে ধরা পড়ে করিম ৷’’

পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিল যে, সামশেরগঞ্জের JMI-এর সক্রিয় ঘাঁটি গড়ে উঠেছিল । 2017 সালে আবদুল করিমের নাম সামনে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত হিসাবে । তবে 2018 সালে আবদুল করিমের গ্রেপ্তারের পরই জানা যায় যে, করিম একজন নয়, বরং একই নামে দুইজন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ৷ যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে ‘ছোট করিম’ ৷ বিস্ফোরণের প্রধান চক্রী ‘বড় করিম’ ৷ 2018 সালের পুলিশি রেইডে আবদুল করিমের সামশেরগঞ্জের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর বিস্ফোরক এবং জিহাদি প্রচারপত্র, বইপত্র, বিস্ফোরক বানানোর ফর্মুলা । এরপর থেকেই খোঁজ চলছিল আবদুল করিমের ৷ অবশেষে গতকাল রাতে ধরা পড়ে বড় করিম ৷

সামশেরগঞ্জ, 29 মে: আড়াই বছর ফেরেনি বাড়ি ৷ এত বছর বাদে ফিরে নিজের বাড়ি না গিয়ে ঠাঁই নিয়েছিল মাসির বাড়িতে ৷ কাল হল সেটাই ৷ গতকাল রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স মুর্শিদাবাদের সুতি থানার অন্তর্গত কাশিমনগরে করিমের মাসির বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করে তাঁকে ৷ ছাদ টপকে পালানোর চেষ্টাও করেছিল আবদুল, কিন্তু শেষ রক্ষা হল না এবার ৷ এদিকে করিমের জঙ্গি যোগ শুনে হতবাক গ্রামবাসীরা ৷

গ্রামবাসীদের কথায়, গ্রামে ট্রাক্টর চালাত আবদুল করিম ৷ তার বাবার রয়েছে মুদি দোকান ৷ শান্ত স্বভাবের জন্যই গ্রামবাসীদের কাছে পরিচিত ছিল সে ৷ আচমকা তাঁর জঙ্গিযোগের খবর সামনে আসতেই আকাশ থেকে পড়েছে সবাই ৷ সামশেরগঞ্জের চাঁদনিদহে করিমের বাড়িতে উপচে পড়ছে ভিড় ৷

এদিকে তার পরিবারের দাবি, করিম নির্দোষ, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে ৷ করিমের মাসি সাফেদা বিবি বলেন, ‘‘এতদিন কোনও যোগাযোগ ছিল না, কোনও দিন আমার বাড়িতে আসেওনি ৷ আচমকাই কাল সন্ধ্যে সাতটা-আটটা নাগাদ আমার বাড়িতে আসে ৷ জিজ্ঞেস করেছিলাম কোথায় ছিল এতদিন, বলল এখানে ওখানে ৷ এরপর নমাজ পরে, ভাত খেয়ে শুয়ে পড়ি সবাই ৷ বাকি কিছুই জানতাম না ৷’’

অন্যদিকে করিমের স্ত্রীর পারভিন খাতুনেরও দাবি, করিম নির্দোষ ৷ পাঁচ ছেলেমেয়েকে নিয়ে সেলাই করে সংসার চালায় পরভিন ৷ স্বামীর এতদিন নিখোজ থাকার কথা সে স্বীকার করেনি ৷ পারভিন বলেন, ‘‘ওকে জঙ্গি বলা হচ্ছে, কিন্তু আমার স্বামী জঙ্গি নয় ৷ ওকে ফাঁসানো হচ্ছে ৷ রোজ সকালে ট্রাক্টর চালাতে যেত, বিকেলে বাড়ি ফিরে আসত ৷ ’’

তবে করিমের ভাই সফিকুল ইসলাম 29 মাস আগে পুলিশি রেইডের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ যখন এসেছিল, তখন করিম উধাও হয়ে গিয়েছিল ৷ তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি ৷ গতকাল রাতে পুলিশ করিমের দুই মাসির বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে রেইড করে ৷ কাসিমনগরের বাড়ি থেকে ধরা পড়ে করিম ৷’’

পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিল যে, সামশেরগঞ্জের JMI-এর সক্রিয় ঘাঁটি গড়ে উঠেছিল । 2017 সালে আবদুল করিমের নাম সামনে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত হিসাবে । তবে 2018 সালে আবদুল করিমের গ্রেপ্তারের পরই জানা যায় যে, করিম একজন নয়, বরং একই নামে দুইজন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ৷ যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে ‘ছোট করিম’ ৷ বিস্ফোরণের প্রধান চক্রী ‘বড় করিম’ ৷ 2018 সালের পুলিশি রেইডে আবদুল করিমের সামশেরগঞ্জের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর বিস্ফোরক এবং জিহাদি প্রচারপত্র, বইপত্র, বিস্ফোরক বানানোর ফর্মুলা । এরপর থেকেই খোঁজ চলছিল আবদুল করিমের ৷ অবশেষে গতকাল রাতে ধরা পড়ে বড় করিম ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.